সন্ত্রাসীরাও কি ‘দায়মুক্তি’ উপভোগ করছে?-ছাত্রলীগের দুই ‘নায়ক’
এক ক্যাম্পাসে দুই নায়ক হলে সামান্য সিগারেটের ধোঁয়া থেকেও সন্ত্রাসের আগুন জ্বলে উঠতে পারে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ একটা হলেও নেতা দুজন। একজন সভাপতি, অন্যজন সাধারণ সম্পাদক। দুজনের দুটি গ্রুপের মধ্যে গত শনিবার সংঘর্ষ-গোলাগুলি থামাতে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করতে হয়।
ধারালো অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীদের মহড়ার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে শনিবারের প্রথম আলোয়। সেখানে দেখা যায়, সবুজ ক্যাম্পাসে লাল ফুল ফুটে আছে। তার মধ্য দিয়ে অস্ত্র হাতে চলে যাচ্ছে একদল তরুণ। সুন্দরের মাঝে অসুন্দর যেমন বিদ্যাপীঠে সন্ত্রাসী তেমন। দৃশ্যটি তাই যেন পুষ্পমাঝে কীট কিংবা উদ্যানে সাপের প্রতীক। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাপ কেন পোষা হচ্ছে, সন্ত্রাস নামক এই কীটদের কেন দমন করা হচ্ছে না?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-রক্তারক্তি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই পক্ষের দুই নেতা তথা নায়কের আধিপত্য বিস্তারের এই দ্বন্দ্বে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ, লঙ্ঘিত হচ্ছে আইন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে, সশস্ত্র সন্ত্রাস গুরুতর অপরাধ। কিন্তু বাস্তবে আইনের হাত এই ‘নায়ক’দের স্পর্শ করে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে নির্মম কায়দায় দমন করা হলো। অথচ চোখের সামনে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীদের নগ্ন সন্ত্রাস চললেও তারা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক দেশে দুই নিয়ম কেন? সরকারি দলের অনুগত ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা কি অপরাধের দায়মুক্তি ভোগ করছে? এর কি কোনো শেষ নেই?
সন্ত্রাসে জড়িত ছিল উভয় পক্ষের প্রায় শতজন কর্মী। একজন গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন। অথচ হলে হলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েও কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এ পর্যন্ত রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ মোট তিনজন ছাড়া আর কারও আটক না হওয়াও বিস্ময়কর। উচ্চপর্যায়ের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সন্ত্রাস আর এই ছাড় সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
এটা কেবল দুঃখজনক নয়, হতাশারও কারণ। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন, কর্মীদের হুঁশিয়ারও করেছেন। কিন্তু কেবল কথায় চিঁড়ে ভেজেনি, রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা না কমে বরং বেড়েছে। এতে কতিপয় নেতা-কর্মীর লাভ হলেও ক্ষতি হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তির। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারক মহলসহ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘরের শত্রু বিভীষণ দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-রক্তারক্তি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই পক্ষের দুই নেতা তথা নায়কের আধিপত্য বিস্তারের এই দ্বন্দ্বে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ, লঙ্ঘিত হচ্ছে আইন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে, সশস্ত্র সন্ত্রাস গুরুতর অপরাধ। কিন্তু বাস্তবে আইনের হাত এই ‘নায়ক’দের স্পর্শ করে না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে নির্মম কায়দায় দমন করা হলো। অথচ চোখের সামনে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারীদের নগ্ন সন্ত্রাস চললেও তারা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক দেশে দুই নিয়ম কেন? সরকারি দলের অনুগত ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা কি অপরাধের দায়মুক্তি ভোগ করছে? এর কি কোনো শেষ নেই?
সন্ত্রাসে জড়িত ছিল উভয় পক্ষের প্রায় শতজন কর্মী। একজন গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন। অথচ হলে হলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েও কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। এ পর্যন্ত রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ মোট তিনজন ছাড়া আর কারও আটক না হওয়াও বিস্ময়কর। উচ্চপর্যায়ের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই সন্ত্রাস আর এই ছাড় সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
এটা কেবল দুঃখজনক নয়, হতাশারও কারণ। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন, কর্মীদের হুঁশিয়ারও করেছেন। কিন্তু কেবল কথায় চিঁড়ে ভেজেনি, রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা না কমে বরং বেড়েছে। এতে কতিপয় নেতা-কর্মীর লাভ হলেও ক্ষতি হচ্ছে সরকারের ভাবমূর্তির। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারক মহলসহ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘরের শত্রু বিভীষণ দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবেন।
No comments