ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার নয়-সংসদীয় কমিটির দায়দায়িত্ব
মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা তদারক করার জন্যই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। আগের সংসদগুলোতে কমিটি গঠনে বিলম্ব হলেও নবম সংসদের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল যথাসময়ে। কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরোধী দল ও মহাজোটের শরিককে।
জনমনে স্বভাবতই আশা জেগেছিল, এবারে সংসদীয় কমিটিগুলো নিয়মিত বৈঠকে বসবে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আদায় করবে। কিন্তু সোমবার ‘অধিকাংশ সংসদীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক হয় না’ শিরোনামে প্রথম আলোয় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা হতাশাজনক।
সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী, সংসদীয় কমিটিগুলোর মাসে একবার বসার কথা। কিন্তু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ৩৬টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে ২৫টিই নিয়মিত বৈঠক করছে না। আবার যেসব মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি নিয়মিত বৈঠক করছে, তারাও ঠিকমতো সুপারিশ করছে না। বৈঠকের কার্যবিরণীতে মন্ত্রণালয় লাভবান হবে না। এর পাশাপাশি যে তথ্যটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো, ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থে কমিটিকে ব্যবহার। উদাহরণ হিসেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কথা বলা যায়। এই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও একাধিক সদস্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাঁদের ব্যবসায়িক স্বার্থে জড়িয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডাও হয়েছে। এটি মোটেই ভালো দৃষ্টান্ত নয়। যেসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত, সেসব মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে তাঁদের থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। প্রয়োজনে স্পিকার কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে পারেন।
সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যবিধি মেনে কাজ করলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। একে অপরের কাজে হস্তক্ষেপ করলেই যত বিপত্তি দেখা দেয়। মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে নিয়মিত তদারকির বিকল্প নেই। মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির বিরোধের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সংসদ নেত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। তিনি সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমান সংসদের বয়স মাত্র ১৬ মাস। বাকি সময়টা স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়মিত বৈঠক করে মন্ত্রণালয়ের কাজের তদারক করবে বলে আশা করি। কমিটির সদস্যরা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাঁদের আর মন্ত্রণালয়ের কাজের তদন্ত করার নৈতিক অধিকার থাকে না। আবার মন্ত্রণালয়গুলোও নিজেদের খেয়ালখুশিমতো সবকিছু করতে পারে না। তাদের অবশ্যই সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নিতে হবে। প্রকৃত প্রস্তাবে সংসদীয় গণতন্ত্র তখনই টেকসই হবে, যখন মন্ত্রণালয় ও কমিটিগুলো নিজ নিজ এখতিয়ার মেনে তাদের দায়িত্ব সুষুমভাবে পালন করবে।
সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী, সংসদীয় কমিটিগুলোর মাসে একবার বসার কথা। কিন্তু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ৩৬টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে ২৫টিই নিয়মিত বৈঠক করছে না। আবার যেসব মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি নিয়মিত বৈঠক করছে, তারাও ঠিকমতো সুপারিশ করছে না। বৈঠকের কার্যবিরণীতে মন্ত্রণালয় লাভবান হবে না। এর পাশাপাশি যে তথ্যটি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো, ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক স্বার্থে কমিটিকে ব্যবহার। উদাহরণ হিসেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কথা বলা যায়। এই মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও একাধিক সদস্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাঁদের ব্যবসায়িক স্বার্থে জড়িয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডাও হয়েছে। এটি মোটেই ভালো দৃষ্টান্ত নয়। যেসব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত, সেসব মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিতে তাঁদের থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। প্রয়োজনে স্পিকার কমিটিগুলো পুনর্গঠন করতে পারেন।
সংসদীয় কমিটিগুলো কার্যবিধি মেনে কাজ করলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। একে অপরের কাজে হস্তক্ষেপ করলেই যত বিপত্তি দেখা দেয়। মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে নিয়মিত তদারকির বিকল্প নেই। মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটির বিরোধের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সংসদ নেত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। তিনি সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন। বর্তমান সংসদের বয়স মাত্র ১৬ মাস। বাকি সময়টা স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়মিত বৈঠক করে মন্ত্রণালয়ের কাজের তদারক করবে বলে আশা করি। কমিটির সদস্যরা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তাঁদের আর মন্ত্রণালয়ের কাজের তদন্ত করার নৈতিক অধিকার থাকে না। আবার মন্ত্রণালয়গুলোও নিজেদের খেয়ালখুশিমতো সবকিছু করতে পারে না। তাদের অবশ্যই সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আমলে নিতে হবে। প্রকৃত প্রস্তাবে সংসদীয় গণতন্ত্র তখনই টেকসই হবে, যখন মন্ত্রণালয় ও কমিটিগুলো নিজ নিজ এখতিয়ার মেনে তাদের দায়িত্ব সুষুমভাবে পালন করবে।
No comments