গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে ভারতে আরও এক খুন, তোলপাড়
গরু
জবাই করে তার মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের উত্তর প্রদেশে দাদ্রিতে
চলছে তুলকালাম কা-। সোমবার এ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজিত জনতা
দিল্লির কাছের এ গ্রামে হত্যা করে মোহাম্মাদ আখলাককে। তার নামে কোন
অপরাধমুলক কর্মকা- করা বা অপরাধে জড়িত থাকার কোন রেকর্ড নেই। আখলাক একজন
ল্যাব টেকনিশিয়ান। তারপরও তিনি নতুন চাকরি খুঁজছিলেন। কিন্তু ওই গুজবের
কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাকে হত্যা করেছে তার মধ্যে সাত
অভিযুক্তই স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় রানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। প্রধান
অভিযুক্ত বিশাল রানা (২০) এই সঞ্জয়েরই ছেলে। বিবেক (২২) ও শচীন (২০) দুই
ভাই। তারাও সঞ্জয় রানার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া অভিযুক্ত আরও চার জন হলো
সৌরভ, গৌরব, শিবাম ও সন্দ্বীপ। তারা সবাই বিজেপির সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে
সৌরভ (২১) ও গৌরব (২২) দু’ভাই। তাদের পিতা ধীরাজ সিং একজন কন্ট্রাক্টর।
অভিযোগ আছে, বিশাল রানাই লোকজনকে জড়ো করেছে। তারপর রোববার তারা আখলাকের
পরিবারের ওপর হামলা করেছে। এর আগে স্থানীয় একটি মন্দির থেকে ঘোষণা দেয়া হয়
যে আলখাক গরুর একটি বাছুর হত্যা করেছে। এ ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়ো হওয়া
লোকজন আখলাকের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আখলাক। তার ছেলে
মারাত্মক জখম হন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, বিশাল
দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় লেখাপড়া বাদ দেন। এর কারণ তিনি যথেষ্ট সুস্থ
ছিলেন না। এরপর থেকে তিনি তার এক নিকট আত্মীয়ের দক্ষিণ দিল্লিতে অবস্থিত
একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করছিলেন। ওদিকে এ নিয়ে যখন চারদিক শোরগোল চলছে,
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করছে তখন বিজেপির
বিতর্কিত এমপি সঙ্গীত সোম অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত
করেছেন এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন আটক ব্যক্তিদের জামিন দেয়া হবে। এখানে
উল্লেখ্য, সঙ্গীত সোম ২০১৩ সালে মুজাফ্ফরনগরে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগ থেকে
জামিনে রয়েছেন।
No comments