পুলিশের বিলম্বিত বোধোদয়-মা ও দুই সন্তানের আত্মহত্যার ঘটনা
পুলিশ পারে না এমন কাজ নেই। তারা চাইলে দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করতে পারে। সম্প্রতি জুরাইনে মা ও দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। পরিবারের অন্য সদস্যরা যে তাঁদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিল, তার বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক আসামিও আত্মহত্যায় প্ররোচনার কথা স্বীকার করেছেন। এর পরও কদমতলী থানার পুলিশ মামলা নিয়েছে অন্য ধারায়। বাদী আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনলেও তারা আমলে নেয়নি।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে নাকি সম্ভ্রমহানির কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। একে কি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলা যাবে? কখনোই নয়। মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের ওপর না পড়লে কদমতলী থানার পুলিশ হয়তো আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনাকে ‘সম্ভ্রমহানি’ বলে চালিয়ে দিত। এর পেছনে কোনো কিন্তু আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরই। মামলা নিয়ে এ ধরনের ওলটপালট হরহামেশাই হয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, ‘সম্ভ্রমহানির অভিযোগে মামলা নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এই স্বীকারোক্তি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কারণে ধন্যবাদ পেতে পারেন যে তাঁরা অন্তত মামলাটিকে ভিন্নভাবে পরিচালিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। ন্যায়বিচারের অন্যতম পূর্বশর্ত যথাযথভাবে অভিযোগ দায়ের। এ ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটলে মামলার ভবিষ্যৎই হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে চার্জশিট, সাক্ষ্যগ্রহণ—মামলার প্রতিটি পর্যায়ে আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, থানার পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে মনগড়া বা এমনভাবে অভিযোগ দাঁড় করায়, যাতে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। কদমতলী থানার পুলিশের মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা জরুরি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, সেটিই প্রত্যাশিত। থানার পুলিশের স্বেচ্ছাকৃত ভুল বা কারও কারসাজিতে বিচার-প্রক্রিয়া যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে নাকি সম্ভ্রমহানির কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। একে কি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলা যাবে? কখনোই নয়। মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা বিভাগের ওপর না পড়লে কদমতলী থানার পুলিশ হয়তো আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনাকে ‘সম্ভ্রমহানি’ বলে চালিয়ে দিত। এর পেছনে কোনো কিন্তু আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরই। মামলা নিয়ে এ ধরনের ওলটপালট হরহামেশাই হয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, ‘সম্ভ্রমহানির অভিযোগে মামলা নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আত্মহত্যায় প্ররোচনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এই স্বীকারোক্তি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কারণে ধন্যবাদ পেতে পারেন যে তাঁরা অন্তত মামলাটিকে ভিন্নভাবে পরিচালিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। ন্যায়বিচারের অন্যতম পূর্বশর্ত যথাযথভাবে অভিযোগ দায়ের। এ ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটলে মামলার ভবিষ্যৎই হয়ে পড়বে অনিশ্চিত। অভিযোগ দায়ের থেকে শুরু করে চার্জশিট, সাক্ষ্যগ্রহণ—মামলার প্রতিটি পর্যায়ে আইনকে নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, থানার পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচাতে মনগড়া বা এমনভাবে অভিযোগ দাঁড় করায়, যাতে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। কদমতলী থানার পুলিশের মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা জরুরি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, সেটিই প্রত্যাশিত। থানার পুলিশের স্বেচ্ছাকৃত ভুল বা কারও কারসাজিতে বিচার-প্রক্রিয়া যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
No comments