রোনালদোর ইনজুরি কতটা গুরুতর?
জিনেদিন
জিদানের এখন একটু আফসোসই হচ্ছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে প্রয়োজনীয়
বিশ্রাম না দিয়ে কি তবে ভুলই করলেন! কাল ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রোনালদো
গোল না পেলেও দল জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু এই জয়, লিগ শিরোপার আশা
এখনো ধরে রাখার স্বস্তির পাশাপাশি একটা অস্বস্তির কাঁটাও বিঁধল রিয়ালকে।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন রোনালদো। দুদিন বিরতি দিয়ে আগামী শনিবারই
আবার মাঠে নামবে রিয়াল। লা লিগায় ৩৫তম ম্যাচে প্রতিপক্ষ রায়ো ভায়েকানো।
খুব সম্ভবত এই ম্যাচে থাকছেন না রোনালদো। কারণ, এক দিন পরই যে আবার
রিয়ালকে উড়ে যেতে হবে ইংল্যান্ডে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে আগামী
মঙ্গলবার ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল। জিদান আশাবাদী, ওই
ম্যাচে থাকবেন দলকে শেষ চারে তুলে আনার নায়ক রোনালদো। জিদান সমর্থকদের
নির্ভার রাখতে চাইলেন এই বলে, ‘কিছুটা ভয় পাওয়ার মতো তো অবশ্যই, তবে আমার
মনে হয় না ইনজুরিটা গুরুতর কিছু। ওর অবস্থা জানতে আগামীকাল (আজ) পরীক্ষা
করা হবে। ও ওভাবে মাঠ ছাড়ার সময় যতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, এখন সেই তুলনায়
অনেকটা নির্ভারই আছি।’ এই মৌসুমে ৪৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন রোনালদো।
ছিলেন লিগের প্রতিটি ম্যাচে। তাঁর মতো খেলোয়াড় পুরো ৯০ মিনিটই খেলতে
ভালোবাসেন। তবে জিদানের মনে হচ্ছে, মৌসুমের লম্বা রেসের কথা ভেবে আরও
হিসেব কষে তাঁকে ব্যবহার করা উচিত, ‘কোচ হিসেবে আপনি যখন রোনালদোর মতো
একজন খেলোয়াড়কে পাবেন, আপনার কাজ হচ্ছে কখনো কখনো ওকে কোনো ম্যাচে না
খেলিয়ে বা পুরো ম্যাচে না খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়া।’ জিদান অবশ্য একটা
সুখবর পেয়েছেন। গতকাল বুধবার পেশির চোটের কারণে খেলতে না পারা গ্যারেথ বেল
শনিবার খেলবেন। আজ দলের অনুশীলনে যোগও দেওয়ার কথা আছে বেলের। বার্সা
কোচ অবশ্য এখনো দলের খেলোয়াড়দের ক্লান্তি নিয়ে কথা বলতে নারাজ। লুইস
এনরিকে মনে করেন না দলের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত বলেই পথ হারিয়েছে। ফুটবলে
ব্যাখ্যাতীত অনেক কিছু হয়, এটাই এর সৌন্দর্য। এনরিকের কাছে টানা ৩৯ ম্যাচ
অপরাজিত থাকার পর ছয় ম্যাচে মাত্র এক ম্যাচ জেতা আর চার ম্যাচ হারার ওই
সময়টার ব্যাখ্যা এটাই। গতকাল বার্সা কোচ এই দাবিও করলেন, ৮-০ গোলের এই
জয়ের চেয়ে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ভ্যালেন্সিয়ার কাছে আগের ম্যাচেই ভালো
খেলেছে দল, ‘এ ধরনের নানা কিছু ঘটে জন্যই তো ফুটবল এতটা স্পেশাল।
ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচটির মতো আজও আমরা দারুণ খেলেছি। পার্থক্য হলো, আজ
বলগুলো জালে ঢুকেছে। আমি তো মনে করি ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষেই আমরা বেশি
সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কেবল সেগুলো থেকে গোল আদায় করে নিতে পারিনি। তবে
আমরা দুর্দান্ত এক ফল অবশেষে পেলাম, আর সামনে অপেক্ষা আরও দুর্দান্ত এক
চ্যালেঞ্জ।’ সেই চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন করে দিতে প্রস্তুত মাদ্রিদের দুই
ক্লাবও। লা লিগার শেষ অঙ্কের জমজমাট নাটক তাই চলছেই। অ্যাটলেটিকো কোচ
ডিয়েগো সিমিওনে অবশ্য শিষ্যদের সহজ সমীকরণ বুঝিয়ে দিলেন, ‘বার্সা যেভাবে
ফিরে এল, সেটা ওদের জন্য দারুণ কিছু। তবে আমাদের জন্য কাজটা হলো বাকি
চারটা ম্যাচই জেতা।’ সিমিওনের ভাঁজটাই কাল রাতে ছিল সবচেয়ে বেশি। কাল
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া দলের বড় ভরসা ডিয়েগো গডিন লিগের পরের ম্যাচটা
তো বটেই, সম্ভবত খেলতে পারছেন না চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম
লেগও।
No comments