রিকশায় ডেটিং হাসি,কান্না
‘এই
মামা যাবা। কোথায় যাবেন। আরে একটু ঘোরাঘুরি করবো। কত সময় ঘোরবেন। দুই
ঘণ্টা। পাঁচশ’ টাকা লাগবে। এতো কেন। তিনশ’ টাকা দেবো। না মামা হবে না।
আচ্ছা আরো পঞ্চাশ টাকা দেবো। ঠিক আছে উঠেন।’ এভাবেই হয় দরকষাকষি। তারপর
রিকশায় উঠে শুরু হয় বিভিন্ন অলিগলিতে ঘোরাঘুরি। ধীরে ধীরে চলতে থাকে রিকশা।
ফিসফিস গল্প, খুনসুটি। আনন্দের অট্টহাসি। আবার খানিকটা সময় নিশ্চুপ।
রাগ-অভিমান। ভালোলাগা-ভালোবাসা। রাজধানীতে এখন রিকশায় ডেটিং বাড়ছে। এবং এর
তালিকায় এগিয়ে আছেন তরুণ-তরুণীরা।
ঘণ্টা প্রতি একটি নির্দিষ্ট টাকা রিকশাচালকদের দিয়ে নিজের মনমতো প্রিয়জনের সঙ্গে সময় পার করা যাচ্ছে। রাজধানীর টিএসসি এলাকায় গত শুক্রবার গল্পের ছলে কথা হয় এমনি কয়েক জুটির সঙ্গে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম এবং সিলভি। দুজনেই যশোরের বাসিন্দা। সিলভির বাবা ঢাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। নাঈম কাঁঠালবাগানের একটি ম্যাচে কিছু সহপাঠীদের সঙ্গে আছেন। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরই দুজনের পরিচয়। নাঈম বলেন, পরিচয়ের পরই সিলভির সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে। তারপরই আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করি। ক্লাস শেষে প্রায়ই আমরা ঘুরতে বের হই। সিলভি বলেন, আমি পরিবারের সঙ্গে থাকি। সেজন্য আমার রাতে তেমন একটা ঘোরাঘুরি সম্ভব হয় না। মাঝে মধ্যে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরার কথা বলে বের হয়ে নাঈমের সঙ্গে আড্ডা দেই। তবে আমরা দুজনই ইউনিভার্সিটি এলাকায় রিকশায় ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। কারণ জানতে চাইলে নাঈম এবং সিলভি বলেন, রিকশা দিয়ে ঘুরার মধ্যে অন্যরকম একটা মজা আছে। বিশেষ করে এই গরমের দিনে রিকশায় ঘুরতে অনেক স্বস্তি লাগে। বেশ ভালোভাবেই খুনসুটি করা যায়। আবেগ-অনুভূতি। ভালোলাগা-ভালোবাসা। খুব কাছ থেকেই শেয়ার করা যায়। শুধু আমরা না। এখানে অনেকেই রিকশা দিয়ে ডেটিং করতে পছন্দ করেন। তবে সন্ধ্যার পর এই ডেটিং জমে ভালো।
এরকমই আরেক জুটি তারিন আর রায়হান। তারিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র রায়হান। তাদের দুজনের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্ক আছে দুই বছর ধরে। সময় পেলেই তারা রিকশা করে বের হয়ে পড়েন। বেশিরভাগ সময়ই তারা ঘণ্টা প্রতি রিকশা ভাড়া করেন। রায়হান এবং তারিন জানান, শহরের বেশকিছু জায়গায়ই এখন ডেটিং করার জন্য ঘণ্টা প্রতি রিকশা ভাড়া করা যায়। কেউ এক ঘণ্টা। আবার অনেকে দুই ঘণ্টার জন্য রিকশা ভাড়া করে ঘুরে বেড়ান এদিক-সেদিক। কেউ কেউ রিকশা ভাড়া করে শহরের দূরে কোথাও চলে যায়। এবিষয়ে তারা অনেকটাই খোলামেলা কথা বলেন। কিছুটা সময় কাছাকাছি থাকা, একটু খুনসুটি, প্রিয় মানুষের হাতটি ধরে রাখা, গল্প-আড্ডা, মাস্তি ভালোই সময় পার হয়। তারা দুজনেই বলেন, একটা সিএনজি অথবা মাইক্রো ভাড়া করে ডেটিং করা অনেক ব্যয়বহুল। রিকশা দিয়ে যেভাবে সময় কাটানো যায় সেই তুলনায় গাড়িতে করে কিছুটা অস্বস্তিবোধ হয়। শুধু নাঈম-সিলভি, তারিন-রায়হান জুটি নয়, ঢাকা শহরে রিকশায় ডেট করার প্রতি ঝুঁকছেন অনেক তরুণ-তরুণী। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অনেক রিকশা চালকদের সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া যায় এরকম তথ্য। ফরিদপুরের বাসিন্দা রিকশা চালক দুলাল জানান, তিনি গত চার বছর ধরে শাহবাগ এলাকায় রিকশা চালিয়ে আয় করেন। তিনি বলেন, এই চার বছরে এই ঢাকায় এসে অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন। কম বয়সী ছেলেমেয়েরা প্রায়ই তার রিকশায় উঠেন। নিউমার্কেট, ঢাকা মেডিকেল, গাউছিয়া, আজিমপুর, ইডেন কলেজ, নাজিমুদ্দিন রোড, জেলখানা, চক বাজার এসব এলাকাতে তিনি সাধারণত ট্রিপ নিয়ে যান। বিভিন্ন বয়সের যাত্রীদের ভিড়ে অনেক সময় কম বয়সী ছেলেমেয়েরা রিকশায় উঠেন। তবে সন্ধ্যার পরে বেশির ভাগ ট্রিপই হয় তরুণ-তরুণীদের। আর ঘণ্টাপ্রতি রিজার্ভ ট্রিপ পাওয়া যায় বেশি। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের আনাগোনা শাহবাগ-টিএসসি এলাকায় বেশি লক্ষ্য করা যায়। তারাই ভাড়া করে এই গলি সেই গলিতে অযথাই ঘুরে। দুলাল জানান, ঘণ্টাপ্রতি ২শ’ টাকা আবার অনেক সময় আরো বেশি টাকা পাওয়া যায়। তবে কিছু ছেলেমেয়েরা রিকশায় উঠে অনেক ধরনের অসভ্যতা করে। যেদিকে অন্ধকার সেদিকেই নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারি না। গরিব মানুষ কয়টা টাকা আয় হলে আমার ভালো। অনেক সময় মন চায় তাদেরকে রিকশা থেকে নামিয়ে দেই। তারা মনে করে আমি সামনের দিকে তাকিয়ে রিকশা চালাই। কিছুই হয়তো বুঝি না। কিন্তু আমি সবই বুঝতে পারি। তারা আশেপাশে কে আছে কে নেই এসব খেয়ালই করে না।
সংসদ ভবনের আশেপাশের এলাকায় রিকশাচালক চালায় নোমান। আলাপ করতে করতে এক সময় নোমান বলতে থাকেন তার বাড়তি আয়ের গল্প। নোমান বলেন, সারাদিন যা আয় হয় তার চেয়ে বেশি আয় হয় সন্ধ্যার পর। তখন সংসদ ভবন এলাকায় তরুণ-তরুণীরা ভিড় করে। একটু হাঁটাহাঁটির পর রিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন দিকে নিয়ে চলে যায়। তখন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি করলেও তারা দিতে রাজি হয়ে যান। কারণ রিকশায় তারা নিজেদের মতো করে সময় পার করতে পারেন। হৈ-উল্লাসে মেতে থাকেন সবসময়। কিছু কিছু সময় অনেকেই ঝগড়াঝাটি ও কান্নাকাটিও করেন। অনেক সময় এই ঝগড়া চরম আকার ধারণ করে। নোমান আরো বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় অধিকাংশ রিকশাচালকই সন্ধ্যার পর বাড়তি অনেক টাকা আয় করেন। তরুণ-তরুণীরা ডেটিং করার জন্য তাদের রিকশা ভাড়া করেন। অনেকেই মোটরসাইকেলে করে আসেন। পরে মোটরসাইকেল লক করে রিকশা ভাড়া করে একসঙ্গে ঘুরেন।
খোঁজ নিয়ে এবং বিভিন্ন এলাকার রিকশাচালকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, শাহবাগ-টিএসসি, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন এরিয়া, খিলগাঁও, গ্রীন রোড, নিউমার্কেট, ইডেন কলেজ-আজিমপুর এলাকা এবং পুরান ঢাকার কিছু জায়গায় রিকশায় ডেটিং চলে।
ঘণ্টা প্রতি একটি নির্দিষ্ট টাকা রিকশাচালকদের দিয়ে নিজের মনমতো প্রিয়জনের সঙ্গে সময় পার করা যাচ্ছে। রাজধানীর টিএসসি এলাকায় গত শুক্রবার গল্পের ছলে কথা হয় এমনি কয়েক জুটির সঙ্গে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম এবং সিলভি। দুজনেই যশোরের বাসিন্দা। সিলভির বাবা ঢাকায় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তিনি পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। নাঈম কাঁঠালবাগানের একটি ম্যাচে কিছু সহপাঠীদের সঙ্গে আছেন। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরই দুজনের পরিচয়। নাঈম বলেন, পরিচয়ের পরই সিলভির সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আরো গভীর হতে থাকে। তারপরই আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করি। ক্লাস শেষে প্রায়ই আমরা ঘুরতে বের হই। সিলভি বলেন, আমি পরিবারের সঙ্গে থাকি। সেজন্য আমার রাতে তেমন একটা ঘোরাঘুরি সম্ভব হয় না। মাঝে মধ্যে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরার কথা বলে বের হয়ে নাঈমের সঙ্গে আড্ডা দেই। তবে আমরা দুজনই ইউনিভার্সিটি এলাকায় রিকশায় ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। কারণ জানতে চাইলে নাঈম এবং সিলভি বলেন, রিকশা দিয়ে ঘুরার মধ্যে অন্যরকম একটা মজা আছে। বিশেষ করে এই গরমের দিনে রিকশায় ঘুরতে অনেক স্বস্তি লাগে। বেশ ভালোভাবেই খুনসুটি করা যায়। আবেগ-অনুভূতি। ভালোলাগা-ভালোবাসা। খুব কাছ থেকেই শেয়ার করা যায়। শুধু আমরা না। এখানে অনেকেই রিকশা দিয়ে ডেটিং করতে পছন্দ করেন। তবে সন্ধ্যার পর এই ডেটিং জমে ভালো।
এরকমই আরেক জুটি তারিন আর রায়হান। তারিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র রায়হান। তাদের দুজনের মধ্যেই প্রেমের সম্পর্ক আছে দুই বছর ধরে। সময় পেলেই তারা রিকশা করে বের হয়ে পড়েন। বেশিরভাগ সময়ই তারা ঘণ্টা প্রতি রিকশা ভাড়া করেন। রায়হান এবং তারিন জানান, শহরের বেশকিছু জায়গায়ই এখন ডেটিং করার জন্য ঘণ্টা প্রতি রিকশা ভাড়া করা যায়। কেউ এক ঘণ্টা। আবার অনেকে দুই ঘণ্টার জন্য রিকশা ভাড়া করে ঘুরে বেড়ান এদিক-সেদিক। কেউ কেউ রিকশা ভাড়া করে শহরের দূরে কোথাও চলে যায়। এবিষয়ে তারা অনেকটাই খোলামেলা কথা বলেন। কিছুটা সময় কাছাকাছি থাকা, একটু খুনসুটি, প্রিয় মানুষের হাতটি ধরে রাখা, গল্প-আড্ডা, মাস্তি ভালোই সময় পার হয়। তারা দুজনেই বলেন, একটা সিএনজি অথবা মাইক্রো ভাড়া করে ডেটিং করা অনেক ব্যয়বহুল। রিকশা দিয়ে যেভাবে সময় কাটানো যায় সেই তুলনায় গাড়িতে করে কিছুটা অস্বস্তিবোধ হয়। শুধু নাঈম-সিলভি, তারিন-রায়হান জুটি নয়, ঢাকা শহরে রিকশায় ডেট করার প্রতি ঝুঁকছেন অনেক তরুণ-তরুণী। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অনেক রিকশা চালকদের সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া যায় এরকম তথ্য। ফরিদপুরের বাসিন্দা রিকশা চালক দুলাল জানান, তিনি গত চার বছর ধরে শাহবাগ এলাকায় রিকশা চালিয়ে আয় করেন। তিনি বলেন, এই চার বছরে এই ঢাকায় এসে অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন। কম বয়সী ছেলেমেয়েরা প্রায়ই তার রিকশায় উঠেন। নিউমার্কেট, ঢাকা মেডিকেল, গাউছিয়া, আজিমপুর, ইডেন কলেজ, নাজিমুদ্দিন রোড, জেলখানা, চক বাজার এসব এলাকাতে তিনি সাধারণত ট্রিপ নিয়ে যান। বিভিন্ন বয়সের যাত্রীদের ভিড়ে অনেক সময় কম বয়সী ছেলেমেয়েরা রিকশায় উঠেন। তবে সন্ধ্যার পরে বেশির ভাগ ট্রিপই হয় তরুণ-তরুণীদের। আর ঘণ্টাপ্রতি রিজার্ভ ট্রিপ পাওয়া যায় বেশি। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের আনাগোনা শাহবাগ-টিএসসি এলাকায় বেশি লক্ষ্য করা যায়। তারাই ভাড়া করে এই গলি সেই গলিতে অযথাই ঘুরে। দুলাল জানান, ঘণ্টাপ্রতি ২শ’ টাকা আবার অনেক সময় আরো বেশি টাকা পাওয়া যায়। তবে কিছু ছেলেমেয়েরা রিকশায় উঠে অনেক ধরনের অসভ্যতা করে। যেদিকে অন্ধকার সেদিকেই নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারি না। গরিব মানুষ কয়টা টাকা আয় হলে আমার ভালো। অনেক সময় মন চায় তাদেরকে রিকশা থেকে নামিয়ে দেই। তারা মনে করে আমি সামনের দিকে তাকিয়ে রিকশা চালাই। কিছুই হয়তো বুঝি না। কিন্তু আমি সবই বুঝতে পারি। তারা আশেপাশে কে আছে কে নেই এসব খেয়ালই করে না।
সংসদ ভবনের আশেপাশের এলাকায় রিকশাচালক চালায় নোমান। আলাপ করতে করতে এক সময় নোমান বলতে থাকেন তার বাড়তি আয়ের গল্প। নোমান বলেন, সারাদিন যা আয় হয় তার চেয়ে বেশি আয় হয় সন্ধ্যার পর। তখন সংসদ ভবন এলাকায় তরুণ-তরুণীরা ভিড় করে। একটু হাঁটাহাঁটির পর রিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন দিকে নিয়ে চলে যায়। তখন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি করলেও তারা দিতে রাজি হয়ে যান। কারণ রিকশায় তারা নিজেদের মতো করে সময় পার করতে পারেন। হৈ-উল্লাসে মেতে থাকেন সবসময়। কিছু কিছু সময় অনেকেই ঝগড়াঝাটি ও কান্নাকাটিও করেন। অনেক সময় এই ঝগড়া চরম আকার ধারণ করে। নোমান আরো বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় অধিকাংশ রিকশাচালকই সন্ধ্যার পর বাড়তি অনেক টাকা আয় করেন। তরুণ-তরুণীরা ডেটিং করার জন্য তাদের রিকশা ভাড়া করেন। অনেকেই মোটরসাইকেলে করে আসেন। পরে মোটরসাইকেল লক করে রিকশা ভাড়া করে একসঙ্গে ঘুরেন।
খোঁজ নিয়ে এবং বিভিন্ন এলাকার রিকশাচালকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, শাহবাগ-টিএসসি, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন এরিয়া, খিলগাঁও, গ্রীন রোড, নিউমার্কেট, ইডেন কলেজ-আজিমপুর এলাকা এবং পুরান ঢাকার কিছু জায়গায় রিকশায় ডেটিং চলে।
No comments