ঋণমান হ্রাসের প্রভাবে বিশ্ব শেয়ারবাজার-এশিয়ায় পতন, ইউরোপে মিশ্র

ফ্রান্সসহ ইউরো অঞ্চলে নয়টি দেশের আন্তর্জাতিক ঋণমান কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। গত শুক্রবার ঋণমান নির্ণয়কারী অন্যতম আন্তর্জাতিক সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) এই ঋণমান কমিয়ে দেয়। তবে গতকাল আরেকটি ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা মুডিস ফ্রান্সের ঋণমান ‘এএএ’ অপরিবর্তিত রাখার কথা জানিয়েছে।


গতকাল সোমবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এশিয়ার শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটেছে। তবে ইউরোপের বাজারে ছিল মিশ্র প্রবণতা। গতকাল দিন শেষে জাপানের টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের নিক্কি সূচক প্রায় দেড় শতাংশ কমে গিয়েছে। অন্য প্রধান শেয়ারবাজারগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল প্রায় পৌনে ১ শতাংশ, তাইওয়ান ১ শতাংশ, সিঙ্গাপুর সোয়া শতাংশ, হংকং ১ শতাংশ ও চীনের সাংহাই পৌনে ২ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কয়েক মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান অবনমনের পর গত শুক্রবার ফ্রান্সের ঋণমান এক ধাপ কমে যাওয়াটা খুব বিস্ময়কর কোনো ব্যাপার নয়। কেননা, গোটা ইউরো অঞ্চলজুড়েই আর্থিক সংকট চলছে। আর ঋণমান পড়ে যাওয়া কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে পড়তে বাধ্য।
তবে গতকাল দিনের প্রথম ভাগে ইউরোপের বেশির ভাগ শেয়ারবাজারে ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।
উল্লেখ্য, ঋণমান কোনো দেশের আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের ও তা পরিশোধের সক্ষমতা নির্দেশ করে। ঋণমান কমে গেলে এসব দেশের বন্ডের সুদের হার বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ করা এসব দেশের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। সূত্র: বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.