রিকেটস-মামিচের অভিষেকে আবাহনীর ড্র
স্বাধীনতা
কাপে আবাহনীর সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচ। এ নিয়ে উত্তেজনা
তো ছিলই, আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচটাতে বাড়তি আকর্ষণ
যোগ করল ঢাকার মাঠে রোহান রিকেটসের অভিষেক। আর্সেনাল একাডেমিতে বেড়ে ওঠা
এই মিডফিল্ডার আজই প্রথম আবাহনীর হয়ে মাঠে নামলেন। নেমেই গোল! সাত মিনিটে
তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী। কিন্তু সময় যত গড়াল, ততই যেন শুরুর
ঔজ্জ্বল্য হারাতে থাকলেন রিকেটস। শুধু গোলটাই করলেন, ফিটনেসে ঘাটতি থাকায়
সেভাবে আর চোখ কাড়তে পারেননি। তাঁর মতো করে রঙ হারাল আবাহনীও। এক পর্যায়ে
পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত রহমতগঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে
আকাশি-নীলরা। টানা দ্বিতীয় এই ড্রয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের স্বপ্নও
পড়ে গেছে হুমকির মুখে। রিকেটসের সঙ্গে আবাহনীর হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছে
ক্রোয়াট কোচ দ্রাগো মামিচেরও। অভিষেকটা নিশ্চয়ই তিনিও জয় দিয়েই রাঙাতে
চেয়েছিলেন। অবশ্য ফলাফল এর চেয়ে খারাপও হতে পারত। অমন সুন্দর শুরুর পর
আবাহনীর ড্র-ও এক সময় কঠিন মনে হচ্ছিল। সেটি সম্ভব হয়েছে ৮৫ মিনিটে কামারার
করা দলের দ্বিতীয় গোলে। সেনেগালের এই স্ট্রাইকারই একটা পয়েন্ট এনে দিলেন
আবাহনীকে। রিকেটসের গোলে আবাহনী এগিয়ে পর ৩৮ মিনিটে রহমতগঞ্জকে ম্যাচে
ফেরান জুনাপিউ। এরপর ৭১ মিনিটে নুরুল আফসার যখন রহমতগঞ্জের পক্ষে ২-১
করলেন, আবাহনীর নতুন কোচের চোখ মুখে অন্ধকার। কামরার গোলে তা দূর হলেও
প্রতি আক্রমণে আবাহনী শিবিরে ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছিল রহমতগঞ্জ। এই ড্রয়ের পর
মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠাই আবাহনীর জন্য বড় পরীক্ষা
হয়ে দাঁড়াল। শক্তিশালী শেখ রাসেলের সঙ্গে ২৩ এপ্রিলে নিজেদের শেষ গ্রুপ
ম্যাচে অন্তত ড্র চাই আকাশি নীলেদের। সেটি পারলে সাত পয়েন্ট নিয়ে শ্রেয়তর
গোলগড়ে আবাহনী উঠবে স্বাধীনতা কাপের শেষ চারে। হারলে বিদায়।
No comments