‘৯টার মধ্যেই ভোট শেষ হয়ে যাবে’ -হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
আসন্ন
পৌর নির্বাচনে সকাল ৯টার মধ্যেই ভোট শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ
করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কায় সারা দেশে জাতীয়
পার্টির প্রার্থীদের অর্ধেক বসে গেছে। আমার ভয় হচ্ছে, এ নির্বাচনও ঢাকা
সিটি নির্বাচনের মতো হবে। সকাল ৯টার মধ্যে ভোট শেষ হবে। গতকাল রাজধানীর
ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির
দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি
বলেন, এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত
মেয়র প্রার্থীরা জয়ী হন। নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের খবর গণমাধ্যমে আসে।
ভোটের শেষদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত
প্রার্থীরা। সামনে পৌর নির্বাচন। আমি আগে বলেছিলাম, যদি এ নির্বাচন সুষ্ঠু
হয় তাহলে জনগণ আওয়ামী লীগের অতীতের সব অপকর্ম ভুলে যাবে। এ নির্বাচন আওয়ামী
লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। কিন্তু যা দেখছি, তাতে আশা আছে- এমনটা বলতে
পারবো না।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড নেই। এ ব্যাপারে যেটুকু সন্দেহ ছিল আজ তা দৃঢ় হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা যেন পৌর নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নেন, সেজন্য একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন। তার স্থান প্রধানমন্ত্রীর ওপরে, এটা তিনি ভুলে গেছেন। তিনি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের কারও কথা বলার অধিকার নেই। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এভাবে গণতন্ত্র হয় না। সম্মেলনে এরশাদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ বয়সে এসে দলকে শক্তিশালী করার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি দলকে শক্তিশালী করার জন্য। কিন্তু আমি সবাইকে আমার পাশে পাই না। তিনি বলেন, ৮ বছর এ দেশের সেনাপ্রধান ছিলাম, ৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করে যেতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিকে সবার ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। এটা পরীক্ষিত সত্য, সিলেটের ১ আসন যার, ক্ষমতা তার। তাই আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আসার জন্য সিলেটের ১ আসন দখল করতে হবে। তিনি বলেন, আগে সিলেটে জাতীয় পার্টির মোট ৮টি আসন ছিল, এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪টিতে। দলকে সুসংগঠিত করে হারানো আসন ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে একসঙ্গেথ কাজ করতে হবে। জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের, মীর আবদুস সবুর প্রমুখ।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড নেই। এ ব্যাপারে যেটুকু সন্দেহ ছিল আজ তা দৃঢ় হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা যেন পৌর নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নেন, সেজন্য একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন। তার স্থান প্রধানমন্ত্রীর ওপরে, এটা তিনি ভুলে গেছেন। তিনি তার সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের কারও কথা বলার অধিকার নেই। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না। এটা কোনো গণতন্ত্র নয়। এভাবে গণতন্ত্র হয় না। সম্মেলনে এরশাদ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এ বয়সে এসে দলকে শক্তিশালী করার জন্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছি দলকে শক্তিশালী করার জন্য। কিন্তু আমি সবাইকে আমার পাশে পাই না। তিনি বলেন, ৮ বছর এ দেশের সেনাপ্রধান ছিলাম, ৯ বছর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। মৃত্যুর আগে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করে যেতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টিকে সবার ঘরে ঘরে নিয়ে যেতে হবে। এটা পরীক্ষিত সত্য, সিলেটের ১ আসন যার, ক্ষমতা তার। তাই আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আসার জন্য সিলেটের ১ আসন দখল করতে হবে। তিনি বলেন, আগে সিলেটে জাতীয় পার্টির মোট ৮টি আসন ছিল, এখন তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪টিতে। দলকে সুসংগঠিত করে হারানো আসন ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে একসঙ্গেথ কাজ করতে হবে। জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের, মীর আবদুস সবুর প্রমুখ।
No comments