কোনো দলকেই উড়িয়ে দেয়া যাবে না
আগামীকাল শুরু হচ্ছে আট জাতির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফি। কোন দল কেমন করবে? কারা ফেভারিট? এ নিয়ে স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার, অধিনায়ক ও কোচ ওয়াকার ইউনুস বিস্তারিত বলেছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ এখানে-
প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফিতে পাকিস্তানের কতটা সম্ভাবনা দেখছেন?
ওয়াকার : কোনো সন্দেহ নেই, পাকিস্তান আন্ডারডগ। তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। তবে এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। যদি দলটা ক্লিক করে এবং প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে একটা মোমেন্টাম তৈরি করতে পারে, তাহলে কী হবে কেউ বলতে পারে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফিতে আগেও অঘটন ঘটেছে। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই কোনো দলকেই একদম উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এমনকি গতবার ইংল্যান্ডে এসে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও আমাকে অবাক করেছে। পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ খুবই ভালো। হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ, শাদাব খান আছে। মোহাম্মদ আমিরকেও দেখে মনে হচ্ছে ফর্মে ফিরেছে। এই বোলিং আক্রমণ কোনো দলকেই ৩০০-র ওপর রান করতে দেবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, ব্যাটসম্যানরা কি রান পাবে?
প্রশ্ন : ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। এজবাস্টনের ওই ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন?
ওয়াকার : এখন তো তিন-চার বছরে একবার করে এ ম্যাচ হয়। তাই সবাই এ ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সংবাদমাধ্যমে যাই বলে থাকুক না কেন, দু’দলের ক্রিকেটাররাই চাপে থাকবে। তরুণ শাদাব খানই হোক বা অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি, ওইদিন নার্ভাস থাকবেই। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলোর কথা মনে পড়ছে। সব সময় চাপে থাকতাম। আগের রাতে ঘুম হতো না। এটাই তো পরীক্ষা। নায়ক হওয়ার মঞ্চ। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন : কাদের ফেভারিট মনে করছেন?
ওয়াকার : তিন-চারটি দল আছে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারানো কঠিন। ওদের ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা এবং আক্রমণাত্মক। বিপক্ষ বোলারদের দম ফেলার সুযোগ দেবে না। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ওরা যেভাবে খেলছে, সেটা নজরকাড়ার মতো। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতও রয়েছে। সদ্য আইপিএল খেলে এসেছে ওরা। দুটি আলাদা ঘরানার ক্রিকেট। সেটা ভারতের বিরুদ্ধে যেতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রাখব। অনেকেই ওদের চোকার্স বলে। কিন্তু ওদের যা দল, তাতে ওদের ধর্তব্যের মধ্যে রাখতেই হচ্ছে। এছাড়া যাদের আমার ভালো লাগে, তারা হল অস্ট্রেলিয়া। ওদের ক্রিকেটের কোয়ালিটি অসম্ভব ভালো। বিশেষত সাম্প্রতিককালে ওরা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যেরকম খেলছে, তাতে ৩০০ রানটা ওরা গড়ে এনে দিয়েছে। কিন্তু যদি একটা দলকে বেছে নিতে বলা হয়, অবশ্যই ইংল্যান্ডকে বেছে নেব। বাকি দলগুলোর থেকে ইংল্যান্ড কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাও তো আক্রমণাত্মক, তাই না?
ওয়াকার : অবশ্যই। মিচেল স্টার্ক এমন একজন, যার বোলিং দেখতে আমার ভালো লাগে। স্টার্কের মতো বল যদি সুইং করাতে পারেন, তাহলে ব্যাটসম্যানকে আউট করা নিয়ে ভাবতে হবে না। বাকিরাও বেশ ভালো, যেমন জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স বা জেমস প্যাটিনসন ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে। এ ছাড়াও পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের দিকে আমি তাকিয়ে রয়েছি। আমার মনে হয়, এ টুর্নামেন্টটা ওর বেশ ভালো যাবে। ভারতের পেস বোলাররাও আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদাকেও দেখে ভালো লাগছে। পেস বোলিংয়ের ভক্ত যদি আপনি হন, তাহলে অনেকের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। ওয়েবসাইট।
প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফিতে পাকিস্তানের কতটা সম্ভাবনা দেখছেন?
ওয়াকার : কোনো সন্দেহ নেই, পাকিস্তান আন্ডারডগ। তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। তবে এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। যদি দলটা ক্লিক করে এবং প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে একটা মোমেন্টাম তৈরি করতে পারে, তাহলে কী হবে কেউ বলতে পারে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রুফিতে আগেও অঘটন ঘটেছে। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই কোনো দলকেই একদম উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এমনকি গতবার ইংল্যান্ডে এসে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও আমাকে অবাক করেছে। পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ খুবই ভালো। হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ, শাদাব খান আছে। মোহাম্মদ আমিরকেও দেখে মনে হচ্ছে ফর্মে ফিরেছে। এই বোলিং আক্রমণ কোনো দলকেই ৩০০-র ওপর রান করতে দেবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, ব্যাটসম্যানরা কি রান পাবে?
প্রশ্ন : ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। এজবাস্টনের ওই ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন?
ওয়াকার : এখন তো তিন-চার বছরে একবার করে এ ম্যাচ হয়। তাই সবাই এ ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। সংবাদমাধ্যমে যাই বলে থাকুক না কেন, দু’দলের ক্রিকেটাররাই চাপে থাকবে। তরুণ শাদাব খানই হোক বা অভিজ্ঞ বিরাট কোহলি, ওইদিন নার্ভাস থাকবেই। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলোর কথা মনে পড়ছে। সব সময় চাপে থাকতাম। আগের রাতে ঘুম হতো না। এটাই তো পরীক্ষা। নায়ক হওয়ার মঞ্চ। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন : কাদের ফেভারিট মনে করছেন?
ওয়াকার : তিন-চারটি দল আছে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারানো কঠিন। ওদের ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা এবং আক্রমণাত্মক। বিপক্ষ বোলারদের দম ফেলার সুযোগ দেবে না। সীমিত ওভারের ক্রিকেট ওরা যেভাবে খেলছে, সেটা নজরকাড়ার মতো। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতও রয়েছে। সদ্য আইপিএল খেলে এসেছে ওরা। দুটি আলাদা ঘরানার ক্রিকেট। সেটা ভারতের বিরুদ্ধে যেতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রাখব। অনেকেই ওদের চোকার্স বলে। কিন্তু ওদের যা দল, তাতে ওদের ধর্তব্যের মধ্যে রাখতেই হচ্ছে। এছাড়া যাদের আমার ভালো লাগে, তারা হল অস্ট্রেলিয়া। ওদের ক্রিকেটের কোয়ালিটি অসম্ভব ভালো। বিশেষত সাম্প্রতিককালে ওরা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে যেরকম খেলছে, তাতে ৩০০ রানটা ওরা গড়ে এনে দিয়েছে। কিন্তু যদি একটা দলকে বেছে নিতে বলা হয়, অবশ্যই ইংল্যান্ডকে বেছে নেব। বাকি দলগুলোর থেকে ইংল্যান্ড কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাও তো আক্রমণাত্মক, তাই না?
ওয়াকার : অবশ্যই। মিচেল স্টার্ক এমন একজন, যার বোলিং দেখতে আমার ভালো লাগে। স্টার্কের মতো বল যদি সুইং করাতে পারেন, তাহলে ব্যাটসম্যানকে আউট করা নিয়ে ভাবতে হবে না। বাকিরাও বেশ ভালো, যেমন জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স বা জেমস প্যাটিনসন ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে। এ ছাড়াও পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের দিকে আমি তাকিয়ে রয়েছি। আমার মনে হয়, এ টুর্নামেন্টটা ওর বেশ ভালো যাবে। ভারতের পেস বোলাররাও আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদাকেও দেখে ভালো লাগছে। পেস বোলিংয়ের ভক্ত যদি আপনি হন, তাহলে অনেকের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। ওয়েবসাইট।
No comments