প্রত্যাবাসনই সমাধান নয়
লিবিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের জন্য আপাতত কোনো সুসংবাদ নেই। সেখানে থাকার চেষ্টা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরাও এখন ফিরতে আগ্রহী। লিবিয়ায় সরকারবিরোধী অসন্তোষ দেখা দিলে অনেকেই লিবিয়া ছেড়ে আসেন। অনেকে আবার লিবিয়ায় থেকে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এমনকি যাঁরা ওই সময় দেশে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই লিবিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু গত কয়েক দিনে লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় সেখানে থাকাটা এখন আর নিরাপদ নয়। এখন যেকোনো উপায়ে লিবিয়া ছেড়ে আসাই শ্রেয় মনে করছেন সবাই। লিবিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশিদেরও লিবিয়া ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে। লিবিয়া ছেড়ে অন্য যেকোনো দেশের সীমান্তে এলে লিবিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন লিবিয়া থেকে অন্য যেকোনো দেশের সীমান্তে পেঁৗছানোর পথেও রয়েছে নানা ঝুঁকি। এ ছাড়া এখন লিবিয়ায় কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন, তারও কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, এরই মধ্যে অনেকেই লিবিয়া ছেড়ে চলে এসেছেন। অনেকেই দেশে ফিরেছেন। অনেকে আছেন বিভিন্ন দেশের সীমান্তে। লিবিয়ার আশপাশের দেশের সীমান্তে যাঁরা অবস্থান করছেন, তাঁদেরই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। লিবিয়ার ভেতর থেকে কাউকে ফিরিয়ে আনা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়।
তা ছাড়া দেশে প্রত্যাবাসনই শেষ সমাধান নয়। লিবিয়ায় আমাদের দেশের যে পরিমাণ জনশক্তি ছিল, তাঁরা দেশে এসে কী করবেন? লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা কেউই তেমন কিছু সঙ্গে আনতে পারেননি। অনেকেই নিজের জীবন নিয়ে কোনোমতে দেশে ফিরেছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ নতুন করে আরেকটি সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায়। কারণ এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে বিদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসতে শুরু করেছে। নানা কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমিকদের। দক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় শ্রমশক্তি বিদেশে নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু ইরাকে মার্কিন হামলার পর সে দেশে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির কোনো সুযোগ আপাতত নেই। এবার লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পরও অনেকের আশা ছিল পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানেও অশান্তি দীর্ঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই সেখানে যে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছিল, তা আর থাকছে না। এ জনশক্তির ভার এসে পড়বে বাংলাদেশের ওপর। এ কারণেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জনশক্তির ওপর আমাদের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে। আমাদের এ জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ আমাদের দেশে কম, যে কারণে আমাদের নির্ভর করতে হয় বিদেশের শ্রমবাজারের ওপর। কিন্তু সেই শ্রমবাজার আমাদের জন্য দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের শ্রমবাজার সংকুচিত করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে। ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়টিও ভেবে দেখা যেতে পারে। লিবিয়া থেকে কেবল প্রত্যাবাসন নয়, এই জনশক্তিকে কাজে লাগানোর পথও বের করতে হবে।
তা ছাড়া দেশে প্রত্যাবাসনই শেষ সমাধান নয়। লিবিয়ায় আমাদের দেশের যে পরিমাণ জনশক্তি ছিল, তাঁরা দেশে এসে কী করবেন? লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা কেউই তেমন কিছু সঙ্গে আনতে পারেননি। অনেকেই নিজের জীবন নিয়ে কোনোমতে দেশে ফিরেছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ নতুন করে আরেকটি সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধরে নেওয়া যায়। কারণ এমনিতেই দেশে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে বিদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসতে শুরু করেছে। নানা কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমিকদের। দক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে বাংলাদেশের একটি বড় শ্রমশক্তি বিদেশে নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু ইরাকে মার্কিন হামলার পর সে দেশে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির কোনো সুযোগ আপাতত নেই। এবার লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পরও অনেকের আশা ছিল পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানেও অশান্তি দীর্ঘ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই সেখানে যে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছিল, তা আর থাকছে না। এ জনশক্তির ভার এসে পড়বে বাংলাদেশের ওপর। এ কারণেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জনশক্তির ওপর আমাদের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে। আমাদের এ জনশক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ আমাদের দেশে কম, যে কারণে আমাদের নির্ভর করতে হয় বিদেশের শ্রমবাজারের ওপর। কিন্তু সেই শ্রমবাজার আমাদের জন্য দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের শ্রমবাজার সংকুচিত করে দিয়েছে। এমন অবস্থায় নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে। ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তিকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়টিও ভেবে দেখা যেতে পারে। লিবিয়া থেকে কেবল প্রত্যাবাসন নয়, এই জনশক্তিকে কাজে লাগানোর পথও বের করতে হবে।
No comments