সরকারের ঋণগ্রহণ-ব্যাংকের তারল্য সংকট বাড়াবে
ব্যয় নির্বাহ করতে সরকার ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সরকারের জন্য নতুন কিছু না হলেও সাম্প্রতিক প্রবণতা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে। ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের এই ধারাবাহিকতা ব্যাংকের জন্য তারল্য সংকট তৈরি করবে, অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর আর্থিক লোকসানকে বাড়িয়ে দেবে অনেকাংশে। এ পরিস্থিতি সরকারের জন্য অবশ্যম্ভাবী হওয়ার পরও সরকার সেই পথেই পা বাড়াচ্ছে।
অর্থনৈতিক দুর্বল অবস্থার কারণেই সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। জানা গেছে, সরকার ২০১২ সালে আরো ১৬ হাজার ১০ কোটি টাকা ঋণ নেবে দেশের ১২টি ব্যাংক থেকে। ব্যাংকঋণ নিতে হলে সিকিউরিটিজের সুদের হারেও এর প্রভাব পড়বে। সিকিউরিটিজের সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হবে তখন। তার পরও এর মাসুল গুনতে হবে ব্যাংকগুলোকে। ব্যাংকগুলোকে গুনতে হবে এক হাজার ৮৫৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার লোকসান। এদিকে ট্রেজারি বন্ডের মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সুবিধা প্রদান করা হলেও ব্যাংকগুলোকে কিন্তু প্রাথমিক লোকসান দিতেই হবে। কারণ ব্যাংকের হাতে থাকা সিকিউরিটিজের দর কমে যাবে_নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এদিকে সরকারের ঋণগ্রহণের এই ধারা মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এ মুহূর্তে ১২ ছুঁই ছুঁই বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে হচ্ছে। তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে ব্যাংকগুলোর। এই সংকট মেটাতে ব্যাংকগুলো বাধ্য হচ্ছে অধিক সুদে আমানত সংগ্রহ করতে। কিন্তু অধিক হারে সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে যদি কম সুদে তাদের সরকারি সিকিউরিটিজ কিনতে হয়, তাহলে তাদের জেনেশুনেই বিষপানের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে ব্যাংকগুলোর যে তারল্য সংকট চলছে, তাও সরকারের অজানা নয়। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও সুখকর অবস্থায় নেই। তার পরও সরকার কোন যুক্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, তা বোঝা মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা সামাল দেওয়া সত্যিই কঠিন হবে। তার চাপটা পরিশেষে দেশের ক্রেতাসাধারণকেই বহন করতে হবে।
এ পরিস্থিতির জন্য উচ্চাভিলাষী বাজেটকেও কেউ কেউ দায়ী করছেন। তাঁদের কথা, প্রশাসনযন্ত্র বাজেট বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকে। বাজেটের ছক অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাংক থেকে কত টাকা নিতে হবে, তখনই নির্ধারণ হয়। বাজেট ও পরিকল্পনার সঙ্গে যদি অর্থের জোগানে অসংগতি থাকে, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পরিকল্পনায় হাত দেওয়ার প্রয়োজন আছে।
এদিকে সরকারের ঋণগ্রহণের এই ধারা মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। যা এ মুহূর্তে ১২ ছুঁই ছুঁই বলে জানা গেছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে হচ্ছে। তারল্য সংকট তীব্র হচ্ছে ব্যাংকগুলোর। এই সংকট মেটাতে ব্যাংকগুলো বাধ্য হচ্ছে অধিক সুদে আমানত সংগ্রহ করতে। কিন্তু অধিক হারে সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে যদি কম সুদে তাদের সরকারি সিকিউরিটিজ কিনতে হয়, তাহলে তাদের জেনেশুনেই বিষপানের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এদিকে ব্যাংকগুলোর যে তারল্য সংকট চলছে, তাও সরকারের অজানা নয়। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও সুখকর অবস্থায় নেই। তার পরও সরকার কোন যুক্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, তা বোঝা মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা সামাল দেওয়া সত্যিই কঠিন হবে। তার চাপটা পরিশেষে দেশের ক্রেতাসাধারণকেই বহন করতে হবে।
এ পরিস্থিতির জন্য উচ্চাভিলাষী বাজেটকেও কেউ কেউ দায়ী করছেন। তাঁদের কথা, প্রশাসনযন্ত্র বাজেট বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকে। বাজেটের ছক অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাংক থেকে কত টাকা নিতে হবে, তখনই নির্ধারণ হয়। বাজেট ও পরিকল্পনার সঙ্গে যদি অর্থের জোগানে অসংগতি থাকে, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পরিকল্পনায় হাত দেওয়ার প্রয়োজন আছে।
No comments