দুদকের ‘অব্যাহতিপত্র’- এটি দুর্নীতি দমনের পথ নয়
দুর্নীতির
ব্যাপকতা নিয়ে কথা বললে সরকারি খাতের দুর্নীতিকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
কারণ, এই খাতের দুর্নীতি, অনিয়ম ও তহবিল তছরুপের ঘটনা বেসরকারি খাতের চেয়ে
বহুগুণে বেশি। তাই সরকারদলীয়দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পায় না দুর্নীতি
দমনে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা দুদক—এ রকম খবর যেমন আমাদের উদ্বিগ্ন করে,
তেমনি এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার একটানা ক্ষমতায় আছে প্রায় সাত বছর। কিন্তু দুদকের তরফে দুর্নীতি দমনে যেসব মামলা আলোচিত হয়ে থাকে, তার বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত আমলের। আর সেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। আবার সেই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেসব মামলা যৌক্তিক পরিণতি পায়নি। মাঝপথে থেমে গেছে। এ ক্ষেত্রে দুদকের ভূমিকা স্ববিরোধী বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
অতীতের দুর্নীতির বিচারে দুদক তৎপর থাকবে, সেটা সবারই কাম্য। তাই বলে বর্তমানের দুর্নীতির ব্যাপারেও তারা চোখ বুজে থাকতে পারে না। এক-এগারোতে ৩৩৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলাগুলো সরকারের অনুরোধে দুদক সরাসরি না করে বাঁকা পথে পরিত্যক্ত করেছে, যা কোনোভােবই গ্রহণযোগ্য নয়। গত আট বছরে সরকারদলীয় ৬৯৭ জনসহ প্রভাবশালী ১৫ হাজার ও অন্তত ৩ হাজার সরকারি কর্মকর্তা দুদক থেকে ‘অব্যাহতিপত্র’ লাভ করেছেন। হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, পেট্রোবাংলার মতো আলোচিত ঘটনাগুলোয় দুদকের সততা ও সামর্থ্য যে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুদক যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পাইকারি হারে অব্যাহতিপত্র দিয়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হতে পারে সরকারি দলের অভিযুক্ত নেতারা কালিমামুক্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির ভয়াল থাবা এর বিপরীত চিত্র ও চরিত্রই তুলে ধরে। এই প্রেক্ষাপটে দুদকের আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনা জরুরি বলে মনে করি। অনুগতপ্রবণ মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কর্তব্য পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
আওয়ামী লীগ সরকার একটানা ক্ষমতায় আছে প্রায় সাত বছর। কিন্তু দুদকের তরফে দুর্নীতি দমনে যেসব মামলা আলোচিত হয়ে থাকে, তার বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত আমলের। আর সেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। আবার সেই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেসব মামলা যৌক্তিক পরিণতি পায়নি। মাঝপথে থেমে গেছে। এ ক্ষেত্রে দুদকের ভূমিকা স্ববিরোধী বলেই সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
অতীতের দুর্নীতির বিচারে দুদক তৎপর থাকবে, সেটা সবারই কাম্য। তাই বলে বর্তমানের দুর্নীতির ব্যাপারেও তারা চোখ বুজে থাকতে পারে না। এক-এগারোতে ৩৩৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলাগুলো সরকারের অনুরোধে দুদক সরাসরি না করে বাঁকা পথে পরিত্যক্ত করেছে, যা কোনোভােবই গ্রহণযোগ্য নয়। গত আট বছরে সরকারদলীয় ৬৯৭ জনসহ প্রভাবশালী ১৫ হাজার ও অন্তত ৩ হাজার সরকারি কর্মকর্তা দুদক থেকে ‘অব্যাহতিপত্র’ লাভ করেছেন। হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, পেট্রোবাংলার মতো আলোচিত ঘটনাগুলোয় দুদকের সততা ও সামর্থ্য যে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুদক যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পাইকারি হারে অব্যাহতিপত্র দিয়ে যাচ্ছে, তাতে মনে হতে পারে সরকারি দলের অভিযুক্ত নেতারা কালিমামুক্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির ভয়াল থাবা এর বিপরীত চিত্র ও চরিত্রই তুলে ধরে। এই প্রেক্ষাপটে দুদকের আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনা জরুরি বলে মনে করি। অনুগতপ্রবণ মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কর্তব্য পালন করবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments