লোহাগড়ায় বয়স্ক ভাতা উত্তোলনে ভোগান্তি
অশীতিপর বৃদ্ধা পদ্ম বেগম (৮৪) পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগে আক্রান্ত। রোববার ভ্যানে শুয়ে বয়স্ক ভাতার টাকা নিতে এসেছেন জনতা ব্যাংক লোহাগড়া শাখায়। মাঝেমধ্যে শরীরের ব্যথায় চিৎকার করে কাঁদছেন।নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের এই বৃদ্ধার সঙ্গে এসেছেন তাঁর পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগম।
আম্বিয়া বেগম দুপুর ১২টায় জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় এসে অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে ব্যাংকের সামনে অপেক্ষা করছেন। বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদক ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এক মিনিটের মধ্যে বৃদ্ধার হাতে টাকা এনে দেন।
শুধু পদ্ম বেগমই নন, এ ব্যাংকের সামনে বয়স্ক ভাতা নিতে কয়েক শ প্রবীণ অপেক্ষা করছেন। শীতে জবুথবু হয়ে লাইনে বসে আছেন পারপাচুড়িয়া গ্রামের অসুস্থ রহিমা বেগম (৭১) ও কুলছুম বেগম (৬৭)। বেলা ১২টায় তাঁরা জানালেন, সকাল নয়টা থেকে এখানে তাঁরা অপেক্ষা করছেন।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বলদেব বিশ্বাস জানান, এ শাখা থেকে ইতনা ও মল্লিকপুর ইউনিয়নের ৮৬৭ জনকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। ভাতা নেওয়ার জন্য চার দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বুধবারও দেওয়া হয়। বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিতেও এভাবে ভিড় সামাল দিতে হয়। তিনি বলেন, এদের কষ্ট দেখে তাঁদেরও কষ্ট হয়।
সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপাশা শাখায় বেলা তিনটায় গিয়ে দেখা গেল একই দৃশ্য। শতাধিক প্রবীণ বয়স্ক ভাতা নিতে ব্যাংকের পাশে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে অপেক্ষা করছেন। এ শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের ভিড় সামাল দিতে ওই ফাঁকা জায়গায় ব্যাংককর্মীরা ভাতা বিতরণ করছেন। তা না হলে ব্যাংকে দাঁড়ানোরও জায়গা থাকে না। কারণ এ শাখা থেকে এক হাজার ১১১ জনকে বয়স্ক ভাতা, এক হাজার ৪৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, ৬৬৯ জনকে বিধবা ভাতা এবং ১৩৩ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সব পেনশন ও বেতন এ শাখা থেকে দেওয়া হয়।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় পাঁচ হাজার ৯৮ জনকে বয়স্ক ভাতা, দুই হাজার ৯১৮ জনকে বিধবা ভাতা, ৫২৮ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা এবং এক হাজার ৪৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেওয়া হয়। সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব ভাতা বিতরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকেও ভাতাভোগীরা এভাবে ভোগান্তির শিকার হন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেনুর রহমান জানান, তিন মাস অন্তর এসব ভাতা আসে। বছরের যেকোনো দিন এসে ভাতাভোগীরা ব্যাংক থেকে এ ভাতা নিতে পারেন। আইন অনুযায়ী ব্যাংক যেকোনো দিন ভাতার টাকা দিতে বাধ্য। কিন্তু ব্যাংকগুলো দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় এভাবে ভিড় হয়। এতে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক লোহাগড়া শাখার ব্যবস্থাপক বলদেব বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংক লোহাগড়া শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দিন নির্দিষ্ট করে না দিলে ব্যাংকের অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
শুধু পদ্ম বেগমই নন, এ ব্যাংকের সামনে বয়স্ক ভাতা নিতে কয়েক শ প্রবীণ অপেক্ষা করছেন। শীতে জবুথবু হয়ে লাইনে বসে আছেন পারপাচুড়িয়া গ্রামের অসুস্থ রহিমা বেগম (৭১) ও কুলছুম বেগম (৬৭)। বেলা ১২টায় তাঁরা জানালেন, সকাল নয়টা থেকে এখানে তাঁরা অপেক্ষা করছেন।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বলদেব বিশ্বাস জানান, এ শাখা থেকে ইতনা ও মল্লিকপুর ইউনিয়নের ৮৬৭ জনকে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়। ভাতা নেওয়ার জন্য চার দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বুধবারও দেওয়া হয়। বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিতেও এভাবে ভিড় সামাল দিতে হয়। তিনি বলেন, এদের কষ্ট দেখে তাঁদেরও কষ্ট হয়।
সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপাশা শাখায় বেলা তিনটায় গিয়ে দেখা গেল একই দৃশ্য। শতাধিক প্রবীণ বয়স্ক ভাতা নিতে ব্যাংকের পাশে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে অপেক্ষা করছেন। এ শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের ভিড় সামাল দিতে ওই ফাঁকা জায়গায় ব্যাংককর্মীরা ভাতা বিতরণ করছেন। তা না হলে ব্যাংকে দাঁড়ানোরও জায়গা থাকে না। কারণ এ শাখা থেকে এক হাজার ১১১ জনকে বয়স্ক ভাতা, এক হাজার ৪৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, ৬৬৯ জনকে বিধবা ভাতা এবং ১৩৩ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সব পেনশন ও বেতন এ শাখা থেকে দেওয়া হয়।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় পাঁচ হাজার ৯৮ জনকে বয়স্ক ভাতা, দুই হাজার ৯১৮ জনকে বিধবা ভাতা, ৫২৮ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা এবং এক হাজার ৪৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেওয়া হয়। সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব ভাতা বিতরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকেও ভাতাভোগীরা এভাবে ভোগান্তির শিকার হন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেনুর রহমান জানান, তিন মাস অন্তর এসব ভাতা আসে। বছরের যেকোনো দিন এসে ভাতাভোগীরা ব্যাংক থেকে এ ভাতা নিতে পারেন। আইন অনুযায়ী ব্যাংক যেকোনো দিন ভাতার টাকা দিতে বাধ্য। কিন্তু ব্যাংকগুলো দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় এভাবে ভিড় হয়। এতে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক লোহাগড়া শাখার ব্যবস্থাপক বলদেব বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংক লোহাগড়া শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দিন নির্দিষ্ট করে না দিলে ব্যাংকের অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটে।
No comments