আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ফারুক মৃধা ও এনামুলকে
মধ্যরাতের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইউসুফ আলী মৃধা, ওমর ফারুক তালুকদার ও এনামুল হককে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধান ও তিনজনের দেওয়া জবানবন্দির মধ্যে অমিল পাওয়ায় দুদক পুনরায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয়।
সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের চাকরিচ্যুত সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট এনামুল হক গত ১৮ এপ্রিল দুদকে জবানবন্দি দেন। দুদক এসব কর্মকর্তার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তদন্ত করে অনেক তথ্যগত গরমিল পাওয়া গেছে। কমিশন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে সন্তুষ্ট নয়। তাই আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডাকা হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছিল, সেগুলোও জমা দিয়েছেন তাঁরা। সম্পদ ও জবানবন্দি—দুটি মিলিয়ে তদন্ত কাজ এগিয়ে যাবে।
দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ওমর ফারুক, ইউসুফ আলী মৃধা ও তাঁর স্ত্রী জাকিয়া ইউসুফ, এনামুল হক ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা দীবা নিজেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দুদকে জমা দেন। তাঁদের জমা দেওয়া বিবরণীতে প্রত্যেকেরই বাড়ি-ফ্ল্যাট, গাড়িসহ অনেক সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সোমবার ওমর ফারুক আগের দিনের দেওয়া হিসাব বিবরণীর সঙ্গে নতুন করে আরও আট লাখ টাকার হিসাব কমিশনে জমা দেন। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন দুদকের কমিশনার মো. বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, নতুন এই আট লাখ টাকা ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন ও এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
বদিউজ্জামান আরও বলেন, সম্পদের হিসাব যাচাই করা হবে। অবৈধ বা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত আরও কোনো সম্পদ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জমা দেওয়া সম্পদ-বিবরণী, তাঁদের জবানবন্দি এবং কমিশনের প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে গরমিল পাওয়া গেলে কমিশন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িচালক আলী আজম খান মাইক্রোবাস নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান কার্যালয় পিলখানায় ঢুকে গাড়িতে অনেক টাকা আছে বলে চিৎকার শুরু করেন। গাড়িতে সে সময় ফারুক ছাড়াও ইউসুফ আলী মৃধা ও এনামুল হক ছিলেন। সবাইকে বিজিবির সদস্যরা আটক করেন এবং পরদিন ছেড়ে দেন। আটকের পর সবাই বলেছিলেন, গাড়ি নিয়ে মন্ত্রীর বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকেই চালক আজম নিখোঁজ। পরে ফারুক স্বীকার করেন, গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেল মন্ত্রণালয়ের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি এখন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী।
দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ওমর ফারুক, ইউসুফ আলী মৃধা ও তাঁর স্ত্রী জাকিয়া ইউসুফ, এনামুল হক ও তাঁর স্ত্রী রাহাত আরা দীবা নিজেদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দুদকে জমা দেন। তাঁদের জমা দেওয়া বিবরণীতে প্রত্যেকেরই বাড়ি-ফ্ল্যাট, গাড়িসহ অনেক সম্পদ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সোমবার ওমর ফারুক আগের দিনের দেওয়া হিসাব বিবরণীর সঙ্গে নতুন করে আরও আট লাখ টাকার হিসাব কমিশনে জমা দেন। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন দুদকের কমিশনার মো. বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, নতুন এই আট লাখ টাকা ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন ও এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বলে উল্লেখ করা হয়।
বদিউজ্জামান আরও বলেন, সম্পদের হিসাব যাচাই করা হবে। অবৈধ বা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত আরও কোনো সম্পদ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জমা দেওয়া সম্পদ-বিবরণী, তাঁদের জবানবন্দি এবং কমিশনের প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে গরমিল পাওয়া গেলে কমিশন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িচালক আলী আজম খান মাইক্রোবাস নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান কার্যালয় পিলখানায় ঢুকে গাড়িতে অনেক টাকা আছে বলে চিৎকার শুরু করেন। গাড়িতে সে সময় ফারুক ছাড়াও ইউসুফ আলী মৃধা ও এনামুল হক ছিলেন। সবাইকে বিজিবির সদস্যরা আটক করেন এবং পরদিন ছেড়ে দেন। আটকের পর সবাই বলেছিলেন, গাড়ি নিয়ে মন্ত্রীর বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ঘটনার পর থেকেই চালক আজম নিখোঁজ। পরে ফারুক স্বীকার করেন, গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেল মন্ত্রণালয়ের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি এখন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী।
No comments