বিদায়ের শঙ্কায় আবাহনী
ম্যাচ প্রায় শেষ, ১-২ গোলে পিছিয়ে আবাহনী। কপালে ভাঁজ দলের ক্রোয়াট কোচ দ্রাগো মামিচ ও তাঁর সহকারী অমলেশ সেনের। এর একটু পরেই গোল করে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হার এড়িয়েছে আবাহনী |
মৌসুমের
প্রথম টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠাই আবাহনীর জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে
দাঁড়াল। আগামী শনিবার শক্তিশালী শেখ রাসেলের সঙ্গে নিজেদের শেষ গ্রুপ
ম্যাচে অন্তত ড্র চাই আকাশি নীলের। তা করতে পারলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শ্রেয়তর
গোল গড়ে আবাহনী উঠবে স্বাধীনতা কাপের শেষ চারে। হারলে বিদায়। আবাহনীকে এই
অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে টানা দুটি ড্র। ফেনী সকারের সঙ্গে ১-১
ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বিজেএমসিকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৫-০ গোলে। তৃতীয়
ম্যাচে আরামবাগের সঙ্গে ০-০। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জের সঙ্গে
২-২। সেটিও সম্ভব হয়েছে ৮৫ মিনিটে কামারার গোলে। সেনেগালের এই স্ট্রাইকার
একটা মূল্যবান পয়েন্ট এনে দিলেন আবাহনীকে। এই ম্যাচেই আবাহনীর ডাগআউটে
প্রথম দাঁড়িয়েছেন ক্রোয়াট কোচ দ্রাগো মামিচ। ঢাকার এসে কোনো অনুশীলন
সেশন করা হয়নি তাঁর। শুধু রক্ষণে কিছু সমস্যা নিয়ে কথা বলেছিলেন
খেলোয়াড়দের সঙ্গে। কাল বুঝলেন সমস্যা শুধু রক্ষণে নয়, মাঝমাঠ ও আক্রমণেও।
কাল আবার সহজ সুযোগ নষ্ট করার সঙ্গে আবাহনীর সামনে দুবার বাধা হয়ে দাঁড়ায়
পোস্ট। দলের হয়ে এদিন প্রথম খেলতে নামলেন আর্সেনালের সাবেক মিডফিল্ডার
রোহান রিকেটস। ৭ মিনিটে তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী। তবে শুধু
গোলটাই করলেন, ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় সেভাবে চোখ কাড়তে পারেননি। ৩৮ মিনিটে
জুনাপিউ রহমতগঞ্জকে ম্যাচে ফেরালে জমে ওঠে দুদলের লড়াই। ৭১ মিনিটে নুরুল
আফসার যখন ২-১ করলেন, আবাহনীর নতুন কোচের চোখমুখে অন্ধকার। সমতাসূচক
গোলেও যা পুরোপুরি কাটেনি। সেমিফাইনাল নিয়ে অনিশ্চয়তা যে রয়েই গেল!
No comments