মাওয়া নৌরুটে স্পিডবোট-যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

নিয়মকানুন এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে কাওড়াকান্দি-মাওয়া-মাঝিকান্দি-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের স্পিডবোটগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে। এতে এই রুটে হরহামেশাই স্পিডবোট দুর্ঘটনা ঘটছে। সোমবার সমকালের তৃতীয় পৃষ্ঠায় 'বেপরোয়া স্পিডবোট' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সন্ধ্যার পর নদীপথে স্পিডবোট


চলাচল নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি অর্থের বিনিময়ে রাতের বেলায়ও এ পথে স্পিডবোট চলাচল করছে। এতে মাঝে মধ্যেই ডাকাতের কবলে পড়ে যাত্রীরা সর্বস্বান্ত হচ্ছেন এবং অনেকে আহতও হচ্ছেন। তা ছাড়া স্পিডবোট চালকদের অধিকাংশের নৌচালনায় মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ না থাকায় এবং নদীপথ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় প্রায়ই স্পিডবোট ডুবোচরে আটকা পড়ার ঘটনা ঘটছে। মাঝপথে স্পিডবোট বিকল হওয়ার ঘটনা এই নৌরুট যারা ব্যবহার করেন তারা প্রায় সবাই অবগত। অথচ নিয়মনীতি মেনে চললে এই রুটে ফেরিতে চলাচলের ঝক্কি এড়াতে আগ্রহী যাত্রীদের পারাপারের নির্ভরযোগ্য বাহন হতে পারত স্পিডবোট।
তাই যতদিন না পদ্মা সেতু হচ্ছে ততদিন এই নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল অব্যাহত রাখা যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর স্বার্থেই প্রয়োজন। তবে এসব স্পিডবোটকে নিয়মনীতির মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এগুলো যাতে বেশি ভাড়া নিয়েও রাতের বেলায় চলাচল না করতে পারে তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। স্পিডবোট দ্রুতগামী নৌযান বিধায় এগুলো এঁকেবেঁকে চলা ও চর জেগে ওঠা নদীপথ ধরে রাতের বেলায় চলাচলে বিপদের ঝুঁকি থাকে বেশি। তবে নৌপুলিশের নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম গতিতে এসব স্পিডবোট রাতের বেলায়ও জরুরি প্রয়োজনে চালানো যায়। কিন্তু স্পিডবোট চালকদের সে ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
আমরা চাই, কাওড়াকান্দি-মাওয়া-মাঝিকান্দি-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল করুক। তবে তা নিয়মকানুন মেনে যেন হয়। নৌচালনার লাইসেন্সবিহীন চালকদের দিয়ে স্পিডবোট চালানো একেবারেই অনুচিত। স্পিডবোট মালিকদের এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের মালিকানাধীন কোনো স্পিডবোট যাতে আনাড়ি চালকের হাতে না পড়ে তা মালিকদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
 

No comments

Powered by Blogger.