ঘন ঘন হাই ওঠে কেন?
অনেকেই ঘুম পেলে বা একঘেয়েমি (আড়মোড়া) কাটাতে হাই তুলে থাকে। এছাড়া ক্লান্ত বোধ হলেও অনেকের হাই ওঠে। কিন্তু মজার বিষয় হলো হাই তোলার সঙ্গে ক্লান্তি বা শরীর খারাপের কোনও সম্পর্কই নেই। এমনকি হাই তোলা শরীরের জন্য খারাপ এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আমরা হাই তুলি কেন?
প্রাচীনকাল থেকে একথা আমারা বিশ্বাস করে আসছি যে হাই ওঠা মানেই ঘুমানোর সিগনাল দিচ্ছে শরীর। কিন্তু এই ধরণা একেবারেই সঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে, যখন আমরা হাই তুলি তখন মস্তিষ্ক একবার রিস্টার্ট করে নেয় নিজের সার্বিক প্রক্রিয়াকে। ফলে ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হাই তোলার পর মস্তিষ্ক এতটাই কর্মক্ষম হয়ে যায় যে দ্বিগুন কাজ করার ক্ষমতা চলে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, হাই তোলা বিষয়টা অতটা সহজ নয়। কারণ যখনই আমরা হাই তুলি তখন বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মুখ গহ্বরের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে ইয়ারড্রামসকে প্রসারিত করে। তারপর হাওয়টা বেরিয়ে যায়। কিছু কিছু সময় কাউকে হাই তুলতে দেখে আমাদেরও হাই ওঠে । তবে বেশিরভাগ সময়ই শরীর তার প্রয়োজন অনুসারে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে হাই তুললে আর কী কী উপকার হয় আসুন জেনে নিই:
* খুব মন দিয়ে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে আমাদের হাই উঠতে শুরু করে। মন দিয়ে কাজ করলেও মস্তিষ্ক অল্পতেই হাঁপিয়ে যায়। তখন সে কাজ ছেড়ে এদিক ওদিকের ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। সেই সময় মস্তিষ্ককে পুনরায় মূল কাজে ফিরিয়ে আনতে শরীর একবার ব্রেনকে রিস্টার্ট করে। আর তখনই আমাদের হাই ওঠে।
* আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নতিতেও হাইয়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই এবার থেকে কাজ করতে গিয়ে যখনই ক্লান্ত লাগবে তখনই নিজের থেকে কয়েকবার হাই তোলার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন মনোযোগ ফিরে আসবে।
* অনেকক্ষণ কাজ করলে ব্রেন গরম হয়ে যায়, তখন তাকে ঠাণ্ডা করতে হাই উঠতে শুরু করে। সেই কারণেই তো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় বেশি করে হাই ওঠে। তাই এবার থেকে কাজের ফাঁকে হাই উঠলে বসকে বোঝাবেন যে আপনি ভালো করে কাজ করছেন বলেই হাই উঠছে।
* হাই ওঠার সময় আমাদের মুখের পেশিগুলি সংকুচিত এবং প্রসারিত হতে থাকে। ফলে ব্রেনে রক্ত সরবরাহ বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।
* আপনার কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে নিশ্চয় রিস্টার্ট বার্টনে চাপ দেন। তারপরই কম্পিউটার পুনরায় কাজ করা শুরু করে দেয়। একই রকম হাই ওটার সময় আমাদের শরীরের কার্কেডিয়াম রিদম পুনরায় অ্যাকটিভেড হয়ে যায়। অর্থাৎ শরীর পুনরায় সচল হয়ে যায়।
* অনেক সময় কাউকে হাই তুলতে দেখলে পরক্ষণেই আমাদেরও হাই উঠতে শুরু করে দেয়। কাউকে হাই তুলতে দেখলেই আমাদের মস্তিষ্কে মিরার নিউরন কাজ করতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ আমার সামনের লোকটা যা করছে ঠিক হুবহু তাই করতে ইচ্ছা করে। সেই কারণেই তো একজনের হাই উঠলে সামনে থাকা বাকি সবাই একে একে হাই তুলতে শুরু করেন।
* বিজ্ঞান বলে হাই ওঠার সময় আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামাইন লেভেল বেড়ে যায়। ফলে অক্সিটোসিন নামে এক ধরনের কেমিকেলের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে আমাদের মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আমরা হাই তুলি কেন?
প্রাচীনকাল থেকে একথা আমারা বিশ্বাস করে আসছি যে হাই ওঠা মানেই ঘুমানোর সিগনাল দিচ্ছে শরীর। কিন্তু এই ধরণা একেবারেই সঠিক নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে, যখন আমরা হাই তুলি তখন মস্তিষ্ক একবার রিস্টার্ট করে নেয় নিজের সার্বিক প্রক্রিয়াকে। ফলে ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। হাই তোলার পর মস্তিষ্ক এতটাই কর্মক্ষম হয়ে যায় যে দ্বিগুন কাজ করার ক্ষমতা চলে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, হাই তোলা বিষয়টা অতটা সহজ নয়। কারণ যখনই আমরা হাই তুলি তখন বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মুখ গহ্বরের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে ইয়ারড্রামসকে প্রসারিত করে। তারপর হাওয়টা বেরিয়ে যায়। কিছু কিছু সময় কাউকে হাই তুলতে দেখে আমাদেরও হাই ওঠে । তবে বেশিরভাগ সময়ই শরীর তার প্রয়োজন অনুসারে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে হাই তুললে আর কী কী উপকার হয় আসুন জেনে নিই:
* খুব মন দিয়ে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে আমাদের হাই উঠতে শুরু করে। মন দিয়ে কাজ করলেও মস্তিষ্ক অল্পতেই হাঁপিয়ে যায়। তখন সে কাজ ছেড়ে এদিক ওদিকের ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। সেই সময় মস্তিষ্ককে পুনরায় মূল কাজে ফিরিয়ে আনতে শরীর একবার ব্রেনকে রিস্টার্ট করে। আর তখনই আমাদের হাই ওঠে।
* আমাদের স্মৃতিশক্তি উন্নতিতেও হাইয়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই এবার থেকে কাজ করতে গিয়ে যখনই ক্লান্ত লাগবে তখনই নিজের থেকে কয়েকবার হাই তোলার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন মনোযোগ ফিরে আসবে।
* অনেকক্ষণ কাজ করলে ব্রেন গরম হয়ে যায়, তখন তাকে ঠাণ্ডা করতে হাই উঠতে শুরু করে। সেই কারণেই তো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় বেশি করে হাই ওঠে। তাই এবার থেকে কাজের ফাঁকে হাই উঠলে বসকে বোঝাবেন যে আপনি ভালো করে কাজ করছেন বলেই হাই উঠছে।
* হাই ওঠার সময় আমাদের মুখের পেশিগুলি সংকুচিত এবং প্রসারিত হতে থাকে। ফলে ব্রেনে রক্ত সরবরাহ বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।
* আপনার কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে নিশ্চয় রিস্টার্ট বার্টনে চাপ দেন। তারপরই কম্পিউটার পুনরায় কাজ করা শুরু করে দেয়। একই রকম হাই ওটার সময় আমাদের শরীরের কার্কেডিয়াম রিদম পুনরায় অ্যাকটিভেড হয়ে যায়। অর্থাৎ শরীর পুনরায় সচল হয়ে যায়।
* অনেক সময় কাউকে হাই তুলতে দেখলে পরক্ষণেই আমাদেরও হাই উঠতে শুরু করে দেয়। কাউকে হাই তুলতে দেখলেই আমাদের মস্তিষ্কে মিরার নিউরন কাজ করতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ আমার সামনের লোকটা যা করছে ঠিক হুবহু তাই করতে ইচ্ছা করে। সেই কারণেই তো একজনের হাই উঠলে সামনে থাকা বাকি সবাই একে একে হাই তুলতে শুরু করেন।
* বিজ্ঞান বলে হাই ওঠার সময় আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামাইন লেভেল বেড়ে যায়। ফলে অক্সিটোসিন নামে এক ধরনের কেমিকেলের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে আমাদের মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
No comments