চেম্বারের উচিত নিজেদের স্বার্থের ওপরে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে স্থান দেওয়া-চট্টগ্রামে খাদ্যগুদাম-সংকট
জনগণের খাদ্যনিরাপত্তার স্বার্থেই দেশে একটি সন্তোষজনক খাদ্যমজুদ গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এ কারণে দুনিয়াব্যাপী জনসংখ্যার অনুপাতে চাহিদানুযায়ী সন্তোষজনক মজুদ গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় খাদ্যমজুদ গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যে ধারণক্ষমতার খাদ্যগুদাম প্রয়োজন,
সেখানে আমাদের খাদ্যগুদামগুলোর ধারণক্ষমতা অনেক কম। খাদ্য বিভাগকে খাদ্যনিরাপত্তা গড়ে তোলার স্বার্থে আমদানি করা খাদ্যশস্য সংরক্ষণেও তাই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অথচ এ অবস্থার মধ্যেও চট্টগ্রামে খাদ্যশস্য রাখার উপযোগী ৩৪টি গুদাম খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ফেরত দিচ্ছে না চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। নিজেদের সুবিধা ও লাভের বিবেচনায় দেশের খাদ্যনিরাপত্তার প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে চেম্বারের এই অবস্থান চরম স্বার্থপরতার পরিচায়ক এবং অত্যন্ত নিন্দনীয়।
গত শনিবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত এই গুদামগুলো চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভাড়া নিয়েছিল। যদিও শর্ত ছিল, সরকার চাইলে এক মাসের নোটিশে গুদামগুলো ফেরত দেবে, কিন্তু গত ১১ মাসে চেম্বারকে অন্তত ১০ বার চিঠি দিয়ে গুদাম ফেরত দেওয়ার কথা বলা হলেও চেম্বার এখনো গুদাম ফেরত দেয়নি। এর পেছনে কারণ, গুদামগুলো ভাড়া নিয়ে চেম্বার আবার নিজে আরও বেশি দামে গুদাম ভাড়া দিয়ে লাভ করছে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম শহরে এত সস্তায় এমন মানের গুদাম পাওয়া যায় না। তাই এগুলো একবার হাতছাড়া হলে আর পাওয়া যাবে কি না, সেই আশঙ্কা থেকেও তারা এগুলো ফেরত দিচ্ছে না। ফেরত না দিয়ে চেম্বার স্পষ্টত শর্ত ভঙ্গ করেছে। শর্ত ভঙ্গ করে চেম্বার যদি খাদ্যগুদাম ফেরত না দেওয়ার অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই চেম্বারের প্রতি মানুষের আস্থার ওপর এর প্রভাব পড়বে।
প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদ থাকলে আপৎকালে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রব্যমূল্যের বেপরোয়া ঊর্ধ্বগতি রুখে বাজারে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও এই মজুদ বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের মতো ঘন ঘন বিপর্যয়ের দেশে এই মজুদ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধু গুদাম-সংকটের কারণেই প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রার খাদ্যমজুদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দেখেছি, গুদাম-সংকটের কারণে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান বারবার বিলম্বিত ও বিঘ্নিত হচ্ছে। এ জন্য বিদ্যমান গুদামের মেরামত ও খাদ্যশস্য সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে এগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন নতুন গুদাম নির্মাণ করা। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামে শিগগিরই চেম্বারের বোধোদয় ঘটবে এবং তারা খাদ্যগুদামগুলো সত্বর ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থের ওপরে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেবে বলে আমরা আশা করি।
গত শনিবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত এই গুদামগুলো চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভাড়া নিয়েছিল। যদিও শর্ত ছিল, সরকার চাইলে এক মাসের নোটিশে গুদামগুলো ফেরত দেবে, কিন্তু গত ১১ মাসে চেম্বারকে অন্তত ১০ বার চিঠি দিয়ে গুদাম ফেরত দেওয়ার কথা বলা হলেও চেম্বার এখনো গুদাম ফেরত দেয়নি। এর পেছনে কারণ, গুদামগুলো ভাড়া নিয়ে চেম্বার আবার নিজে আরও বেশি দামে গুদাম ভাড়া দিয়ে লাভ করছে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম শহরে এত সস্তায় এমন মানের গুদাম পাওয়া যায় না। তাই এগুলো একবার হাতছাড়া হলে আর পাওয়া যাবে কি না, সেই আশঙ্কা থেকেও তারা এগুলো ফেরত দিচ্ছে না। ফেরত না দিয়ে চেম্বার স্পষ্টত শর্ত ভঙ্গ করেছে। শর্ত ভঙ্গ করে চেম্বার যদি খাদ্যগুদাম ফেরত না দেওয়ার অবস্থানে অটল থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই চেম্বারের প্রতি মানুষের আস্থার ওপর এর প্রভাব পড়বে।
প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদ থাকলে আপৎকালে খোলাবাজারে খাদ্যশস্য বিক্রিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আর দ্রব্যমূল্যের বেপরোয়া ঊর্ধ্বগতি রুখে বাজারে ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও এই মজুদ বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের মতো ঘন ঘন বিপর্যয়ের দেশে এই মজুদ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুধু গুদাম-সংকটের কারণেই প্রয়োজনীয় লক্ষ্যমাত্রার খাদ্যমজুদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দেখেছি, গুদাম-সংকটের কারণে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান বারবার বিলম্বিত ও বিঘ্নিত হচ্ছে। এ জন্য বিদ্যমান গুদামের মেরামত ও খাদ্যশস্য সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলার মাধ্যমে এগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন নতুন গুদাম নির্মাণ করা। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামে শিগগিরই চেম্বারের বোধোদয় ঘটবে এবং তারা খাদ্যগুদামগুলো সত্বর ফিরিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থের ওপরে দেশের খাদ্যনিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেবে বলে আমরা আশা করি।
No comments