প্যাক্সেপো’ মেলা শেষে ব্যবসায়ীরা-সরঞ্জাম ও মোড়ক উৎপাদন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে

‘প্যাক্সেপো’ আন্তর্জাতিক মেলায় দেশীয় পণ্যের সঙ্গে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের উন্নত প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি ক্রেতারা ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন, যা দেশের পোশাক খাতের সরঞ্জাম ও মোড়ক উৎপাদন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।


গত রোববার চার দিনব্যাপী প্যাক্সেপো মেলা শেষে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ী নেতারা এভাবে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে দেশের নীতিনির্ধারকেরা মেলায় উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেওয়ায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তৈরি পোশাক খাতের সরঞ্জাম, প্রযুক্তি ও মোড়কজাতকরণের পণ্যসামগ্রী নিয়ে এই ‘প্যাক্সেপো-২০১২’ ১২ জানুয়ারি শুরু হয়। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) মেলাটির আয়োজন করে।
প্যাক্সেপোর পাশাপাশি আরও দুটি মেলা হয়। ১১তম ‘গার্মেন্টেক’ ও তৃতীয় ‘ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস সোর্সিং ফেয়ার শো’ মেলা দুটির যৌথ আয়োজক ছিল জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন।
বিজিএপিএমইএর সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবদিক থেকে মেলা সফল হয়েছে। পোশাক প্রস্তুতকারক অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ক্রেতারা মেলায় এসেছিলেন। তাঁরা আমাদের পণ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। আলাদা বৈঠকও করেছেন কেউ কেউ।’
রাফেজ আলম বলেন, ‘মেলায় আগত অধিকাংশ ক্রেতাই আমাদের পণ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। প্রচুর কার্যাদেশ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।’
সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘আগে এ শিল্পটি সম্পর্কে অনেকেরই ভালো ধারণা ছিল না। এবারের মেলায় সেটা অনেকটা ঘুচে গেচে। অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা মেলায় দেশীয় পণ্য দেখে চমৎকৃত হয়েছেন। শিল্পটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিয়েছেন।’
বিজিএপিএমইএ দ্বিতীয় সহসভাপতি মীর মাহমুদ আলী বলেন, গতবারের চেয়ে এবারের মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এভাবে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা গেলে শিল্পায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
আয়োজকেরা জানান, এবারের মেলায় এপিএফ প্যাকেজিং খাতে চার ক্যাটাগরিতে ‘এশিয়া স্টার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। এতে ১২৮ জন দেশি-বিদেশি প্রতিযোগী অংশ নেন। পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চার বাংলাদেশিও আছেন।
তিন মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের চার শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্যাক্সেপোতে পলিব্যাগ, ব্যাকবোর্ড, ইলাস্টিক, কলার ইনসার্ট, বাটারফ্লাই, কলার বোন, ট্যাপ, জিপার, স্টিকার, বাটন, হ্যাঙ্গার, ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন করছে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
গার্মেন্টেক মেলায় যন্ত্রের মাধ্যমে সুতা ও কাপড় তৈরি, তৈরি পোশাক খাতের সরঞ্জাম, মোড়কজাতকরণ ও প্রযুক্তির প্রদর্শন করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া ইয়ার্ন ও ফেব্রিকস মেলায় সুতা, তৈরি বস্ত্র, ফিনিশ, ডেনিম, নিটিং ইত্যাদি সামগ্রী প্রদর্শিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.