কল্পকথার গল্প-যাহা পাই তাহা চাই না by আলী হাবিব
কথায় বলে, 'সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।' কিন্তু কথা না বলেও তো থাকা যায় না। কথা বলতে না পারলে বাঙালির বদহজম হয়ে যায়। বাঙালির অতীত আছে, বাঙালি অতীত নিয়ে কথা বলে। বাঙালি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে ভালোবাসে। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলে। স্বপ্নও দেখে। সেই স্বপ্ন কখনো দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়।
তাই বলে স্বপ্ন দেখা বন্ধ নেই। বন্ধ নেই স্বপ্ন দেখানো। এটা পেলে ওটা দেব, গাড়ু পেলে লোটা দেব- এমন হাজারো স্বপ্নের ফুলঝুরি। কেউ কাউকে ভালো রাখছে। কেউ কাউকে ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দিন যাচ্ছে এভাবেই।
ভবিষ্যতের কথা বলতে পারা কম যোগ্যতার ব্যাপার নয়। এই যোগ্যতা সবার থাকে না। বাঙালির আছে। বাঙালি আশা ও আশঙ্কার কথা সমানভাবে বলতে পারে। জমানা খুব উর্বর। 'যেখানে দেখিবে ছাই', সেখানেই উড়িয়ে দেখার ব্যাপারে বাঙালির জুড়ি নেই। বাঙালি সব পারে। আজ যাকে উদ্ধার করে ছাড়ছে, কাল আবার গলা ছেড়ে তারই কেত্তন গাইছে। সব কিছু পেছনে ফেলে একই মিছিলে 'মানি না মানব না' আর 'মানতে হবে মেনে নাও' স্লোগান দিচ্ছে। এ বলছে 'মানতে হবে মেনে নাও', ও বলছে 'মানছি না মানব না'। সালিস সবাই মানতে রাজি, তবে তালগাছটা যে যার মতো করে চাইছে। একটুকু জমি ছাড়তে রাজি নয় কেউ। একটু ছাড় না দিলে চলবে কেন? গ্লোবাল মার্কেটিংয়ের যুগে এটা হচ্ছে ছাড়ের দুনিয়া। ছাড় দিয়ে মাল ছাড়াতে হয়। 'দেবে আর নেবে'- এই তত্ত্বে বিশ্বাসী না হয়ে কেবল না-মানার স্লোগানে দিন পার করে দিলে তো চলবে না। 'মানি না মানব না' কিংবা 'মানছি না মানব না'- এই দুই পক্ষের না মানামানিতে পাবলিকের জীবন অনেক সময় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
ব্যাপারটা একটু খোলাসা করে ভাবতে হবে। পাবলিকের জীবন নিয়ে কে ভাবছে, ভাই। সেই তো 'থোড় বড়ি কলা, কলা বড়ি থোড়।' পানসে একঘেয়ে জীবন। একদিকে ওপরে ওঠার ব্যাকুলতা। এই সামনে যাই যাই অবস্থা। পেছন থেকে টানছে মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ। বাজারে গিয়ে কম দামের জিনিস খুঁজতে খুঁজতে জীবনটাই কমদামি হয়ে গেল। অথচ একটাই মাত্র জীবন। ঘেন্না উগরে দিতে দিতে জীবনের ওপরই ঘেন্না ধরে গেল। ঘেন্না উগরে দেওয়া থামছে না। দেখতে যখন পারি না, তখন দেখে নিতে সমস্যা কোথায়? যে যার মতো করে দেখে নিলেই ল্যাটা চুকে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘেন্না উগরে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবার দেশপ্রেমের মিশেল রয়েছে। কে কার চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক, সেটা প্রমাণের জন্য সবাই প্রাণান্ত। নিজেকে দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে চাইলে অন্যের দিকে ঘেন্না উগরে দিতে হবে। বিষদাঁত দেখাতে হবে। কামড়ে দেব, কামড়ে দেব- এমন একটা ভাব দেখাতে হবে। ভয় দেখিয়ে জয় করার চেষ্টা। সব বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি। আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী- উদাহরণসহ বুঝিয়ে দেওয়ার হুমকি তো আছেই। ওদিকে আরেকজন দেখাচ্ছে ইরেজ করে দেওয়ার হুমকি।
যদি প্রশ্ন করা হয়, কী বন্ধ করবেন? উত্তরটা কী হবে? আগে আধপেটা খেতাম, এখন জুটছে কোনো রকমে। বন্ধ করবেন কী? আগে দোকানে গিয়ে নিয়ন আলোয় জামাকাপড় কিনে ঠকে আসতাম। এখন 'রেলিং ব্রাদার্স' কিংবা 'ভ্যান প্লাজাতে'ই স্বস্তি। বন্ধ করবেন কী। আগে মাসে অন্তত একবার বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে খাওয়াতাম। সন্তানের জন্মদিনে আনন্দ করতাম। এখন ছোট একটা গিফট কিনে চোরের মতো সেরে ফেলছি। মধ্যবিত্ত বলে কথা! হুট করে একটা কালচার তো বন্ধ করে দিতে পারি না। চালিয়ে যাচ্ছি। আগে বছরে অন্তত একবার বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া হতো। বাজে খরচ আর কত করা যায়। পাবলিক হয়ে জন্মেছি শাটল ককের মতো অদ্ভুত এক ভাগ্য নিয়ে। এদিকে গেলে ও মারছে, ওদিকে গেলে এ মারছে। আমার ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই। সবাই আমার অভিভাবক। শিশুরা যেমন অভিভাবকের এক্সপেরিমেন্টের শিকার হয়, আমাদের মতো পাবলিকের অবস্থা ঠিক সে রকমই। আমরা এই অভিভাবকদের এক্সপেরিমেন্টের শিকার। সবাই আমাদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে আমরা যে মার খাচ্ছি, মার খেতে খেতে আমাদের জীবন যে শুকিয়ে গেল, এটা কাউকে বুঝিয়ে ওঠা গেল না। আমরা যেন খেলার সামগ্রী। এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ। জীবন বটে!
দুনিয়া কোথায় গেছে, সে হিসাব নেই। বাঙালি মেয়েরা পর্যন্ত এভারেস্টের চূড়ায় উঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ফিরে আসছে। আর আমরা এখানে বসে একজন আরেকজনকে বিষদাঁত দেখাচ্ছি। একজন আরেকজনের দিকে ঘেন্না উগরে দিচ্ছে। কে কেমন করে ঘেন্না উগরে দিচ্ছে? ওই যে, 'মানি না মানব না'। কে মানবে আর কে মানবে না, অনেক সময় সেটা বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এ মানলে যে ও মানবে না, ও মানলে যে এ মানবে না- এটা এখন স্পষ্ট। 'মানামানিতেই উঠেছে নাভিশ্বাস'। কে দেখছে সেটা? আমরা দেখছি। কী দেখছি? স্বপ্ন দেখছি। কবিরা স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখান। কবি নির্মলেন্দু গুণও স্বপ্ন দেখেছেন, দেখিয়েছেন। স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে গিয়েই তিনি লিখেছিলেন, '...দিন আসে ঐ মাভৈ মাভৈ'। এই দিন কি আমাদের স্বপ্নের দিন? যেমন স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে আগামী দিনে? তেমন হলে তো বেশ হতো।
আহা, আমাদের স্বপ্নের দিন! সেই সুনীল লিখেছেন, '...আমার পিঠে হাত রেখে বাবা বলেছিলেন, দেখিস, একদিন আমরাও.../আমাদের দেখা হয়নি কিছুই'। কবিতার সঙ্গে আমাদের দেখার মিল হবে না। কবিতার মতো জীবন তো আর আমাদের নয়। নয়, সেটাই বা বলি কেমন করে? এখনো তো আমাদের অনেকের জীবনে ঝলসানো রুটির বাস্তবতা গেল না। তার পরও আমাদের স্বপ্ন দেখা ফুরায় না। আমাদের কল্পনার জগৎজুড়ে এক সুন্দর আগামীর স্বপ্ন। ভয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এত দিন তো কেবল স্বপ্নভঙ্গই হলো। আমরা এত দিন ধরে যা চেয়েছি, তা কি পেয়েছি? যা পেয়েছি তা কি চেয়েছি? এই পাওয়া না-পাওয়া, চাওয়া না-চাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে সব কেমন গুলিয়ে যায়।
যাকগে, না হয় স্বপ্ন দেখতে দেখতেই জীবন পার করে দেবে বাঙালি। কিন্তু ওদিকে ঝোপের আড়ালে কে যেন উঁকি দিচ্ছে, সেটা কি দেখতে পাচ্ছেন কেউ? আচ্ছা, ওটা কী? ফেউ, নাকি আর কেউ? ওটারও কেমন বিষদাঁত দেখা যাচ্ছে যেন!
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
ভবিষ্যতের কথা বলতে পারা কম যোগ্যতার ব্যাপার নয়। এই যোগ্যতা সবার থাকে না। বাঙালির আছে। বাঙালি আশা ও আশঙ্কার কথা সমানভাবে বলতে পারে। জমানা খুব উর্বর। 'যেখানে দেখিবে ছাই', সেখানেই উড়িয়ে দেখার ব্যাপারে বাঙালির জুড়ি নেই। বাঙালি সব পারে। আজ যাকে উদ্ধার করে ছাড়ছে, কাল আবার গলা ছেড়ে তারই কেত্তন গাইছে। সব কিছু পেছনে ফেলে একই মিছিলে 'মানি না মানব না' আর 'মানতে হবে মেনে নাও' স্লোগান দিচ্ছে। এ বলছে 'মানতে হবে মেনে নাও', ও বলছে 'মানছি না মানব না'। সালিস সবাই মানতে রাজি, তবে তালগাছটা যে যার মতো করে চাইছে। একটুকু জমি ছাড়তে রাজি নয় কেউ। একটু ছাড় না দিলে চলবে কেন? গ্লোবাল মার্কেটিংয়ের যুগে এটা হচ্ছে ছাড়ের দুনিয়া। ছাড় দিয়ে মাল ছাড়াতে হয়। 'দেবে আর নেবে'- এই তত্ত্বে বিশ্বাসী না হয়ে কেবল না-মানার স্লোগানে দিন পার করে দিলে তো চলবে না। 'মানি না মানব না' কিংবা 'মানছি না মানব না'- এই দুই পক্ষের না মানামানিতে পাবলিকের জীবন অনেক সময় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে।
ব্যাপারটা একটু খোলাসা করে ভাবতে হবে। পাবলিকের জীবন নিয়ে কে ভাবছে, ভাই। সেই তো 'থোড় বড়ি কলা, কলা বড়ি থোড়।' পানসে একঘেয়ে জীবন। একদিকে ওপরে ওঠার ব্যাকুলতা। এই সামনে যাই যাই অবস্থা। পেছন থেকে টানছে মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ। বাজারে গিয়ে কম দামের জিনিস খুঁজতে খুঁজতে জীবনটাই কমদামি হয়ে গেল। অথচ একটাই মাত্র জীবন। ঘেন্না উগরে দিতে দিতে জীবনের ওপরই ঘেন্না ধরে গেল। ঘেন্না উগরে দেওয়া থামছে না। দেখতে যখন পারি না, তখন দেখে নিতে সমস্যা কোথায়? যে যার মতো করে দেখে নিলেই ল্যাটা চুকে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘেন্না উগরে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবার দেশপ্রেমের মিশেল রয়েছে। কে কার চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক, সেটা প্রমাণের জন্য সবাই প্রাণান্ত। নিজেকে দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে চাইলে অন্যের দিকে ঘেন্না উগরে দিতে হবে। বিষদাঁত দেখাতে হবে। কামড়ে দেব, কামড়ে দেব- এমন একটা ভাব দেখাতে হবে। ভয় দেখিয়ে জয় করার চেষ্টা। সব বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি। আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী- উদাহরণসহ বুঝিয়ে দেওয়ার হুমকি তো আছেই। ওদিকে আরেকজন দেখাচ্ছে ইরেজ করে দেওয়ার হুমকি।
যদি প্রশ্ন করা হয়, কী বন্ধ করবেন? উত্তরটা কী হবে? আগে আধপেটা খেতাম, এখন জুটছে কোনো রকমে। বন্ধ করবেন কী? আগে দোকানে গিয়ে নিয়ন আলোয় জামাকাপড় কিনে ঠকে আসতাম। এখন 'রেলিং ব্রাদার্স' কিংবা 'ভ্যান প্লাজাতে'ই স্বস্তি। বন্ধ করবেন কী। আগে মাসে অন্তত একবার বন্ধুদের ডেকে বাড়িতে খাওয়াতাম। সন্তানের জন্মদিনে আনন্দ করতাম। এখন ছোট একটা গিফট কিনে চোরের মতো সেরে ফেলছি। মধ্যবিত্ত বলে কথা! হুট করে একটা কালচার তো বন্ধ করে দিতে পারি না। চালিয়ে যাচ্ছি। আগে বছরে অন্তত একবার বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া হতো। বাজে খরচ আর কত করা যায়। পাবলিক হয়ে জন্মেছি শাটল ককের মতো অদ্ভুত এক ভাগ্য নিয়ে। এদিকে গেলে ও মারছে, ওদিকে গেলে এ মারছে। আমার ইচ্ছার কোনো মূল্য নেই। সবাই আমার অভিভাবক। শিশুরা যেমন অভিভাবকের এক্সপেরিমেন্টের শিকার হয়, আমাদের মতো পাবলিকের অবস্থা ঠিক সে রকমই। আমরা এই অভিভাবকদের এক্সপেরিমেন্টের শিকার। সবাই আমাদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে আমরা যে মার খাচ্ছি, মার খেতে খেতে আমাদের জীবন যে শুকিয়ে গেল, এটা কাউকে বুঝিয়ে ওঠা গেল না। আমরা যেন খেলার সামগ্রী। এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ। জীবন বটে!
দুনিয়া কোথায় গেছে, সে হিসাব নেই। বাঙালি মেয়েরা পর্যন্ত এভারেস্টের চূড়ায় উঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ফিরে আসছে। আর আমরা এখানে বসে একজন আরেকজনকে বিষদাঁত দেখাচ্ছি। একজন আরেকজনের দিকে ঘেন্না উগরে দিচ্ছে। কে কেমন করে ঘেন্না উগরে দিচ্ছে? ওই যে, 'মানি না মানব না'। কে মানবে আর কে মানবে না, অনেক সময় সেটা বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এ মানলে যে ও মানবে না, ও মানলে যে এ মানবে না- এটা এখন স্পষ্ট। 'মানামানিতেই উঠেছে নাভিশ্বাস'। কে দেখছে সেটা? আমরা দেখছি। কী দেখছি? স্বপ্ন দেখছি। কবিরা স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখান। কবি নির্মলেন্দু গুণও স্বপ্ন দেখেছেন, দেখিয়েছেন। স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে গিয়েই তিনি লিখেছিলেন, '...দিন আসে ঐ মাভৈ মাভৈ'। এই দিন কি আমাদের স্বপ্নের দিন? যেমন স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন কি পূরণ হবে আগামী দিনে? তেমন হলে তো বেশ হতো।
আহা, আমাদের স্বপ্নের দিন! সেই সুনীল লিখেছেন, '...আমার পিঠে হাত রেখে বাবা বলেছিলেন, দেখিস, একদিন আমরাও.../আমাদের দেখা হয়নি কিছুই'। কবিতার সঙ্গে আমাদের দেখার মিল হবে না। কবিতার মতো জীবন তো আর আমাদের নয়। নয়, সেটাই বা বলি কেমন করে? এখনো তো আমাদের অনেকের জীবনে ঝলসানো রুটির বাস্তবতা গেল না। তার পরও আমাদের স্বপ্ন দেখা ফুরায় না। আমাদের কল্পনার জগৎজুড়ে এক সুন্দর আগামীর স্বপ্ন। ভয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ এত দিন তো কেবল স্বপ্নভঙ্গই হলো। আমরা এত দিন ধরে যা চেয়েছি, তা কি পেয়েছি? যা পেয়েছি তা কি চেয়েছি? এই পাওয়া না-পাওয়া, চাওয়া না-চাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে সব কেমন গুলিয়ে যায়।
যাকগে, না হয় স্বপ্ন দেখতে দেখতেই জীবন পার করে দেবে বাঙালি। কিন্তু ওদিকে ঝোপের আড়ালে কে যেন উঁকি দিচ্ছে, সেটা কি দেখতে পাচ্ছেন কেউ? আচ্ছা, ওটা কী? ফেউ, নাকি আর কেউ? ওটারও কেমন বিষদাঁত দেখা যাচ্ছে যেন!
লেখক : সাংবাদিক
habib.alihabib@yahoo.com
No comments