আমার বাংলাদেশ ঝটকা দেবেই, বললেন ওয়ালশ
এ কী দেখছি? এটাই বোধহয় আধুনিক ক্রিকেট–দুনিয়ার রীতি। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা, সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা ফিরে গেছেন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ড্রেসিংরুমে। মাঠ প্রায় ফাঁকা। কিন্তু তিনি, টেস্ট ক্রিকেটের আসর থেকে ৫১৯ উইকেট তুলে নেওয়া কোর্টনি ওয়ালশ গোটা মাঠে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা অনুশীলনের নানা সরঞ্জাম বড় বড় ৪টি বাক্সে কুড়িয়ে নিয়ে তা সাজিয়ে রাখছিলেন। তখনো ওভালের ডাগ আউটের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন কোর্টনি ওয়ালশ ভারতীয় পত্রিকা আজকাল–এর সঙ্গে।
কোর্টনি ওয়ালশ : আমি খুব ভালো আছি। উপভোগ করছি। বলতে পারেন, আমি এখন বাংলাদেশী হয়ে উঠেছি। শুধু ফাস্ট বোলারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ত মূল কাজ। কিন্তু, দলের সঙ্গে থাকায়, অন্য যেকোনো কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখি।
● দেখলাম তো, আপনি প্র্যাকটিস করানোর যাবতীয় সরঞ্জাম পরম যত্নে গুছিয়ে রাখছিলেন...।
ওয়ালশ : দ্যাট ইজ অলসো আ পার্ট অফ মাই জব। প্র্যাকটিস করাবে কোচ, আর জিনিসপত্র আগলে রাখবে অন্য কেউ? এটা কখনও নিয়ম হতে পারে না। কোচ যদি শিবিরের সর্বেসর্বা হয়, তাহলে তাকে, এমন ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও করতে হবে। আমার সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডকর্তাদের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ওরা আমাকে যে’কটা কাজ দেয়, তা করে দিই। ক্রিকেটার এবং অন্য কোচদের সঙ্গে রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক। তাই, সঙ্ঘাতের, বিবাদের স্টোরি, এখন, বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে পাবেন না।
● চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের মধ্যে আপনার বাংলাদেশ প্রথম বিলেতে পৌঁছে গিয়েছিল...।
ওয়ালশ : হ্যাঁ, এ দেশের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত একাত্ম হওয়ার কারণেই একটু আগে আমরা এখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। খামখেয়ালি আবহাওয়া, পিচ কন্ডিশন পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দলে এমন কয়েকজন নতুন ক্রিকেটার আছে, যারা, এই প্রথম বিলেতে এলো। এখান থেকে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সফল হওয়া খুব কঠিন। দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু, সেই প্রতিভা মেলে ধরার জন্য যে মঞ্চের প্রয়োজন, তা তৈরি করে দিতে হয় কোচদের। এজন্যই একটু আগে এখানে আসা দরকার ছিল।
● বাংলাদেশ তো খুব ভালো ফর্মে আছে...।
ওয়ালশ : তা আছে। কিন্তু, আরো ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশ এখন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বর দল। মনে হয়, এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমার বাংলাদেশ দু–একটা ঝটকা দিতে পারবে।
● প্রথম ম্যাচ তো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথমেই বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ।
ওয়ালশ : প্রথম অথবা দ্বিতীয় অথবা তৃতীয়। ইংল্যান্ড আছে আমাদের গ্রুপে। না খেলে উপায় নেই। সে তো ভারতকেও খেলতে হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ। কোনো ম্যাচ কঠিন বলে পালানোর কোনো রাস্তা নেই। ইংল্যান্ড খেলবে নিজেদের দেশের পরিচিত পরিবেশে। ফলে, আমাদের কাজটা একটু তো কঠিন হবেই। টাচ উড, আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যানরা, ওই চ্যালেঞ্জ নওয়ার জন্য প্রস্তুত।
● এখন কিন্তু বাংলাদেশ দল ঘাবড়ে যাচ্ছে না বড় দলগুলির সামনেও...।
ওয়ালশ : নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে, এই বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে অনেক অপ্রত্যাশিত সাফল্য পাবে। কোচিংয়ের কারণে, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরতে গিয়ে যে উন্মাদনা দেখেছি, তা অভূতপূর্ব। প্রচুর প্রচুর প্রতিভা। ক্রিকেট এখন পদ্মাতীরে তরতর লয়ে এগোচ্ছে। দেশজুড়ে এমন উৎসাহ, উত্তেজনা থাকায় নতুন নতুন প্রতিভা ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। দলে রয়েছে চমৎকার ভারসাম্য। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা নিতে হয়, চাপের মুখে দলকে জেতানোর জন্য। এ কাজটা খুব ভালো করছে সাকিব, মাহমুদৌলা, সৈকত, তাসমিন আহমেদরা। বাংলাদেশ খুব দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে এক শক্তিশালী ক্রিকেট কান্ট্রি হিসেবে উঠে আসছে। প্লিজ ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট বাংলাদেশ।
● ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না থাকাটা?
ওয়ালশ : আরে, আমি আছি তো! (হেসে) প্লিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে কোনো আলোচনায় আমাকে টেনে নিয়ে যাবেন না। কেন যেতে চাইছি না, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
কোর্টনি ওয়ালশ : আমি খুব ভালো আছি। উপভোগ করছি। বলতে পারেন, আমি এখন বাংলাদেশী হয়ে উঠেছি। শুধু ফাস্ট বোলারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ত মূল কাজ। কিন্তু, দলের সঙ্গে থাকায়, অন্য যেকোনো কাজ করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখি।
● দেখলাম তো, আপনি প্র্যাকটিস করানোর যাবতীয় সরঞ্জাম পরম যত্নে গুছিয়ে রাখছিলেন...।
ওয়ালশ : দ্যাট ইজ অলসো আ পার্ট অফ মাই জব। প্র্যাকটিস করাবে কোচ, আর জিনিসপত্র আগলে রাখবে অন্য কেউ? এটা কখনও নিয়ম হতে পারে না। কোচ যদি শিবিরের সর্বেসর্বা হয়, তাহলে তাকে, এমন ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও করতে হবে। আমার সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডকর্তাদের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ওরা আমাকে যে’কটা কাজ দেয়, তা করে দিই। ক্রিকেটার এবং অন্য কোচদের সঙ্গে রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক। তাই, সঙ্ঘাতের, বিবাদের স্টোরি, এখন, বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে পাবেন না।
● চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী ৮ দলের মধ্যে আপনার বাংলাদেশ প্রথম বিলেতে পৌঁছে গিয়েছিল...।
ওয়ালশ : হ্যাঁ, এ দেশের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত একাত্ম হওয়ার কারণেই একটু আগে আমরা এখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। খামখেয়ালি আবহাওয়া, পিচ কন্ডিশন পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দলে এমন কয়েকজন নতুন ক্রিকেটার আছে, যারা, এই প্রথম বিলেতে এলো। এখান থেকে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সফল হওয়া খুব কঠিন। দলে প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে ঠিকই। কিন্তু, সেই প্রতিভা মেলে ধরার জন্য যে মঞ্চের প্রয়োজন, তা তৈরি করে দিতে হয় কোচদের। এজন্যই একটু আগে এখানে আসা দরকার ছিল।
● বাংলাদেশ তো খুব ভালো ফর্মে আছে...।
ওয়ালশ : তা আছে। কিন্তু, আরো ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশ এখন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ৬ নম্বর দল। মনে হয়, এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমার বাংলাদেশ দু–একটা ঝটকা দিতে পারবে।
● প্রথম ম্যাচ তো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথমেই বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ।
ওয়ালশ : প্রথম অথবা দ্বিতীয় অথবা তৃতীয়। ইংল্যান্ড আছে আমাদের গ্রুপে। না খেলে উপায় নেই। সে তো ভারতকেও খেলতে হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ। কোনো ম্যাচ কঠিন বলে পালানোর কোনো রাস্তা নেই। ইংল্যান্ড খেলবে নিজেদের দেশের পরিচিত পরিবেশে। ফলে, আমাদের কাজটা একটু তো কঠিন হবেই। টাচ উড, আমাদের বোলার ও ব্যাটসম্যানরা, ওই চ্যালেঞ্জ নওয়ার জন্য প্রস্তুত।
● এখন কিন্তু বাংলাদেশ দল ঘাবড়ে যাচ্ছে না বড় দলগুলির সামনেও...।
ওয়ালশ : নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে, এই বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে অনেক অপ্রত্যাশিত সাফল্য পাবে। কোচিংয়ের কারণে, বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরতে গিয়ে যে উন্মাদনা দেখেছি, তা অভূতপূর্ব। প্রচুর প্রচুর প্রতিভা। ক্রিকেট এখন পদ্মাতীরে তরতর লয়ে এগোচ্ছে। দেশজুড়ে এমন উৎসাহ, উত্তেজনা থাকায় নতুন নতুন প্রতিভা ক্রিকেটকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। দলে রয়েছে চমৎকার ভারসাম্য। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা নিতে হয়, চাপের মুখে দলকে জেতানোর জন্য। এ কাজটা খুব ভালো করছে সাকিব, মাহমুদৌলা, সৈকত, তাসমিন আহমেদরা। বাংলাদেশ খুব দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে এক শক্তিশালী ক্রিকেট কান্ট্রি হিসেবে উঠে আসছে। প্লিজ ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট বাংলাদেশ।
● ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না থাকাটা?
ওয়ালশ : আরে, আমি আছি তো! (হেসে) প্লিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে কোনো আলোচনায় আমাকে টেনে নিয়ে যাবেন না। কেন যেতে চাইছি না, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
No comments