অ্যান্টার্কটিকায় গভীর বরফের নিচে হ্রদ!
অ্যান্টার্কটিকায় বরফের নিচে হারিয়ে যাওয়া বিশাল হ্রদ আবিষ্কারের পরিকল্পনা অবশেষে বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে। প্রকৌশলীদের অগ্রবর্তী একটি দল প্রচণ্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে খাল খননের জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে। দুই মাইল পুরু বরফ কেটে এ হ্রদ উদ্ধারের চূড়ান্ত কাজ চলতি বছরের শেষদিকে শুরু হতে পারে। অ্যান্টার্কটিকার হিম শীতল পানিতে প্রাণীর অস্তিত্ব ও এখানকার অতীতের জলবায়ু সম্পর্কে ধারণা পেতে সুবিশাল প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন ব্রিটিশ প্রকৌশলীরা।
যুক্তরাজ্যের বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি এতই জটিল যে, প্রস্তুতি শেষ করতে অ্যান্টার্কটিকার দুটি গ্রীষ্ম মৌসুম লেগে যাবে।
প্রস্তুতির প্রথম ধাপে একটি ‘ট্রাক্টর ট্রেন’ প্রায় ৭০ টন সরঞ্জাম নিয়ে ইউনিয়ন গ্ল্যাসিয়রের মধ্য দিয়ে ইলসওয়ার্থ হ্রদের ওই জায়গায় যায়। গভীর তুষার ও কঠিন বরফের মিশ্রণে তৈরি ৪০০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে ট্রাক্টরের তিন দিন সময় লাগে। পরে প্রকৌশলীরা সরঞ্জামগুলো মজুদ করে নিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো করে এগুলোকে স্থাপন করেন। বাতাসে প্রবাহিত তুষারে ট্রাক্টরের গিয়ার ঢেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে খননকাজের স্থানে বিশেষ ধরনের চিহ্নের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে এটি ঢেকে গেলেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
অ্যান্টার্কটিকায় ইলসওয়ার্থ লেকের মতো আরও চার শতাধিক হ্রদ রয়েছে। কিন্তু খননের জন্য এই হ্রদ বেছে নেওয়ার কারণ হলো অন্যগুলোর চেয়ে এখানে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকার বৈরী পরিবেশের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রকৌশলীদের অগ্রবর্তী দল ও ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের সদস্য অ্যান্ডি টেইট বলেন, ‘হাতে পাতলা দস্তানা পরে সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করাটা ছিল সত্যিই কঠিন...আসলেই খুব ঠান্ডা।’ তিনি বলেন, ‘অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
কর্মকর্তারা বলেন, বরফ খননের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কেবল সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এর জন্য দরকারি প্রধান প্রধান সরঞ্জাম এখনো তৈরি ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলো সম্পন্ন হলেই খননের স্থলে পাঠানো হবে। বিসিসি অনলাইন।
প্রস্তুতির প্রথম ধাপে একটি ‘ট্রাক্টর ট্রেন’ প্রায় ৭০ টন সরঞ্জাম নিয়ে ইউনিয়ন গ্ল্যাসিয়রের মধ্য দিয়ে ইলসওয়ার্থ হ্রদের ওই জায়গায় যায়। গভীর তুষার ও কঠিন বরফের মিশ্রণে তৈরি ৪০০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে ট্রাক্টরের তিন দিন সময় লাগে। পরে প্রকৌশলীরা সরঞ্জামগুলো মজুদ করে নিম্ন তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো করে এগুলোকে স্থাপন করেন। বাতাসে প্রবাহিত তুষারে ট্রাক্টরের গিয়ার ঢেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে খননকাজের স্থানে বিশেষ ধরনের চিহ্নের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে এটি ঢেকে গেলেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।
অ্যান্টার্কটিকায় ইলসওয়ার্থ লেকের মতো আরও চার শতাধিক হ্রদ রয়েছে। কিন্তু খননের জন্য এই হ্রদ বেছে নেওয়ার কারণ হলো অন্যগুলোর চেয়ে এখানে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে।
অ্যান্টার্কটিকার বৈরী পরিবেশের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রকৌশলীদের অগ্রবর্তী দল ও ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের সদস্য অ্যান্ডি টেইট বলেন, ‘হাতে পাতলা দস্তানা পরে সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করাটা ছিল সত্যিই কঠিন...আসলেই খুব ঠান্ডা।’ তিনি বলেন, ‘অ্যান্টার্কটিকায় গ্রীষ্মেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
কর্মকর্তারা বলেন, বরফ খননের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কেবল সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। এর জন্য দরকারি প্রধান প্রধান সরঞ্জাম এখনো তৈরি ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলো সম্পন্ন হলেই খননের স্থলে পাঠানো হবে। বিসিসি অনলাইন।
No comments