স্মরণ-ক্ষুদিরামের কথা বলছি by সুরঞ্জিত বৈদ্য
অগ্নিযুগের মহান শহীদ ক্ষুদিরাম বসু (জন্ম ৩ ডিসেম্বর, ১৮৮৯; মৃত্যু ১১ আগস্ট, ১৯০৮)। যাঁর জীবন সংক্ষিপ্ত, কিন্তু ইতিহাস বৃহৎ। যে ইতিহাসের যবনিকাপাত করতে চেয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। তাতে কি তারা সফল হয়েছিল? আদৌ না।
তারা ব্যক্তি ক্ষুদিরামকে এই দিনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল বটে, কিন্তু সারা ভারতের মানুষের হূদয়ে ক্ষুদিরাম যে স্বাধীনতার অগ্নিমশাল প্রজ্বালন করেছিলেন, শত চেষ্টা করেও ব্রিটিশরা তা নেভাতে পারেনি। এখানেই ক্ষুদিরামের সার্থকতা।
তাঁর কথাই বলা হবে আজ।
খুব ছোটবেলায় পিতৃ-মাতৃহারা ক্ষুদিরাম দিদি অপরূপা দেবীর সংসারে পরম স্নেহে মানুষ হতে থাকেন। সেবামূলক ও দুঃসাহসিক কাজের প্রতি ছোটবেলা থেকেই তাঁর ছিল সীমাহীন আগ্রহ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। দেশের জন্য নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত দেখে সত্যেন্দ্রনাথ তাঁকে সে যুগের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ‘যুগান্তর’ দলের সদস্য করে নেন। এই দল সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সত্যেন্দ্রনাথ এক তাঁতশালা স্থাপন করেছিলেন। তাঁতশালার আড়ালে তিনি তাঁর শিষ্যদের লাঠিখেলা, অসি চালনা, বোমা ফাটানো, পিস্তল ও বন্দুক ছোড়া ইত্যাদি শিক্ষা দিতেন। এই বিদ্যায় সর্বাপেক্ষা পারদর্শী ক্ষুদিরাম সত্যেন্দ্রনাথের পূর্ণ আস্থা অর্জন করেন। এ সময় কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড বিপ্লবী দলের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিমূলে কাঁপন ধরাতে বিপ্লবীরা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেয় কিংসফোর্ডকে হত্যা করার। যথাসময়ে এ দায়িত্ব অর্পন করা হয় ১৮ বছরের তরতাজা যুবক ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। আর তাঁর সহযোগী করা হয় রংপুরের আরেক যুবক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে।
বিপ্লবীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এড়াতে কিংসফোর্ডকে বদলি করা হয় মজফফরপুরে। দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ দুই তরুণ বিপ্লবী জীবনের কঠিন ব্রত পালন করতে রওনা দিলেন মজফফরপুরে। দুজনের কেউ কাউকে চিনতেন না। রেলস্টেশনেই দুজনের প্রথম আলাপ-পরিচয়। এরপর দুজনে একত্রে আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকেন। কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেই ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব। অফিস আর ক্লাব ছাড়া কিংসফোর্ড বাইরে কোথাও যেতেন না।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। সেদিন কিংসফোর্ডের খেলার সঙ্গী ছিলেন একজন বড় উকিল মি. কেনেডির পত্নী ও তাঁর কন্যা। রাত আটটার দিকে খেলা শেষ হলো। মিস ও মিসেস কেনেডি কিংসফোর্ডের গাড়ির মতো হুবহু আরেকটি গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলেন। আগে থেকেই বাইরে দুই বিপ্লবী প্রস্তুত ছিলেন। গাড়িটি গেট পার হতে না হতেই প্রচণ্ড শব্দে পুরো শহর কাঁপিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরিত হলো। কেনেডির পত্নী ও তাঁর কন্যা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। বিধ্বস্ত গাড়ি একপাশে উল্টে পড়ে। যাঁকে হত্যার জন্য বোমা বিস্ফোরণ, সেই কিংসফোর্ডের অক্ষত গাড়িটি মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে। বোমা নিক্ষেপ করেই দুই বিপ্লবী ছুটলেন দুদিকে। ততক্ষণে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার আগে ক্ষুদিরামকে বলা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গীর নাম দীনেশ, আর প্রফুল্ল চাকীকে বলা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গী যে হবে, তাঁর নাম হরেন। এটাই ছিল তখন বিপ্লবী দলের নিয়ম। পরদিন ওয়াইসি রেলস্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম। পুলিশবেষ্টিত ক্ষুদিরামকে একনজর দেখতে গোটা শহর যেন মুহূর্তে ভেঙে পড়ল ওয়াইসি রেলস্টেশনে। উৎসুক জনতার উদ্দেশে ক্ষুদিরামের কণ্ঠে তখন ধ্বনিত হলো বজ্রনিনাদ ‘...বন্দে মাতরম...বন্দে মাতরম।’ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মজফফরপুরের এসপির নেতৃত্বে দ্রুতই ক্ষুদিরামকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে নেওয়া হয়। ক্ষুদিরাম জবানবন্দি দিলেন। কী ছিল সেই জবানবন্দিতে? জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ সি উডম্যানের কাছে ক্ষুদিরাম অকপটে ঘটনার সব দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। উদ্দেশ্য একটাই, দীনেশকে বাঁচানো। কিন্তু দুই দিন পর যখন জানতে পারলেন, পুলিশের কাছে ধরা পড়ার আগেই দীনেশ (নিজের পিস্তলের গুলিতে) আত্মহত্যা করেছেন, তখন দ্বিতীয় জবানবন্দিতে ক্ষুদিরাম ঘটনার সব দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন দীনেশের ওপর।
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই তরুণ বিপ্লবীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার অনেকটা বিপাকেই পড়ে। যত দিন যাচ্ছিল, ততই সারা ভারতে ক্ষুদিরামকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হচ্ছিল। ব্রিটিশের মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে যায়, যেদিন মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা মোতাবেক ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ঠিক হয় ১১ আগস্ট ১৯০৮ ভোর পাঁচটায় ক্ষুদিরামের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের আগে কারা ফটকের অদূরে লোকে লাকারণ্য। ভোর পাঁচটা এক মিনিটে ক্ষুদিরাম যখন বীরদর্পে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়ালেন, তখন কারা অভ্যন্তরের বাইরে অজস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হলো একটি স্লোগান—বন্দে মাতরম।
আজ ক্ষুদিরাম নেই। তাঁর মৃত্যুর একগুলো বছর পরে এসেও যখন হাটে-মাঠে-ঘাটে পথ চলতে প্রায়ই বাউল, সাধক, কবিয়ালদের কণ্ঠে আচমকা শুনতে পাই ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’, তখন মনে হয় দেশের জন্য ক্ষুদিরামের এই আত্মদান বৃথা যায়নি। তাঁর মতো ক্ষুদিরামদের কারণেই একদিন ব্রিটিশ এ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তাঁর মতো লাখ লাখ ক্ষুদিরামের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল।
ক্ষুদিরামদের মৃত্যু নেই। দেশের প্রতিটি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির আকুলতায় ক্ষুদিরাম তাই বেঁচে থাকবেন যুগ-যুগান্তর।
তাঁর কথাই বলা হবে আজ।
খুব ছোটবেলায় পিতৃ-মাতৃহারা ক্ষুদিরাম দিদি অপরূপা দেবীর সংসারে পরম স্নেহে মানুষ হতে থাকেন। সেবামূলক ও দুঃসাহসিক কাজের প্রতি ছোটবেলা থেকেই তাঁর ছিল সীমাহীন আগ্রহ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। দেশের জন্য নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত দেখে সত্যেন্দ্রনাথ তাঁকে সে যুগের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ‘যুগান্তর’ দলের সদস্য করে নেন। এই দল সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সত্যেন্দ্রনাথ এক তাঁতশালা স্থাপন করেছিলেন। তাঁতশালার আড়ালে তিনি তাঁর শিষ্যদের লাঠিখেলা, অসি চালনা, বোমা ফাটানো, পিস্তল ও বন্দুক ছোড়া ইত্যাদি শিক্ষা দিতেন। এই বিদ্যায় সর্বাপেক্ষা পারদর্শী ক্ষুদিরাম সত্যেন্দ্রনাথের পূর্ণ আস্থা অর্জন করেন। এ সময় কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড বিপ্লবী দলের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিমূলে কাঁপন ধরাতে বিপ্লবীরা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেয় কিংসফোর্ডকে হত্যা করার। যথাসময়ে এ দায়িত্ব অর্পন করা হয় ১৮ বছরের তরতাজা যুবক ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। আর তাঁর সহযোগী করা হয় রংপুরের আরেক যুবক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে।
বিপ্লবীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এড়াতে কিংসফোর্ডকে বদলি করা হয় মজফফরপুরে। দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ দুই তরুণ বিপ্লবী জীবনের কঠিন ব্রত পালন করতে রওনা দিলেন মজফফরপুরে। দুজনের কেউ কাউকে চিনতেন না। রেলস্টেশনেই দুজনের প্রথম আলাপ-পরিচয়। এরপর দুজনে একত্রে আশ্রয় নেন একটি হোটেলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকেন। কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেই ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব। অফিস আর ক্লাব ছাড়া কিংসফোর্ড বাইরে কোথাও যেতেন না।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। সেদিন কিংসফোর্ডের খেলার সঙ্গী ছিলেন একজন বড় উকিল মি. কেনেডির পত্নী ও তাঁর কন্যা। রাত আটটার দিকে খেলা শেষ হলো। মিস ও মিসেস কেনেডি কিংসফোর্ডের গাড়ির মতো হুবহু আরেকটি গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলেন। আগে থেকেই বাইরে দুই বিপ্লবী প্রস্তুত ছিলেন। গাড়িটি গেট পার হতে না হতেই প্রচণ্ড শব্দে পুরো শহর কাঁপিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরিত হলো। কেনেডির পত্নী ও তাঁর কন্যা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। বিধ্বস্ত গাড়ি একপাশে উল্টে পড়ে। যাঁকে হত্যার জন্য বোমা বিস্ফোরণ, সেই কিংসফোর্ডের অক্ষত গাড়িটি মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে। বোমা নিক্ষেপ করেই দুই বিপ্লবী ছুটলেন দুদিকে। ততক্ষণে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার আগে ক্ষুদিরামকে বলা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গীর নাম দীনেশ, আর প্রফুল্ল চাকীকে বলা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গী যে হবে, তাঁর নাম হরেন। এটাই ছিল তখন বিপ্লবী দলের নিয়ম। পরদিন ওয়াইসি রেলস্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম। পুলিশবেষ্টিত ক্ষুদিরামকে একনজর দেখতে গোটা শহর যেন মুহূর্তে ভেঙে পড়ল ওয়াইসি রেলস্টেশনে। উৎসুক জনতার উদ্দেশে ক্ষুদিরামের কণ্ঠে তখন ধ্বনিত হলো বজ্রনিনাদ ‘...বন্দে মাতরম...বন্দে মাতরম।’ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মজফফরপুরের এসপির নেতৃত্বে দ্রুতই ক্ষুদিরামকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে নেওয়া হয়। ক্ষুদিরাম জবানবন্দি দিলেন। কী ছিল সেই জবানবন্দিতে? জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ সি উডম্যানের কাছে ক্ষুদিরাম অকপটে ঘটনার সব দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। উদ্দেশ্য একটাই, দীনেশকে বাঁচানো। কিন্তু দুই দিন পর যখন জানতে পারলেন, পুলিশের কাছে ধরা পড়ার আগেই দীনেশ (নিজের পিস্তলের গুলিতে) আত্মহত্যা করেছেন, তখন দ্বিতীয় জবানবন্দিতে ক্ষুদিরাম ঘটনার সব দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন দীনেশের ওপর।
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই তরুণ বিপ্লবীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার অনেকটা বিপাকেই পড়ে। যত দিন যাচ্ছিল, ততই সারা ভারতে ক্ষুদিরামকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হচ্ছিল। ব্রিটিশের মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে যায়, যেদিন মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা মোতাবেক ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ঠিক হয় ১১ আগস্ট ১৯০৮ ভোর পাঁচটায় ক্ষুদিরামের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের আগে কারা ফটকের অদূরে লোকে লাকারণ্য। ভোর পাঁচটা এক মিনিটে ক্ষুদিরাম যখন বীরদর্পে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়ালেন, তখন কারা অভ্যন্তরের বাইরে অজস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হলো একটি স্লোগান—বন্দে মাতরম।
আজ ক্ষুদিরাম নেই। তাঁর মৃত্যুর একগুলো বছর পরে এসেও যখন হাটে-মাঠে-ঘাটে পথ চলতে প্রায়ই বাউল, সাধক, কবিয়ালদের কণ্ঠে আচমকা শুনতে পাই ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’, তখন মনে হয় দেশের জন্য ক্ষুদিরামের এই আত্মদান বৃথা যায়নি। তাঁর মতো ক্ষুদিরামদের কারণেই একদিন ব্রিটিশ এ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তাঁর মতো লাখ লাখ ক্ষুদিরামের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল।
ক্ষুদিরামদের মৃত্যু নেই। দেশের প্রতিটি শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির আকুলতায় ক্ষুদিরাম তাই বেঁচে থাকবেন যুগ-যুগান্তর।
No comments