অবিশ্বাস্য নৃশংসতা
‘তুই
সর। নাইলে পিষ্যা ফালামু তোরে’—এ কথা বলেই চালক তাঁর যাত্রীবাহী বাসটি
তুলে দেন অটোরিকশাচালকের ওপর। শত মানুষের সামনে রাস্তায় পিষেই মেরে ফেললেন
অটোরিকশাচালক মো. ফারুককে (৪০)।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় জসীমউদ্দীন রোডের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বাসচালক আবদুল মজিদ (২৫) তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি বাস চালাচ্ছিলেন। মজিদের নৃশংসতায় বিমূঢ় হয়ে পড়েন বাসযাত্রীরা। কিন্তু বাসটি আধা কিলোমিটারের মতো পেরিয়ে আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলে যাত্রীরা চালক মজিদকে আটক করেন। পরে তাঁকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দেন। জসীমউদ্দীন মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করেন মজিদকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাচালক মো. ফারুক যাচ্ছিলেন আবদুল্লাহপুরের দিকে। জসীমউদ্দীন রোডের মোড়ে সিগন্যাল পড়লে ব্যস্ত সড়কের বাঁ পাশে থেমে যায় অটোরিকশাটি। হঠাৎ করে তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে ওই অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশা থেকে বের হয়ে এসে চালক ফারুক বাসচালক আবদুল মজিদের কাছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে কৈফিয়ত চান। মজিদ উল্টো ফারুককে গালাগালি করতে থাকেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সিগন্যাল চালু হলে ফারুকের শরীরের ওপর বাসটি তুলে দিয়ে গতি বাড়িয়ে দেন মজিদ। ফারুকের শরীর বাসের তলায় আটকে যায় এবং ওই অবস্থাতেই আধা কিলোমিটার দূরের আজমপুর বাসস্ট্যান্ড গিয়ে থামেন বাসচালক মজিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী অনন্ত কুমার সিংহ প্রথম আলোকে জানান, বিমানবন্দর মোড় থেকেই বাসচালকের সঙ্গে সাইড দেওয়া নিয়ে সমস্যা চলছিল অটোরিকশাচালকের। জসীমউদ্দীন মোড়ে সিগন্যালের কারণে যানবাহনগুলো দীর্ঘ সময় সেখানে থেমে ছিল। তখন বাসচালক ও অটোরিকশাচালকের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছিল। সিগন্যাল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসটি অটোরিকশাচালককে ধাক্কা দেয়।
অনন্ত কুমার সিংহ বলেন, সিগন্যালের সময় মোড়ে বাসের পাশে দাঁড়ানো থাকায় তিনি দুই চালকের তর্কাতর্কি শুনছিলেন। একপর্যায়ে বাসচালক অটোরিকশাচালককে বলতে শোনা যায় ‘তুই সর। নাইলে পিষ্যা ফালামু তোরে’। এ কথা বলার পরপরই অটোরিকশাচালকের ওপর বাস তুলে দেওয়া হয় এবং চাকার নিচে পড়ে যান অটোরিকশার চালক। বাসের সঙ্গে তাঁর শরীরের একটি অংশ আটকে যায়।
ট্রাফিক পরিদর্শক ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশাচালককে টেনে নিয়ে যায় তেঁতুলিয়া পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৪৮৯)। চালকসহ বাসটি উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া পরিবহনের বাস উত্তরার আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচল করে।
অটোরিকশার মালিক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাসচালক ইচ্ছে করেই তাঁর অটোরিকশার চালক ফারুককে মেরে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার অটোরিকশাটি (ঢাকা মেট্রো থ-১৪-৩৮০৬) সম্প্রতি রং করানো হয়েছিল। পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ায় ফারুক কারণ জানতে চান। এ সময় বাসচালক মজিদ খেপে গিয়ে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
আমিনুল ইসলাম জানান, ফারুকের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাকার মুগদায় থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত লাশ উত্তরা পশ্চিম থানায় রাখা ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাবে পুলিশ। ফারুকের পরিবার এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় জসীমউদ্দীন রোডের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। বাসচালক আবদুল মজিদ (২৫) তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি বাস চালাচ্ছিলেন। মজিদের নৃশংসতায় বিমূঢ় হয়ে পড়েন বাসযাত্রীরা। কিন্তু বাসটি আধা কিলোমিটারের মতো পেরিয়ে আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলে যাত্রীরা চালক মজিদকে আটক করেন। পরে তাঁকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে দেন। জসীমউদ্দীন মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করেন মজিদকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাচালক মো. ফারুক যাচ্ছিলেন আবদুল্লাহপুরের দিকে। জসীমউদ্দীন রোডের মোড়ে সিগন্যাল পড়লে ব্যস্ত সড়কের বাঁ পাশে থেমে যায় অটোরিকশাটি। হঠাৎ করে তেঁতুলিয়া পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে ওই অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশা থেকে বের হয়ে এসে চালক ফারুক বাসচালক আবদুল মজিদের কাছে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়ে কৈফিয়ত চান। মজিদ উল্টো ফারুককে গালাগালি করতে থাকেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সিগন্যাল চালু হলে ফারুকের শরীরের ওপর বাসটি তুলে দিয়ে গতি বাড়িয়ে দেন মজিদ। ফারুকের শরীর বাসের তলায় আটকে যায় এবং ওই অবস্থাতেই আধা কিলোমিটার দূরের আজমপুর বাসস্ট্যান্ড গিয়ে থামেন বাসচালক মজিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী অনন্ত কুমার সিংহ প্রথম আলোকে জানান, বিমানবন্দর মোড় থেকেই বাসচালকের সঙ্গে সাইড দেওয়া নিয়ে সমস্যা চলছিল অটোরিকশাচালকের। জসীমউদ্দীন মোড়ে সিগন্যালের কারণে যানবাহনগুলো দীর্ঘ সময় সেখানে থেমে ছিল। তখন বাসচালক ও অটোরিকশাচালকের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছিল। সিগন্যাল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসটি অটোরিকশাচালককে ধাক্কা দেয়।
অনন্ত কুমার সিংহ বলেন, সিগন্যালের সময় মোড়ে বাসের পাশে দাঁড়ানো থাকায় তিনি দুই চালকের তর্কাতর্কি শুনছিলেন। একপর্যায়ে বাসচালক অটোরিকশাচালককে বলতে শোনা যায় ‘তুই সর। নাইলে পিষ্যা ফালামু তোরে’। এ কথা বলার পরপরই অটোরিকশাচালকের ওপর বাস তুলে দেওয়া হয় এবং চাকার নিচে পড়ে যান অটোরিকশার চালক। বাসের সঙ্গে তাঁর শরীরের একটি অংশ আটকে যায়।
ট্রাফিক পরিদর্শক ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশাচালককে টেনে নিয়ে যায় তেঁতুলিয়া পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৪৮৯)। চালকসহ বাসটি উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া পরিবহনের বাস উত্তরার আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটে চলাচল করে।
অটোরিকশার মালিক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাসচালক ইচ্ছে করেই তাঁর অটোরিকশার চালক ফারুককে মেরে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার অটোরিকশাটি (ঢাকা মেট্রো থ-১৪-৩৮০৬) সম্প্রতি রং করানো হয়েছিল। পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ায় ফারুক কারণ জানতে চান। এ সময় বাসচালক মজিদ খেপে গিয়ে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
আমিনুল ইসলাম জানান, ফারুকের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি ঢাকার মুগদায় থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত লাশ উত্তরা পশ্চিম থানায় রাখা ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাবে পুলিশ। ফারুকের পরিবার এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবে।
No comments