জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল-খালেদা জিয়াসহ চারজন আসামি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোক করার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন: হারিছ চৌধুরী, তাঁর (হারিছ) সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেনের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না, অভিযোগপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কাকরাইলে জনৈক সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনায় অনিয়ম এবং ট্রাস্টের নামে জমির নামজারি না করার অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, জমি কেনার জন্য দলীয় তহবিলে জমা দেখানো হয় ছয় কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জমির মালিককে সাত কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক দেন। বাকি এক কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা কীভাবে পেলেন, তার কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খালেদা জিয়ার অগোচরে দলীয় তহবিলে এই টাকা জমা হওয়ার কথা নয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায়, খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যয় করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জানান, এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা মেট্রোমেকার্স ডেভেলপার্সের হিসাব থেকে বিএনপির তহবিলে জমা দেখানোর মাধ্যমে বৈধ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। তবে তদন্তকালে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো টাকা লেনদেন করেননি।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। আসামি হারিছ চৌধুরী ও অন্য আসামিরা সরকারের পদমর্যাদা ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেন। এভাবে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ, জমা ও ব্যয় করেন। মামলায় ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ওই ব্যাংক হিসাবে প্রচুর অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে এটাও প্রমাণিত হয়েছে, ওই তহবিলের অর্থ দিয়ে ট্রাস্টের কোনো কাজ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়ার ওই সময়ে সেনানিবাসের বাসার ঠিকানা ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাস্টের প্রথম ট্রাস্টি খালেদা জিয়া নিজে এবং ট্রাস্টের সদস্য তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। এই ট্রাস্টের নামে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁয় সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন খালেদা জিয়া। হিসাব খোলার পর প্রধানমন্ত্রীর দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে ওই ট্রাস্টের নামে কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন করেননি খালেদা জিয়া।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কাকরাইলে জনৈক সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনায় অনিয়ম এবং ট্রাস্টের নামে জমির নামজারি না করার অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, জমি কেনার জন্য দলীয় তহবিলে জমা দেখানো হয় ছয় কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জমির মালিককে সাত কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক দেন। বাকি এক কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা কীভাবে পেলেন, তার কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খালেদা জিয়ার অগোচরে দলীয় তহবিলে এই টাকা জমা হওয়ার কথা নয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায়, খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যয় করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জানান, এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা মেট্রোমেকার্স ডেভেলপার্সের হিসাব থেকে বিএনপির তহবিলে জমা দেখানোর মাধ্যমে বৈধ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। তবে তদন্তকালে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলেন, তাঁরা এ ধরনের কোনো টাকা লেনদেন করেননি।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৫ থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সোনালী ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। আসামি হারিছ চৌধুরী ও অন্য আসামিরা সরকারের পদমর্যাদা ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেন। এভাবে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ, জমা ও ব্যয় করেন। মামলায় ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ওই ব্যাংক হিসাবে প্রচুর অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে এটাও প্রমাণিত হয়েছে, ওই তহবিলের অর্থ দিয়ে ট্রাস্টের কোনো কাজ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়ার ওই সময়ে সেনানিবাসের বাসার ঠিকানা ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাস্টের প্রথম ট্রাস্টি খালেদা জিয়া নিজে এবং ট্রাস্টের সদস্য তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। এই ট্রাস্টের নামে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁয় সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন খালেদা জিয়া। হিসাব খোলার পর প্রধানমন্ত্রীর দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে ওই ট্রাস্টের নামে কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন করেননি খালেদা জিয়া।
No comments