উপদেষ্টা বলেছিলেন বিএনপি নির্বাচন না করলেও জামায়াত অংশগ্রহণ করবে
নভেম্বর
১৮, ২০০৮ সাল। ওইদিন দুপুর ২-৩০ মিনিটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান জরুরি
বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘ক্রাইসিস গ্রুপের’ পাঁচ উপদেষ্টা।
বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল। বিএনপির আল্টিমেটাম
নিয়ে আলোচনা হয়। কোনো বিষয়েই ছাড় দিতে রাজি ছিল না সরকার। পরে নির্বাচনকে
আরও দশ দিন পিছাবার আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বলা হয়েছিল যে, শুধু এ
বিষয়ের ওপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা চালাতে পারে।
অন্য কোনো ছাড় দিতে আমরা রাজি ছিলাম না। সাবেক নির্বাচন কমিশনার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন তার লেখা ‘নির্বাচন কমিশনে
পাঁচ বছর’ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। পালক পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত
বইয়ে তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের বৈঠক শেষে ওইদিনই পাঁচ উপদেষ্টা বেগম খালেদা
জিয়ার নির্বাচনের তারিখ পিছাবার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য গিয়েছিলেন।
কথা ছিল যে বেগম খালেদা জিয়া রাজি হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে
পুনঃনির্ধারিত তারিখসহ তফসিলে পরিবর্তন আনা হবে। উপদেষ্টাদের ওই দিনের
আলোচনার ফলাফল নিয়ে পরের দিন পুনরায় বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে
আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
পরের দিন সকালে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের অফিসে আমরা আগের দিনের আলোচনার বিস্তারিত জানতে এবং এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৈঠক করেছিলাম। ওই দিন প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আমার বিশিষ্ট বন্ধু, মেজর জেনারেল আবদুল মতিন (অব.) উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থারই দুই গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ এবং মেজর জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
বৈঠকে জানানো হয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন পিছিয়ে ডিসেম্বর ২৮ অনুষ্ঠিত করবার প্রস্তাবনাসহ অন্যান্য বিষয়ে ছাড় না দেবার কথা জানানো হলে তিনি প্রস্তাবনায় রাজি হননি। তিনি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে নির্বাচন করাবার বিষয়ে অনড় বলে জানান। ওই পাঁচ উপদেষ্টার মুখপাত্র ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আরও জানালেন যে, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রস্তাব নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট গেলে তিনি তাদের (উপদেষ্টাদের) প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতেই রাজি হননি। শেখ হাসিনা প্রথমে কিছুটা রাজি হলেও পুনরায় শক্ত অবস্থানে গিয়েছিলেন।
উপদেষ্টাদের দৌড়ঝাঁপের এমন নিষ্ফল প্রচেষ্টার বিবরণ শুনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের এরকম দৌড়ঝাঁপের বিরোধিতা করে হার্ডলাইনের কথা তুললে বৈঠকে উপস্থিত তার সঙ্গে সবাই প্রায় একমত পোষণ করলেও ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আলোচনার পথ খোলা রাখতে শেষ প্রচেষ্টা নিতে কয়েকঘণ্টা সময় চাইলেন। ওই সময় যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদের বলেছিলেন যে, বিএনপি নির্বাচন না করলেও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ওই কথার ওপরে আমি চুপ থাকাটা সমীচীন মনে না করে বলেছিলাম, জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপি এক হলো না।
পরের দিন সকালে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের অফিসে আমরা আগের দিনের আলোচনার বিস্তারিত জানতে এবং এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য বৈঠক করেছিলাম। ওই দিন প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আমার বিশিষ্ট বন্ধু, মেজর জেনারেল আবদুল মতিন (অব.) উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থারই দুই গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ এবং মেজর জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
বৈঠকে জানানো হয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন পিছিয়ে ডিসেম্বর ২৮ অনুষ্ঠিত করবার প্রস্তাবনাসহ অন্যান্য বিষয়ে ছাড় না দেবার কথা জানানো হলে তিনি প্রস্তাবনায় রাজি হননি। তিনি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে নির্বাচন করাবার বিষয়ে অনড় বলে জানান। ওই পাঁচ উপদেষ্টার মুখপাত্র ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আরও জানালেন যে, বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রস্তাব নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট গেলে তিনি তাদের (উপদেষ্টাদের) প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতেই রাজি হননি। শেখ হাসিনা প্রথমে কিছুটা রাজি হলেও পুনরায় শক্ত অবস্থানে গিয়েছিলেন।
উপদেষ্টাদের দৌড়ঝাঁপের এমন নিষ্ফল প্রচেষ্টার বিবরণ শুনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের এরকম দৌড়ঝাঁপের বিরোধিতা করে হার্ডলাইনের কথা তুললে বৈঠকে উপস্থিত তার সঙ্গে সবাই প্রায় একমত পোষণ করলেও ড. হোসেন জিল্লুর রহমান আলোচনার পথ খোলা রাখতে শেষ প্রচেষ্টা নিতে কয়েকঘণ্টা সময় চাইলেন। ওই সময় যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম কাদের বলেছিলেন যে, বিএনপি নির্বাচন না করলেও জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ওই কথার ওপরে আমি চুপ থাকাটা সমীচীন মনে না করে বলেছিলাম, জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপি এক হলো না।
No comments