ডিএসইর মূল্যসূচক আবারও পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল সোমবার আবারও বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই বাজার দরপতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক গতকাল এক দিনেই ১৬৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে গেছে। এর ফলে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আবার পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক প্রায় আড়াই শতাংশ বা ৩৬৩ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ১৪ হাজার পয়েন্টে।
এ নিয়ে টানা তিন দিন বাজারে দরপতন ঘটল। যদিও নতুন বছরের দরপতনের সূত্রপাত ঘটেছিল ৫ জানুয়ারি। শুরুর কয়েক দিন তা মূল্য সংশোধনের ধারায় থাকলেও ৯ জানুয়ারি থেকে সেটি দরপতনে রূপ নেয়। এ সময় বাজারে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি নানা মহল থেকে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়, তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, গতকালের বড় দরপতনে ভূমিকা রেখেছে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত বা কালোটাকা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন প্রজ্ঞাপন।
এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না। বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে এনবিআর অর্থের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। তবে অন্যান্য সংস্থা চাইলে তাদের স্ব-স্ব আইনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারবে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গত কয়েক দিনের দরপতনে এমনিতেই বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপন সেটিকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।
অবশ্য তাঁরা এও বলছেন যে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগের মধ্য দিয়ে বেআইনি বা অবৈধ পথে অর্জিত অর্থকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসা কখনো সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এভাবে নির্বিচারে কালোটাকাকে সুযোগ দেওয়া হলে তা বরং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বিনিয়োগকারীদের ভীত হওয়ার কিছু নেই। বরং কেউ কেউ এটিকে পুঁজি করে নিজেদের সুবিধা নিতে চেষ্টা করছেন।
দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে একদল বিনিয়োগকারী বিক্ষোভ করেছেন। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি ডিএসই ভবনের সামনের সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এটিই নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের প্রথম বিক্ষোভ। বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
এদিকে গতকাল মূল্যসূচকের পতন দিয়েই ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডিএসইর সাধারণ সূচক প্রায় ১২৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক পতনের গতি কিছুটা শ্লথ হলেও দুপুরের পর আবারও তা বেগবান হয়।
জরুরি সভা ডেকেছে ডিএসই
শেয়ারবাজারের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা ডেকেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৈঠক শেষে দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতন, সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এ নিয়ে টানা তিন দিন বাজারে দরপতন ঘটল। যদিও নতুন বছরের দরপতনের সূত্রপাত ঘটেছিল ৫ জানুয়ারি। শুরুর কয়েক দিন তা মূল্য সংশোধনের ধারায় থাকলেও ৯ জানুয়ারি থেকে সেটি দরপতনে রূপ নেয়। এ সময় বাজারে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি নানা মহল থেকে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়, তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ভীতি ছড়িয়ে পড়ে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অবশ্য বলছেন, গতকালের বড় দরপতনে ভূমিকা রেখেছে শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত বা কালোটাকা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন প্রজ্ঞাপন।
এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না। বৈধভাবে অর্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে এনবিআর অর্থের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবে না। তবে অন্যান্য সংস্থা চাইলে তাদের স্ব-স্ব আইনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারবে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গত কয়েক দিনের দরপতনে এমনিতেই বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপন সেটিকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।
অবশ্য তাঁরা এও বলছেন যে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগের মধ্য দিয়ে বেআইনি বা অবৈধ পথে অর্জিত অর্থকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসা কখনো সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। এভাবে নির্বিচারে কালোটাকাকে সুযোগ দেওয়া হলে তা বরং দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বিনিয়োগকারীদের ভীত হওয়ার কিছু নেই। বরং কেউ কেউ এটিকে পুঁজি করে নিজেদের সুবিধা নিতে চেষ্টা করছেন।
দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে একদল বিনিয়োগকারী বিক্ষোভ করেছেন। দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। এ সময় প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি ডিএসই ভবনের সামনের সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এটিই নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের প্রথম বিক্ষোভ। বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন ও ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
এদিকে গতকাল মূল্যসূচকের পতন দিয়েই ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডিএসইর সাধারণ সূচক প্রায় ১২৭ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক পতনের গতি কিছুটা শ্লথ হলেও দুপুরের পর আবারও তা বেগবান হয়।
জরুরি সভা ডেকেছে ডিএসই
শেয়ারবাজারের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা ডেকেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৈঠক শেষে দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক দরপতন, সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
No comments