‘গেম অব থ্রোনস’ এবং জন স্নো!
আপনি
কী ভীত?’—শুরুটা হয়েছে এই প্রশ্ন দিয়েই। উত্তরটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একটু
পরেই—‘আপনার উচিত ভয় পাওয়া। কারণ, আপনি এখন বড় খেলাটিতে আছেন।’ বলছি
জনপ্রিয় ‘গেম অব থ্রোনস’ টিভি সিরিজের ষষ্ঠ মৌসুমের (সিজন) প্রমোর কথা। যা
দেখে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, বহুল প্রত্যাশিত ‘আয়রন থ্রোন’-এর জন্য লড়াইটা
আরও জমবে এ মৌসুমে। ‘মার্চ ম্যাডনেস’ শিরোনামে ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিও
ক্লিপটিতে রয়েছে আগের চেয়েও অনেক বেশি অ্যাকশন এবং রোমাঞ্চের ইঙ্গিত।
সেখানে ‘ড্রাগনমাতা’ ড্যানেরিস টারগারিয়ানকে দেখা গেছে নতুন ‘খালাছার’
পরিবেষ্টিত অবস্থায় পাহাড়ঘেরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে। আগের মৌসুমে এক
‘খালাছার’ তাকে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল। নেড স্টার্কের বড় মেয়ে সানসা
স্টার্ককে দেখা গেছে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় উইনটারফেলের বনের ভেতর দিয়ে
দৌড়ে পালাতে।সানসার পাষণ্ড বর র্যামজে বল্টনকে দেখা গেছে ঘোড়সওয়ার হয়ে
যুদ্ধের ময়দানে। জেমি ল্যানস্টারকেও যুদ্ধের ময়দানে দেখা গেছে। সানসার ছোট
বোন আরিয়া স্টার্ক আছে সেই বহুমুখী ঈশ্বরের ওখানেই। সেখানেই ধীরে ধীরে
প্রশিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠছে সে। আর রব স্টার্কের ভাই ব্রান স্টার্ক মুখোমুখি
হয়েছে ভয়ংকর হোয়াইট ওয়াকারের! প্রমোতে ড্যানেরিসের ড্রাগনকেও একঝলক দেখা
গেছে। ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিও ক্লিপটির শেষে বলা হয়েছে, ‘যেভাবেই হোক, হলঘরে
একটি মুখ ঠিকই যুক্ত হবে।’ ‘হল অব ফেসেস’-এ নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার খবর
নিশ্চয়ই আপনাকে শিহরিত করবে। ২৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত
নয়টায় বিশ্বব্যাপী এইচবিও চ্যানেলে শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ‘গেম অব
থ্রোনস’ টিভি সিরিজের নতুন মৌসুমটি। দেখা যাবে এইচবিও ডটকমেও। ‘গেম অব
থ্রোনস’কে তো এইচবিও চ্যানেলের গর্বই বলা যায়। কিন্তু এমন একটি তুমুল
জনপ্রিয় এবং মানসম্মত টিভি সিরিজ বানাতে কেমন খরচ পড়ে, দর্শকদের তা জানা
থাকা ভালো। সম্প্রতি ‘এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি’র একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ
সম্পর্কিত তথ্য। জানা গেছে, সিরিজটির প্রতিটি পর্ব বানাতে খরচ হয়েছে প্রায়
এক কোটি ডলার। এ মৌসুমের মোট ১০টি পর্ব বানাতে খরচ হয়েছে ১০ কোটি ডলার!
অথচ সিরিজের দ্বিতীয় মৌসুমের পর্বগুলো বানাতে খরচ হয়েছিল ৬০ লাখ ডলার।
তবে, নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে বিশ্বব্যাপী কোটি ভক্তের মুখে প্রশ্ন
একটাই—জন স্নো কি সত্যিই মরে গেল? উত্তরটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করে রাখা
হয়েছে। তবে সম্প্রতি টিভি অনুষ্ঠান ‘কোনান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্যার
ড্যাভোস সিওর্থ চরিত্র রূপদানকারী লিয়াম কানিংহ্যাম এই রহস্য কিছুটা
উন্মোচন করেছেন। সেখানে দেখা গেছে, জন স্নোর লাশ পাশে রেখে তার ঘাতকদের
সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন স্যার ড্যাভোস এবং জনের কজন সঙ্গী। তবে, একটি
পোস্টারে জন স্নোর চোখ সাদা দেখে কেউ কেউ ধারণা করেছেন, জন স্নো হয়তো
হোয়াইট ওয়াকারও হয়ে যেতে পারেন! আসলে কী হবে জন স্নো চরিত্রটির, তা জানার
জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
No comments