ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে তাণ্ডব : গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রতিকার জরুরি
ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থামাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও বরিশালে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসেনি। প্রতিহিংসাপরায়ণ ও সন্ত্রাসীদের রোষানলের শিকার হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা। এই অশান্ত পরিবেশে সাধারণ মানুষসহ সংবাদকর্মীরাও অসহায় হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিকাদারি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ঘটছে সন্ত্রাসী ঘটনা। এরই মধ্যে নগরীতে পরপর দুটি হামলার ঘটনায় মহিলাসহ আহত হয়েছেন কয়েকজন। বাড়িঘরে লুটপাট, ভাংচুর হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব তাণ্ডব চলছিল। উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীর কার্যকলাপ বন্ধ করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব পাঁচজন নেতাকর্মীর সদস্যপদ স্থগিত করা ছাড়াও জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃপক্ষ বাবুগঞ্জ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। তার পরও দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু নেতাকর্মী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও এদের দমন করতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিএডিসি কার্যালয় থেকে বিভাগের তিন জেলায় ৯ কোটি টাকার খাল খনন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। দু’দফা টেন্ডার হওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফ্রেশ টেন্ডারের ঘোষণা দেয়। কিন্তু পরে টেন্ডার না করেই কাজ ভাগ করে দেয়া হয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে টেন্ডারপ্রাপ্তদের মধ্যেই দেখা দেয় চরম বিরোধ। কথায় আছে, ভাগের মা গঙ্গা পায় না। তারই জের ধরে জনৈক ব্যবসায়ীর অংশীদারের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট চলে, এমনকি কয়েকজন আহতও হন। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার এই পুরনো কোন্দল এখন আরও চাগিয়ে উঠেছে। অভিযোগ আছে, যুবলীগ নেতা নামে পরিচিত পানামা বাহিনীর দুই ভাই কারাগার থেকেই এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
এর আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের সামলানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বরিশালের স্থানবিশেষে এখন পর্যন্ত সে নির্দেশ কার্যকর হয়নি। জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির তাণ্ডবে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ নামধারী কর্মী প্রেসক্লাবেও হামলা চালায়। এমনকি স্থানীয় পত্রিকায় একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বারবার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়। হুমকিদাতা নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা বলে দাবি করে। এই অভিযোগে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সব কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বরিশালে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্বভাবতই গণতান্ত্রিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি দুঃসংবাদ। বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে যদি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলে তা শুধু সরকারের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করে না, অন্যদের মনেও সংশয় জন্ম দেয়। এই অবস্থা আর যাক হোক দেশে সুস্থ অবস্থা বিরাজ করছে প্রমাণ করে না। তাছাড়া এতে গণতন্ত্রচর্চার পরিবেশও থাকে না। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন নেপথ্য শক্তির মদতে ছিঁচকে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার সাহস পায়? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্র্রিয়তার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যেমন খুশি চরে বেড়াবে, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করবে, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাবে—এ অবস্থায় আইনের শাসন কথাটিও তো বিমূর্ত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সরকার দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিএডিসি কার্যালয় থেকে বিভাগের তিন জেলায় ৯ কোটি টাকার খাল খনন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। দু’দফা টেন্ডার হওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ফ্রেশ টেন্ডারের ঘোষণা দেয়। কিন্তু পরে টেন্ডার না করেই কাজ ভাগ করে দেয়া হয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের। এ নিয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে টেন্ডারপ্রাপ্তদের মধ্যেই দেখা দেয় চরম বিরোধ। কথায় আছে, ভাগের মা গঙ্গা পায় না। তারই জের ধরে জনৈক ব্যবসায়ীর অংশীদারের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট চলে, এমনকি কয়েকজন আহতও হন। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারার এই পুরনো কোন্দল এখন আরও চাগিয়ে উঠেছে। অভিযোগ আছে, যুবলীগ নেতা নামে পরিচিত পানামা বাহিনীর দুই ভাই কারাগার থেকেই এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
এর আগে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের সামলানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বরিশালের স্থানবিশেষে এখন পর্যন্ত সে নির্দেশ কার্যকর হয়নি। জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির তাণ্ডবে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ নামধারী কর্মী প্রেসক্লাবেও হামলা চালায়। এমনকি স্থানীয় পত্রিকায় একটি বিশেষ সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বারবার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়। হুমকিদাতা নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা বলে দাবি করে। এই অভিযোগে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সব কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বরিশালে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্বভাবতই গণতান্ত্রিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি দুঃসংবাদ। বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে যদি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলে তা শুধু সরকারের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করে না, অন্যদের মনেও সংশয় জন্ম দেয়। এই অবস্থা আর যাক হোক দেশে সুস্থ অবস্থা বিরাজ করছে প্রমাণ করে না। তাছাড়া এতে গণতন্ত্রচর্চার পরিবেশও থাকে না। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন নেপথ্য শক্তির মদতে ছিঁচকে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার সাহস পায়? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্র্রিয়তার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যেমন খুশি চরে বেড়াবে, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করবে, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাবে—এ অবস্থায় আইনের শাসন কথাটিও তো বিমূর্ত হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সরকার দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করবে—এটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments