এনামুলের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ
৫ জানুয়ারির ঘটনা। দুপুরবেলা শুয়ে শুয়ে ভাবছিলেন, নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজের আম্পায়ারিং করতে যাওয়ার কথা। এখনো কাগজপত্র আসছে না কেন? ২৬ জানুয়ারি সিরিজ শুরু হয়ে যাবে। তিন-চার সপ্তাহ আগেই তো সবকিছু পাঠিয়ে দেওয়ার কথা আইসিসি থেকে!
ভাবলেন, আইসিসির লজিস্টিক ম্যানেজারকে নিজেই একটা ই-মেইল করবেন। নিজের অ্যাকাউন্ট খুলে তো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়! লজিস্টিক ম্যানেজারের মেইল এসেছে, যেটি জানাচ্ছে, শুধু নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজ নয়, ২৬ জানুয়ারি নেপিয়ারে শুরু একমাত্র টেস্টটিতেও আম্পায়ার হিসেবে রড টাকারের সঙ্গী বাংলাদেশের এনামুল হক!
তাৎক্ষণিক আবেগে কেঁদেই ফেললেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার। ‘ই-মেইল পড়ে কী করব বুঝতে পারছিলাম না...কেঁদেই ফেললাম। বাসায় খবরটা দিলাম। বোনকে জানালাম। তবে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করা পর্যন্ত যেহেতু এসব খবর গোপন রাখতে হয়, তাই বেশি মানুষকে বলিনি’—দুই সপ্তাহ আগের স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন এনামুল। গত পরশু আইসিসির ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, বগুড়ায় জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচে। ৩৬টি ওয়ানডেতে মাঠে দাঁড়িয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ করেছেন তিনটি। কিন্তু খেলোয়াড়দের মতো আম্পায়ারেরও আরাধ্য হলো টেস্ট ম্যাচ। সেই স্বপ্ন পূরণেরই অপেক্ষায় ছিলেন এনামুল।
টেস্ট ম্যাচে দুজন আম্পায়ারই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের বাইরের হতে হবে—২০০২ সালের এপ্রিলে এই নিয়ম হওয়ার পর এনামুলই বাংলাদেশ থেকে প্রথম টেস্টে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে তাঁর আগে বাংলাদেশের তিনজন টেস্টে আম্পায়ারিং করেছেন। স্বাগতিক দেশ থেকে একজন আম্পায়ার থাকার নিয়ম যখন ছিল, তখন আখতারউদ্দিন, শওকাতুর রহমান, মাহবুবুর রহমান সাদা পোশাকে দাঁড়িয়েছেন টেস্টে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০টি টেস্ট আর ২৯টি ওয়ানডে খেলেছেন এনামুল। তবে মজার ব্যাপার হলো, খেলা আর আম্পায়ারিং—এই দুইয়ের মধ্যে এনামুল জীবনে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন আম্পায়ারিং করতেই, ‘কুমিল্লা লিগে আমি প্রথম খেলি ১৯৮০ কি ৮১ সালে। কিন্তু ওই লিগেই প্রথম আম্পায়ারিং করেছি ১৯৭৭-৭৮ সালে। এ ছাড়া কুমিল্লা জিলা স্কুলে পড়ার সময় প্রায়ই লিগে বা বড় ভাইদের খেলায় আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতাম। সেদিক দিয়ে আমি আগে আম্পায়ার, পরে খেলোয়াড়।’
আম্পায়ারিংয়ের প্রতি এই টানের কারণেই খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ভবিষ্যৎ পথ বেছে নিতে ভাবতে হয়নি। সমসাময়িক খেলোয়াড়েরা যখন কেউ কোচ, কেউ নির্বাচক, এনামুল তখন আম্পায়ার। ‘বন্ধু ক্রিকেটারদের মধ্যে আসলে আম্পায়ারিং জিনিসটাই ছিল না। তারা নির্বাচক, কোচ বা বোর্ড পরিচালক হিসেবেই ঠিক আছে। তবে আমি কোচিং উপভোগ করি না। কোচ হলে অনেক সময় অন্যের কথামতো চলতে হয়। আম্পায়াররা চলে ক্রিকেটের আইনের কথায়।’ আম্পায়ার হওয়ার এটাই বড় কারণ এনামুলের কাছে।
আম্পায়ার হওয়ার জ্বালাও অবশ্য আছে। বিশেষ করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন ক্লাব কর্মকর্তা আর দর্শকদের কান ঝালাপালা করা গালি শুনতে হয়! আর এ কারণেই খেলার চাইতে আম্পায়ারিংই বেশি কঠিন এনামুলের কাছে, ‘আম্পায়ারিংয়েই বেশি চাপ। এখানে দুই দলের ২০-২২ জন খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিতে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো দর্শক আর ক্লাব কর্মকর্তাদের কথাও ভাবতে হয়।’
তাৎক্ষণিক আবেগে কেঁদেই ফেললেন জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার। ‘ই-মেইল পড়ে কী করব বুঝতে পারছিলাম না...কেঁদেই ফেললাম। বাসায় খবরটা দিলাম। বোনকে জানালাম। তবে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না করা পর্যন্ত যেহেতু এসব খবর গোপন রাখতে হয়, তাই বেশি মানুষকে বলিনি’—দুই সপ্তাহ আগের স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন এনামুল। গত পরশু আইসিসির ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর, বগুড়ায় জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ ম্যাচে। ৩৬টি ওয়ানডেতে মাঠে দাঁড়িয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ করেছেন তিনটি। কিন্তু খেলোয়াড়দের মতো আম্পায়ারেরও আরাধ্য হলো টেস্ট ম্যাচ। সেই স্বপ্ন পূরণেরই অপেক্ষায় ছিলেন এনামুল।
টেস্ট ম্যাচে দুজন আম্পায়ারই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের বাইরের হতে হবে—২০০২ সালের এপ্রিলে এই নিয়ম হওয়ার পর এনামুলই বাংলাদেশ থেকে প্রথম টেস্টে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে তাঁর আগে বাংলাদেশের তিনজন টেস্টে আম্পায়ারিং করেছেন। স্বাগতিক দেশ থেকে একজন আম্পায়ার থাকার নিয়ম যখন ছিল, তখন আখতারউদ্দিন, শওকাতুর রহমান, মাহবুবুর রহমান সাদা পোশাকে দাঁড়িয়েছেন টেস্টে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ১০টি টেস্ট আর ২৯টি ওয়ানডে খেলেছেন এনামুল। তবে মজার ব্যাপার হলো, খেলা আর আম্পায়ারিং—এই দুইয়ের মধ্যে এনামুল জীবনে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন আম্পায়ারিং করতেই, ‘কুমিল্লা লিগে আমি প্রথম খেলি ১৯৮০ কি ৮১ সালে। কিন্তু ওই লিগেই প্রথম আম্পায়ারিং করেছি ১৯৭৭-৭৮ সালে। এ ছাড়া কুমিল্লা জিলা স্কুলে পড়ার সময় প্রায়ই লিগে বা বড় ভাইদের খেলায় আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতাম। সেদিক দিয়ে আমি আগে আম্পায়ার, পরে খেলোয়াড়।’
আম্পায়ারিংয়ের প্রতি এই টানের কারণেই খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ভবিষ্যৎ পথ বেছে নিতে ভাবতে হয়নি। সমসাময়িক খেলোয়াড়েরা যখন কেউ কোচ, কেউ নির্বাচক, এনামুল তখন আম্পায়ার। ‘বন্ধু ক্রিকেটারদের মধ্যে আসলে আম্পায়ারিং জিনিসটাই ছিল না। তারা নির্বাচক, কোচ বা বোর্ড পরিচালক হিসেবেই ঠিক আছে। তবে আমি কোচিং উপভোগ করি না। কোচ হলে অনেক সময় অন্যের কথামতো চলতে হয়। আম্পায়াররা চলে ক্রিকেটের আইনের কথায়।’ আম্পায়ার হওয়ার এটাই বড় কারণ এনামুলের কাছে।
আম্পায়ার হওয়ার জ্বালাও অবশ্য আছে। বিশেষ করে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখন ক্লাব কর্মকর্তা আর দর্শকদের কান ঝালাপালা করা গালি শুনতে হয়! আর এ কারণেই খেলার চাইতে আম্পায়ারিংই বেশি কঠিন এনামুলের কাছে, ‘আম্পায়ারিংয়েই বেশি চাপ। এখানে দুই দলের ২০-২২ জন খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিতে হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো দর্শক আর ক্লাব কর্মকর্তাদের কথাও ভাবতে হয়।’
No comments