দুবাই টেস্ট-সামনে তাকানোর সিরিজ!
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস কিংবা মিসবাহ-উল-হক, জেমস অ্যান্ডারসন কিংবা মোহাম্মদ হাফিজ—দুবাইয়ে পা রাখার পর থেকে সবার কণ্ঠে একই কথা—২০১০ সিরিজ পেছনে ফেলে এগিয়ে তাকাতে চাই সামনে। কেভিন পিটারসেন তো আরেকটু এগিয়ে বলছেন, মাঠে স্লেজিং অবশ্যই করবেন, কিন্তু ওই সিরিজের প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবেন না।
আজ দুবাইয়ে শুরু পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজটাকে তাই অনায়াসেই নাম দেওয়া যায় ‘সামনে তাকানোর সিরিজ!’
কিন্তু চাইলেই কি আর সব হয়! স্ট্রাউস-মিসবাহদের বারবার এটা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে, এতেই তো বোঝা যায়, ঘুরেফিরে আসছে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সিরিজ। আধুনিক ক্রিকেটকে নাড়া দেওয়া সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি, তিন ক্রিকেটার এখনো জেলে—ওই সিরিজের প্রসঙ্গ না এলে সেটাই হতো বিস্ময়ের। তাই মুখের কথা নয়, ওই কলঙ্কিত সিরিজকে চাপা দিতে পারে একটাই—মাঠের ক্রিকেট।
মাঠের ক্রিকেটে উত্তেজনা ছড়ানোর রসদ অবশ্য যথেষ্টই আছে সিরিজে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ড, বিদায়ী বছরের সফলতম টেস্ট দলও। র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান পাঁচে, কিন্তু বিদায়ী বছরে তারা ছিল ইংল্যান্ডের ঠিক পরেই। জয়-পরাজয়ের হারে বছরটি তো ছিল পাকিস্তানের ইতিহাস-সেরা। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ওই সিরিজের পর হাজারো ঝড়-ঝাপটা সামলেও কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি পাকিস্তান। ফর্মের তুঙ্গে থাকা দুই দলের লড়াইটা তাই জমজমাটই হওয়ার কথা।
একেবারে পাল্লায় তুলে দিলে শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবে পাঁচ মাস পর টেস্ট খেলতে নামছে তারা, মানিয়ে নিতে তাই খানিকটা সময় লাগতে পারে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য যথেষ্টই কাজে দেবে। নেটে ব্যাটিংয়ের সময় অ্যান্ডারসনের বোলিংয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন ব্রড। তবে গুরুতর কিছু নয়, ইংল্যান্ডের নতুন বল হাতে নেবেন এই দুজনই। দুজন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজানোও অনেকটা নিশ্চিত। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে আড়াই বছর পর টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে মন্টি পানেসার। আর গ্রায়েম সোয়ান তো আছেনই।
দুই স্পিনার নিয়ে খেলবে পাকিস্তানও—সাঈদ আজমলের সঙ্গে আবদুর রেহমান। পেস আক্রমণে উমর গুলের সঙ্গে জুনাইদ খান অথবা আইজাজ চিমা। বোলিং আক্রমণ ইংল্যান্ডের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দেওয়ার মতোই। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। তবে টানা খেলার মাঝে থাকা আর পরিচিত উইকেট-কন্ডিশন বাড়তি সুবিধা দেবে পাকিস্তানকে।
ইংল্যান্ডের জন্য অপেক্ষা করছে একটি ‘জ্যাকপট’। সিরিজ জিতলে, ড্র করলে বা এক টেস্টের ব্যবধানে হারলেও ১ এপ্রিল পর্যন্ত এক নম্বরে থাকা নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের গদাটা তো থাকছেই, পাশাপাশি আইসিসির কাছ থেকে মিলবে এক লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। তবে ডলার নয়, দলের সেরা বোলার অ্যান্ডারসন জানালেন তাঁদের লক্ষ্য—‘অনেক দিন এক নম্বরে থাকা, ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা দলগুলোর একটি হওয়া।’
আর পাকিস্তান? বিশ্বের সেরা দলকে হারানোর সুযোগ, এটাই তো সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা! এএফপি, ওয়েবসাইট।
কিন্তু চাইলেই কি আর সব হয়! স্ট্রাউস-মিসবাহদের বারবার এটা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে, এতেই তো বোঝা যায়, ঘুরেফিরে আসছে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সিরিজ। আধুনিক ক্রিকেটকে নাড়া দেওয়া সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি, তিন ক্রিকেটার এখনো জেলে—ওই সিরিজের প্রসঙ্গ না এলে সেটাই হতো বিস্ময়ের। তাই মুখের কথা নয়, ওই কলঙ্কিত সিরিজকে চাপা দিতে পারে একটাই—মাঠের ক্রিকেট।
মাঠের ক্রিকেটে উত্তেজনা ছড়ানোর রসদ অবশ্য যথেষ্টই আছে সিরিজে। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ইংল্যান্ড, বিদায়ী বছরের সফলতম টেস্ট দলও। র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান পাঁচে, কিন্তু বিদায়ী বছরে তারা ছিল ইংল্যান্ডের ঠিক পরেই। জয়-পরাজয়ের হারে বছরটি তো ছিল পাকিস্তানের ইতিহাস-সেরা। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ওই সিরিজের পর হাজারো ঝড়-ঝাপটা সামলেও কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি পাকিস্তান। ফর্মের তুঙ্গে থাকা দুই দলের লড়াইটা তাই জমজমাটই হওয়ার কথা।
একেবারে পাল্লায় তুলে দিলে শক্তি-সামর্থ্যের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবে পাঁচ মাস পর টেস্ট খেলতে নামছে তারা, মানিয়ে নিতে তাই খানিকটা সময় লাগতে পারে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য যথেষ্টই কাজে দেবে। নেটে ব্যাটিংয়ের সময় অ্যান্ডারসনের বোলিংয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন ব্রড। তবে গুরুতর কিছু নয়, ইংল্যান্ডের নতুন বল হাতে নেবেন এই দুজনই। দুজন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজানোও অনেকটা নিশ্চিত। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে আড়াই বছর পর টেস্ট খেলার দ্বারপ্রান্তে মন্টি পানেসার। আর গ্রায়েম সোয়ান তো আছেনই।
দুই স্পিনার নিয়ে খেলবে পাকিস্তানও—সাঈদ আজমলের সঙ্গে আবদুর রেহমান। পেস আক্রমণে উমর গুলের সঙ্গে জুনাইদ খান অথবা আইজাজ চিমা। বোলিং আক্রমণ ইংল্যান্ডের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দেওয়ার মতোই। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। তবে টানা খেলার মাঝে থাকা আর পরিচিত উইকেট-কন্ডিশন বাড়তি সুবিধা দেবে পাকিস্তানকে।
ইংল্যান্ডের জন্য অপেক্ষা করছে একটি ‘জ্যাকপট’। সিরিজ জিতলে, ড্র করলে বা এক টেস্টের ব্যবধানে হারলেও ১ এপ্রিল পর্যন্ত এক নম্বরে থাকা নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের গদাটা তো থাকছেই, পাশাপাশি আইসিসির কাছ থেকে মিলবে এক লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। তবে ডলার নয়, দলের সেরা বোলার অ্যান্ডারসন জানালেন তাঁদের লক্ষ্য—‘অনেক দিন এক নম্বরে থাকা, ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা দলগুলোর একটি হওয়া।’
আর পাকিস্তান? বিশ্বের সেরা দলকে হারানোর সুযোগ, এটাই তো সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা! এএফপি, ওয়েবসাইট।
No comments