বিএসএফের বিমান বিধ্বস্ত ঢাকার বৈঠক স্থগিত

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার পর ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে ও অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ওই বিমানটি রাঁচির উদ্দেশে যাচ্ছিল। গতকাল সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের সদস্যরা। খবরে বলা হয়, উড্ডয়নের পরপরই দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে দোয়ার্কা এলাকার কাছে বাদপোলা গ্রামে একটি দেয়ালে আছড়ে পড়ে বিমানটি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান একে শর্মা বলেছেন, এ দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে। বিমানটির টেকনিশিয়ানরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার পর এ ঘটনা ঘটে। টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, একটি ফাঁকা স্থানে আগুন জ্বলছে। তার মাঝে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে বিমানটি। বেসামরিক বিমান চলাচলবিষয়ক জুনিয়র মন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেছেন, বিমানের আরোহীদের ১০ জনই মারা গেছেন। সুরুজ নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বিমানটি একটি দেয়ালে আঘাত করতেই এতে আগুন ধরে যায়। তারপর বিমানবন্দরের বাইরে একটি ক্ষেতের ভেতর গিয়ে আছড়ে পড়ে। তিনি দু’টি মৃতদেহ দেখতে পেয়েছেন।
ওদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ ২৩শে ডিসেম্বর ঢাকার পিলখানায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের একটি অংশ (১০ জন) গতকাল সকালেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছিল। বিএসএফ মহাপরিচালক দেবেন্দ্র কুমার পাঠক, আইপিএসসহ আরও ১৩ প্রতিনিধি গতকাল বিকালে ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল সকালে দিল্লি এয়ারপোর্টে বিএসএফের একটি বিমান উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়ে বিএসএফের দুজন ডিআইজি, একজন কর্মকর্তাসহ মোট ১০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় বিএসএফ মহাপরিচালককে তার পূর্বনির্ধারিত ঢাকা সফর বাতিল করতে হয়। ফলে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। বিএসএফের বিমান দুর্ঘটনায় এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১০ জন নিহতের সংবাদ পেয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বিএসএফ মহাপরিচালককে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। শোকাবহ এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় মহাপরিচালক পরে সীমান্ত সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ফোনে কথোপকথনের পর বিজিবি মহাপরিচালক বিএসএফ মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত শোকবার্তা পাঠান।

No comments

Powered by Blogger.