কাতার এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে চায়-তবে নারাজ দরপত্রে অংশ নিতে by আরিফুজ্জামান তুহিন
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী দ্বীপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর (এলএনজি) এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাতারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কাতারকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে।
তবে কাতার দরপত্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে কাতারের আলোচনা চললেও মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ফয়সালা হয়নি। টার্মিনাল নির্মাণের আন্তর্জাতিক দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা এ পর্যন্ত চারবার বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে কাতারের সঙ্গে এলএনজি আমদানি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য জানায়।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেন গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাতারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা এখানে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়। এ জন্য তারা আমাদের প্রস্তাব দিতে বলেছে। আমরা শিগগিরই প্রস্তাব পাঠাব।' এক প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'কাতার কোনো ধরনের দরপত্রের মাধ্যমে বা টেন্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে তাদের আমরা বলেছি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারে অথবা বিশেষ জ্বালানি আইন ২০১০-এর অধীন আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) যেভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, সেভাবেও করতে পারে।' এলএনজি টার্মিনালের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত, তাহলে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র কিভাবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণই জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।'
সুত্র জানায়, গত ২৭ মে রাজধানীর একটি হোটেলে কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন জবর আল-থানির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে কাতারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কাতারের সহকারী মন্ত্রী শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন জবর আল-থানি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের বলেন, যৌথ বিনিয়োগে বা দীর্ঘ মেয়াদি আইপিপি চুক্তির ভিত্তিতে এই কেন্দ্র নির্মাণ করতে কাতার আগ্রহী। তবে এজন্য কাতার কোনো ধরনের দরপত্রে অংশ নেবে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র মতে, এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ উভয় দেশ আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ লাইন থাকায় আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ করা সহজ হবে বলে মনে করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ফার্নেস অয়েল থেকে এলএনজির দাম কম। ১৬ ডলারে যে পরিমাণ এলএনজি পাওয়া যায়, সে পরিমাণ ফার্নেস অয়েলের দাম পড়ে ২০ ডলারের উপরে। এ ছাড়া গত দুই বছরে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু এলএনজির ক্ষেত্রে তা হয়নি। পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, এখন যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে, তাতে খুব বেশি দিন চলার সম্ভাবনা নেই। নতুন গ্যাসের মজুদ না পাওয়া গেলে সম্ভাব্য বিকল্প কী হবে সে প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
সূত্র জানায়, এলএনজি সারা দেশে পেঁৗছে দেওয়ার জন্য জিটিসিএল মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার সরবরাহ পাইপ লাইন স্থাপন করতে চায়। ভারতীয় মান কম্পানির তিন কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৫ ডলার দরপ্রস্তাব বিবেচনা করে জিটিসিএল পাইপ লাইন সরবরাহ করার জন্য কম্পানিটিকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে আটকে আছে।
এদিকে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় চতুর্থবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। শেষ দফায় দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩১ মে সময় নির্ধারণ করা হলেও কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি। এখন আরো ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা একটি কম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা ৩১ মে থেকে ১০ দিন বাড়ানো হয়।
এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন এলেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, 'সময় স্বল্পতার কারণে স্যামসাং আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেনি। আমরা আশা করছি, যে চারটি কম্পানি সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে তারা সবাই দরপত্র জমা দেবে। টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আগ্রহী ১০টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির সংক্ষিপ্ত তালিকা পেট্রোবাংলা করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। কম্পানি চারটি হলো ভারতের হিরানান্দিয়ানি, যুক্তরাস্ট্রের ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন ও ব্রিটেনের গোলার এলএনজি এনার্জি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোফাজ্জেল হোসেন গতকাল সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাতারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা এখানে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়। এ জন্য তারা আমাদের প্রস্তাব দিতে বলেছে। আমরা শিগগিরই প্রস্তাব পাঠাব।' এক প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'কাতার কোনো ধরনের দরপত্রের মাধ্যমে বা টেন্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে তাদের আমরা বলেছি, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারে অথবা বিশেষ জ্বালানি আইন ২০১০-এর অধীন আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার) যেভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, সেভাবেও করতে পারে।' এলএনজি টার্মিনালের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত, তাহলে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র কিভাবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণই জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।'
সুত্র জানায়, গত ২৭ মে রাজধানীর একটি হোটেলে কাতারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন জবর আল-থানির নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে কাতারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারা বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কাতারের সহকারী মন্ত্রী শেখ আহমেদ বিন মোহাম্মদ বিন জবর আল-থানি বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের বলেন, যৌথ বিনিয়োগে বা দীর্ঘ মেয়াদি আইপিপি চুক্তির ভিত্তিতে এই কেন্দ্র নির্মাণ করতে কাতার আগ্রহী। তবে এজন্য কাতার কোনো ধরনের দরপত্রে অংশ নেবে না বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র মতে, এলএনজিনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ উভয় দেশ আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ লাইন থাকায় আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ করা সহজ হবে বলে মনে করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ফার্নেস অয়েল থেকে এলএনজির দাম কম। ১৬ ডলারে যে পরিমাণ এলএনজি পাওয়া যায়, সে পরিমাণ ফার্নেস অয়েলের দাম পড়ে ২০ ডলারের উপরে। এ ছাড়া গত দুই বছরে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু এলএনজির ক্ষেত্রে তা হয়নি। পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, এখন যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ আছে, তাতে খুব বেশি দিন চলার সম্ভাবনা নেই। নতুন গ্যাসের মজুদ না পাওয়া গেলে সম্ভাব্য বিকল্প কী হবে সে প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে।
সূত্র জানায়, এলএনজি সারা দেশে পেঁৗছে দেওয়ার জন্য জিটিসিএল মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার সরবরাহ পাইপ লাইন স্থাপন করতে চায়। ভারতীয় মান কম্পানির তিন কোটি ৬৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৭৫ ডলার দরপ্রস্তাব বিবেচনা করে জিটিসিএল পাইপ লাইন সরবরাহ করার জন্য কম্পানিটিকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে আটকে আছে।
এদিকে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র জমা দেওয়ার সময় চতুর্থবারের মতো বাড়ানো হয়েছে। শেষ দফায় দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৩১ মে সময় নির্ধারণ করা হলেও কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি। এখন আরো ১০ দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা একটি কম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে সময়সীমা ৩১ মে থেকে ১০ দিন বাড়ানো হয়।
এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন এলেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, 'সময় স্বল্পতার কারণে স্যামসাং আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেনি। আমরা আশা করছি, যে চারটি কম্পানি সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে তারা সবাই দরপত্র জমা দেবে। টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আগ্রহী ১০টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটির সংক্ষিপ্ত তালিকা পেট্রোবাংলা করেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। কম্পানি চারটি হলো ভারতের হিরানান্দিয়ানি, যুক্তরাস্ট্রের ইউএস অ্যাস্ট্রা ওয়েল অ্যান্ড এক্সিলারেট এনার্জি, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন ও ব্রিটেনের গোলার এলএনজি এনার্জি।
No comments