আদালতের রায় উপেক্ষা করতে পারে না বিআইডব্লিউটিএ-নদীতে অবৈধ স্থাপনা
ঢাকার চারপাশের চারটি নদী রক্ষায় সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর উচিত ছিল নির্দ্বিধায় তা মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তারা সেই পথে না গিয়ে কেন যে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে, সেটাই ভাবনার বিষয়।
বিআইডব্লিউটিএর সর্বশেষ রিটের জবাবে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই নদীতে অবৈধ স্থাপনা রাখা যাবে না।
এর আগে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ চার নদীর ওপর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা আপিল করেও সুবিধা করতে পারেননি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ ছিল না। তদারকি সংস্থা হিসেবে বিআইডব্লিউটিএর কাজ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মনোযোগী হওয়া। তারা সেটি না করে আদালতের আদেশের ব্যাখ্যা চেয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। এটি ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংস্থাটির ভূমিকাও রহস্যজনক। কিছুদিন পর পর তারা উচ্ছেদ অভিযান চালালেও নদী দখলমুক্ত করতে পারেনি। কমাতে পারেনি অবৈধ স্থাপনাকারীদের দৌরাত্ম্য। দখলদারদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশের যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলা যাবে না। আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর আশা করি, বিআইডব্লিউটিএর চৈতন্যোদয় ঘটবে এবং অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা নেবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত এই সংস্থা আদালতের রায় উপেক্ষা করতে কিংবা জনস্বার্থের বিপক্ষে যেতে পারে না। বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো যারা মেরে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি ঢাকার পাঁচটি খাল উদ্ধারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে মানুষ। এর আগে বহুবার ঢাকার খাল ও চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কার্যকর করা যায়নি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে। এবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না
বলেই প্রত্যাশিত।
এর আগে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ চার নদীর ওপর সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ দিয়ে তা কার্যকর করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিলেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা আপিল করেও সুবিধা করতে পারেননি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন। ফলে এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ ছিল না। তদারকি সংস্থা হিসেবে বিআইডব্লিউটিএর কাজ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মনোযোগী হওয়া। তারা সেটি না করে আদালতের আদেশের ব্যাখ্যা চেয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। এটি ভালো দৃষ্টান্ত নয়।
নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংস্থাটির ভূমিকাও রহস্যজনক। কিছুদিন পর পর তারা উচ্ছেদ অভিযান চালালেও নদী দখলমুক্ত করতে পারেনি। কমাতে পারেনি অবৈধ স্থাপনাকারীদের দৌরাত্ম্য। দখলদারদের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশের যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলা যাবে না। আদালতের সর্বশেষ রায়ের পর আশা করি, বিআইডব্লিউটিএর চৈতন্যোদয় ঘটবে এবং অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা নেবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত এই সংস্থা আদালতের রায় উপেক্ষা করতে কিংবা জনস্বার্থের বিপক্ষে যেতে পারে না। বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো যারা মেরে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এর পাশাপাশি ঢাকার পাঁচটি খাল উদ্ধারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে মানুষ। এর আগে বহুবার ঢাকার খাল ও চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কার্যকর করা যায়নি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে। এবার তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না
বলেই প্রত্যাশিত।
No comments