রাম মন্দির তৈরির নয়া উদ্যোগ
অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির নতুন উদ্যোগে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে আজ বুধবার রাজ্যসভায় সেই উদ্বেগ ঝরে পড়ে। বিরোধী সদস্যরা রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে এসে এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান।
সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, মন্দির-মসজিদ বিতর্কটি আদালতের বিচারাধীন। সবারই উচিত আদালতের রায় মেনে চলা।
রাজস্থান ও গুজরাট থেকে রাম মন্দির তৈরির জন্য কয়েক ট্রাক পাথর সম্প্রতি অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে। এই পাথরগুলোর ওপর রাম মন্দিরের নানান নকশা কাটা। মন্দির আন্দোলন এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মন্দির তৈরির পাথর খোদাইয়ের কাজ শুরু হয়। দেশ-বিদেশ থেকে ইট আসতেও শুরু করে। কিছুদিন চলার পর অবশ্য এই উদ্যমে ভাটা পড়ে। সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নতুন করে মন্দির তৈরির কাজে উদ্যোগী হয়েছে। অযোধ্যায় আসতে শুরু করেছে পাথর। আতঙ্ক তা নিয়েই।
জনতা দল (সংযুক্ত) সদস্য কে সি ত্যাগী আজ বুধবার রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ, উত্তর প্রদেশের বিধানসভার ভোট ২০১৭ সালে। তার আগে নতুনভাবে মন্দির তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সংঘ পরিবারের অন্য সদস্যরা সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দিতে শুরু করেছেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দাঙ্গার প্ররোচনা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। ত্যাগীর সঙ্গে গলা মেলান অন্যরাও।
মুক্তার আব্বাস নাকভি তখন বলেন, বিতর্কিত স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ১৯৯০ সাল থেকেই মন্দির তৈরির জন্য পাথর খোদাইয়ের কাজ চলছে। সরকার ও বিজেপি মনে করে, আদালত যে রায় দেবেন, সবার তা মানা উচিত।
নাকভির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী আজ সংসদ ভবন চত্বরে বলেন, রাম মন্দির বিজেপি ও সংঘ পরিবারের বরাবরের অ্যাজেন্ডা। বিজেপির উচিত দলের লোকজনকে সংযত রাখা।
বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে রাম মন্দিরের উল্লেখ থাকলেও গত কয়েক বছর দল এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গত মাস থেকে রাম মন্দির তৈরিতে নতুন উদ্যোগ নেয়। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া ভোপালে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর তাঁদের অগাধ বিশ্বাস। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির শেষ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সংসদে বিল পাস করিয়ে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো অযোধ্যায় এক ভব্য রাম মন্দির তৈরি করা হবে। তার প্রস্তুতি হিসেবেই চলছে অযোধ্যায় পাথর পাঠানোর কাজ।
২৫ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির জন্মদিনে অযোধ্যায় এ জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হচ্ছে। অযোধ্যার ধর্মীয় নেতা মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাথর আসা শুরু হয়েছে। মোদি সরকারের কাছ থেকে তাঁরা মন্দির তৈরির ইঙ্গিতও পেয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি এখন থেকেই।
সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, মন্দির-মসজিদ বিতর্কটি আদালতের বিচারাধীন। সবারই উচিত আদালতের রায় মেনে চলা।
রাজস্থান ও গুজরাট থেকে রাম মন্দির তৈরির জন্য কয়েক ট্রাক পাথর সম্প্রতি অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছে। এই পাথরগুলোর ওপর রাম মন্দিরের নানান নকশা কাটা। মন্দির আন্দোলন এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মন্দির তৈরির পাথর খোদাইয়ের কাজ শুরু হয়। দেশ-বিদেশ থেকে ইট আসতেও শুরু করে। কিছুদিন চলার পর অবশ্য এই উদ্যমে ভাটা পড়ে। সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নতুন করে মন্দির তৈরির কাজে উদ্যোগী হয়েছে। অযোধ্যায় আসতে শুরু করেছে পাথর। আতঙ্ক তা নিয়েই।
জনতা দল (সংযুক্ত) সদস্য কে সি ত্যাগী আজ বুধবার রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ, উত্তর প্রদেশের বিধানসভার ভোট ২০১৭ সালে। তার আগে নতুনভাবে মন্দির তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সংঘ পরিবারের অন্য সদস্যরা সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দিতে শুরু করেছেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দাঙ্গার প্ররোচনা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। ত্যাগীর সঙ্গে গলা মেলান অন্যরাও।
মুক্তার আব্বাস নাকভি তখন বলেন, বিতর্কিত স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ১৯৯০ সাল থেকেই মন্দির তৈরির জন্য পাথর খোদাইয়ের কাজ চলছে। সরকার ও বিজেপি মনে করে, আদালত যে রায় দেবেন, সবার তা মানা উচিত।
নাকভির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী আজ সংসদ ভবন চত্বরে বলেন, রাম মন্দির বিজেপি ও সংঘ পরিবারের বরাবরের অ্যাজেন্ডা। বিজেপির উচিত দলের লোকজনকে সংযত রাখা।
বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে রাম মন্দিরের উল্লেখ থাকলেও গত কয়েক বছর দল এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি। কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদ গত মাস থেকে রাম মন্দির তৈরিতে নতুন উদ্যোগ নেয়। ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া ভোপালে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর তাঁদের অগাধ বিশ্বাস। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির শেষ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সংসদে বিল পাস করিয়ে গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরের মতো অযোধ্যায় এক ভব্য রাম মন্দির তৈরি করা হবে। তার প্রস্তুতি হিসেবেই চলছে অযোধ্যায় পাথর পাঠানোর কাজ।
২৫ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির জন্মদিনে অযোধ্যায় এ জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হচ্ছে। অযোধ্যার ধর্মীয় নেতা মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাথর আসা শুরু হয়েছে। মোদি সরকারের কাছ থেকে তাঁরা মন্দির তৈরির ইঙ্গিতও পেয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশে সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি এখন থেকেই।
No comments