মানুষের জীবনটাই চলচ্চিত্রে দেখানো উচিত
জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪-তে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে নেকাব্বরের
মহাপ্রয়াণ চলচ্চিত্রটি। কবি নির্মলেন্দু গুলণের একই শিরোনামের কবিতা থেকে
এটি নির্মাণ করেছেন মাসুদ পথিক। পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি ও সামনের কিছু
কাজ নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৪-তে শ্রেষ্ঠ
চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেল আপনার নির্মিত ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’। অনুভূতিটা
কেমন? অনেক ভালো লাগছে। আমরা কষ্ট করে কাজ করেছি। সেই কাজের স্বীকৃতি
পেলাম। এই পুরস্কার হয়তো আমাকে সামনের দিনগুলোতে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা
দেবে। আমি ভবিষ্যতেও ভালো কাজ করতে চাই। এই পুরস্কার আমি সেই চাষিদের
উৎসর্গ করেছি, যাঁদের পিঠে, ঘামের বুকে রোদ্দুর নাচে। এবারই প্রথম একটি
ছবির পুরস্কার বাতিল করে আরেকটি ছবিকে দেওয়া হলো, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য
কী? আসলে এই বিষয়ে আমার কিছু বলা ঠিক হবে না। আমি নাগরিক হিসেবে বলতে
পারি, যেকোনো চৌর্যবৃত্তি গর্হিত কাজ। আমরা কাজ করছি সমাজ, সভ্যতা ও শিল্প
নিয়ে। তাই খারাপ তো লাগছেই। তবে এ ক্ষেত্রে একটা বার্তাও আসবে, নতুন যাঁরা
ছবি নির্মাণ করবেন, তাঁরা আরও বেশি সতর্ক হবেন। এ ধরনের পরিস্থিতির
মুখোমুখি কেউ হতে চাইবেন না।
আপনি কবিতা থেকেই সিনেমা নির্মাণ করেন। এটার কারণ কী? আমি মূলত একজন
কবিতাকর্মী। তাই কবিতার ওপর একটা দুর্বলতা আছে। এ কারণেই কবিতা নিয়ে কাজ
করি। আমি আসলে ফ্যান্টাসিনির্ভর সিনেমা বানাতে চাই না। বাস্তবতানির্ভর ছবি
বানানোর ইচ্ছে। তাই কবিতার কাছে আশ্রয় নেওয়া। আমার কাছে মনে হয়, মানুষের
জীবনটাই চলচ্চিত্রে দেখানো উচিত। আমি সেই চেষ্টাই করি। কবিতা আবৃত্তি করলে
যদি ভালো লাগে, চলচ্চিত্রে দেখতেও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। এখন কী কাজ করছেন?
দুটি সিনেমার কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে মায়া: দ্য লস্ট মাদার নামের ছবিটি
নির্মাণ করছি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধ শিশু’ কবিতা ও শিল্পী শাহাবুদ্দিনের
‘নারী’ নামে একটি চিত্রকর্ম অবলম্বনে। আর দ্য পোয়েট্টি নির্মাণ করছি
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘অমলকান্তি’ ও নির্মলেন্দু গুশণের ‘মানুষ’ কবিতা
অবলম্বনে। এর মধ্যে মায়া: দ্য লস্ট মাদার ছবিটি সরকারি অনুদান পেয়েছে।
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
No comments