জাপানি নাগরিক কুনিওকে আপন করে নিয়েছিল মুন্সিপাড়া by গোলাম মর্তুজা
কুনিও হোশির লাশের ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন জাপানি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। গতকাল দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তোলা ছবি -হাসান রাজা |
রংপুর
শহরের উপকণ্ঠে নিভৃত গ্রাম কাচু আলুটারি। রাস্তার দুপাশে দীর্ঘ পথজুড়ে
শুধু ধানখেত আর পুকুর। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই কখনো গুলির শব্দ
শোনেনি। শনিবার সকালে পরপর তিনটি গুলির শব্দে তারা হকচকিত। যে গুলিতে নিহত
হয়েছেন জাপানের নাগরিক ৬৬ বছরের কুনিও হোশি।
গ্রামবাসী বলছেন, তাঁরা মোটরসাইকেল আরোহী খুনিদের দেখে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, তারা খবর পেয়ে খুনিদের ধরার চেষ্টা করেও পারেনি।
গতকাল রোববার কাচারিবাজার এলাকায় মুন্সিপাড়ার কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, পাড়ার লোকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন কুনিও হোশি। প্রতি সন্ধ্যায় পাড়ায় হাঁটাহাঁটি করতেন। প্রতিদিনই পাড়ার দোকান থেকে অন্তত দুই হালি কলা কিনতেন। পাড়ার শিশুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, চকলেট কিনে দিতেন। ভাঙা ভাঙা বাংলায় শিশুদের নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেন। শুনে মজা পেত শিশুরা। তাদেরও দু-একটি জাপানি শব্দ শেখানোর চেষ্টা করতেন কুনিও।
স্থানীয় কয়েকজন তরুণ বলেন, কুনিওকে তাঁরা পাড়ার লোকই মনে করতেন। তিন-চার বছর ধরে তিনি বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন। দুই থেকে চার মাস থেকে চলে যেতেন। আবার কয়েক মাস পরে ফিরে আসতেন। সাদামাটা জামা-কাপড় পরে চলাফেরা করতেন। পাড়ার তরুণদের সঙ্গে কুনিও নামাজ পড়তে যেতেন। গত কোরবানি ঈদে সবার সঙ্গে মুন্সিপাড়া কবরস্থান ঈদগা মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় কেরামতিয়া মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজও পড়তে যেতেন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, কুনিও যে বাড়িতে থাকতেন, তার মালিক এ কে এম জাকারিয়া দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। তাঁর ভাই এখনো জাপানপ্রবাসী। তিন বছর আগে জাকারিয়া তাঁর সঙ্গে কুনিওর পরিচয় করিয়ে দেন। বলেন, কুনিও পোলট্রি খাবার নিয়ে গবেষণা করছেন। ওই ব্যবসায়ী বলেন, কুনিওর সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি কুনিও ও জাকারিয়ার কাছ থেকে জেনেছেন, কুনিও এমন ধরনের পশুখাদ্য নিয়ে গবেষণা করছেন, যেগুলো দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই অনেক বেড়ে উঠবে। এসব ঘাসের বীজ নিয়ে গবেষণা জাপানে অনেক ব্যয়সাধ্য। তাই তিনি বাংলাদেশে এই গবেষণা করতে এসেছেন বলেই সবাই জানে। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে খামার করার উপযোগী জমি খুঁজছিলেন। পরে জাকারিয়া তাঁর আত্মীয় হুলমায়ূন কবির ওরফে হীরার নামে আলুটারি গ্রামের তিন ভাইয়ের কাছ থেকে বছরে ৮২ হাজার টাকায় দুই একর আট শতক জমি বর্গা নিয়ে দেন। সেই জমিতেই কয়েক মাস আগে ঘাসের চাষ করেন কুনিও।
গ্রামবাসী বলছেন, তাঁরা মোটরসাইকেল আরোহী খুনিদের দেখে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, তারা খবর পেয়ে খুনিদের ধরার চেষ্টা করেও পারেনি।
গতকাল রোববার কাচারিবাজার এলাকায় মুন্সিপাড়ার কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, পাড়ার লোকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন কুনিও হোশি। প্রতি সন্ধ্যায় পাড়ায় হাঁটাহাঁটি করতেন। প্রতিদিনই পাড়ার দোকান থেকে অন্তত দুই হালি কলা কিনতেন। পাড়ার শিশুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, চকলেট কিনে দিতেন। ভাঙা ভাঙা বাংলায় শিশুদের নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেন। শুনে মজা পেত শিশুরা। তাদেরও দু-একটি জাপানি শব্দ শেখানোর চেষ্টা করতেন কুনিও।
স্থানীয় কয়েকজন তরুণ বলেন, কুনিওকে তাঁরা পাড়ার লোকই মনে করতেন। তিন-চার বছর ধরে তিনি বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন। দুই থেকে চার মাস থেকে চলে যেতেন। আবার কয়েক মাস পরে ফিরে আসতেন। সাদামাটা জামা-কাপড় পরে চলাফেরা করতেন। পাড়ার তরুণদের সঙ্গে কুনিও নামাজ পড়তে যেতেন। গত কোরবানি ঈদে সবার সঙ্গে মুন্সিপাড়া কবরস্থান ঈদগা মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় কেরামতিয়া মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজও পড়তে যেতেন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, কুনিও যে বাড়িতে থাকতেন, তার মালিক এ কে এম জাকারিয়া দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। তাঁর ভাই এখনো জাপানপ্রবাসী। তিন বছর আগে জাকারিয়া তাঁর সঙ্গে কুনিওর পরিচয় করিয়ে দেন। বলেন, কুনিও পোলট্রি খাবার নিয়ে গবেষণা করছেন। ওই ব্যবসায়ী বলেন, কুনিওর সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি কুনিও ও জাকারিয়ার কাছ থেকে জেনেছেন, কুনিও এমন ধরনের পশুখাদ্য নিয়ে গবেষণা করছেন, যেগুলো দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই অনেক বেড়ে উঠবে। এসব ঘাসের বীজ নিয়ে গবেষণা জাপানে অনেক ব্যয়সাধ্য। তাই তিনি বাংলাদেশে এই গবেষণা করতে এসেছেন বলেই সবাই জানে। তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে খামার করার উপযোগী জমি খুঁজছিলেন। পরে জাকারিয়া তাঁর আত্মীয় হুলমায়ূন কবির ওরফে হীরার নামে আলুটারি গ্রামের তিন ভাইয়ের কাছ থেকে বছরে ৮২ হাজার টাকায় দুই একর আট শতক জমি বর্গা নিয়ে দেন। সেই জমিতেই কয়েক মাস আগে ঘাসের চাষ করেন কুনিও।
কুনিওর ঘাসের খামার:
রংপুর শহর থেকে একটু বাইরে রংপুর-হারাগাছ স্থানীয় সড়ক ধরে প্রায় দুই
কিলোমিটার গেলে কাচু আলুটারি গ্রাম। পাকা সড়ক থেকে মেঠো পথ ধরে এক
কিলোমিটারের মতো গেলেই কুনিও হোশির ঘাসের খেত। খেতের ঘাস তিন-চার ফুট
লম্বা।
প্রায়
প্রতিদিনই খামারে আসতেন কুনিও। আলুটারি গ্রামের আবদুল জব্বার বলেন, খামারে
এসে ঘাস কত লম্ব হয়েছে তা মাপতেন, কখনো নিজেই নিড়ানি দিতেন। তাঁর দাবি,
কুনিও তাঁকে বলেছেন, রংপুরের মাটিতে তাঁর প্রত্যাশামতো খুব দ্রুত বাড়ছে
ঘাস। জাপানে এত দিনে এই ঘাস দেড় থেকে দুই ফুট লম্বা হতো। এখানে তা তিন
ফুট ছাড়িয়ে গেছে।
হত্যাকাল: রংপুর শহরের মুন্সিপাড়া থেকে খামারে যেতেন মুন্নাফ আলীর রিকশায়। অন্যদিনের মতোই শনিবার সকালে মুন্নাফের রিকশায় তিনি খামারের দিকে রওনা দেন। রিকশাটি পাকা সড়ক ফেলে মাটির রাস্তায় ঢুকে ১০০ গজ এগোতেই সামনের দিক থেকে দুই ব্যক্তি এসে কুনিওকে ধাক্কা মেরে রিকশা থেকে ফেলে দিয়ে গুলি করে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে শুনেছেন, কুনিওর রিকশাটি ওই এলাকায় আসার আগে লাল রঙের একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলে তিনজন এসে কাঁচা রাস্তার মাথায় পাকা সড়কে থামে। এর নম্বরপ্লেটে শুধু ‘প্রেস’ লেখা ছিল। দুজন সেই মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে মেঠোপথ ধরে কিছুটা এগিয়ে যায়। তারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। কুনিওর রিকশাটি ওপাশ থেকে খোকা মিয়ার বাড়ির সামনে আসার পর ওই দুজন অস্ত্র বের করে এগিয়ে যায়। একজন কুনিওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, আরেকজন তাঁকে গুলি করে।
আলুটারি মোড়ের দোকানদার মো. মোস্তফা বলেন, তিনিসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা গুলির শব্দ শুনেছেন। যেহেতু তাঁদের বেশির ভাগই এর আগে কখনো গুলির শব্দই শোনেননি, তাই তাঁরা বিষয়টি বুঝতেই পারেননি। সে সময় সেখান দিয়ে ঢাকা থেকে হারাগাছগামী একটি বাস যাচ্ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, বাসের চাকা ফেটে গেছে।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাসটি যাওয়ার কারণে গুলির শব্দে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। পরে চিৎকার শুনে আলুটারি মোড়ের দোকানগুলোতে থাকা লোকজন ভেবেছিলেন, হয়তো খোকার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। স্থানীয় তিন যুবক আমিনুর, মোস্তফা ও শহীদার দৌড়ে এসে দেখেন কুনিও পড়ে রয়েছেন। তাঁরা কুনিওকে ধরে পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেদিক দিয়ে যাওয়ার সময় স্বাধীন নামে এক অটোচালকের গাড়িতে কুনিওকে নিয়ে উঠে বসেন তিনজন। রংপুর শহরের সাতমাথায় গিয়ে কুনিওকে নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে ওঠেন।
চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন তাঁকে বলেছেন যে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে কিছুক্ষণ কথা বলতে পেরেছিলেন কুনিও। তবে তাঁর কথা তাঁরা বুঝতে পারেননি। শুধু এটুকু বোঝা গেছে, তিনি সাতমাথায় যেতে বলছেন। সাতমাথায় যাওয়ার আগেই কুনিও নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
আশরাফুল বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি প্রথমে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর তিনি জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তাদের ফোন করেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে বিষয়টি জানানো হয়। দ্রুতগতিতে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু দুর্বৃত্তদের ধরা যায়নি। ওসি বলেন, রংপুর থেকে হারাগাছগামী ওই রাস্তাটিতে অনেকগুলো শাখা রাস্তা এসে সংযুক্ত হয়েছে। এ কারণে অনেকগুলো পথে পুলিশ অবস্থান নিয়েও তাদের ধরতে পারেনি।
হত্যাকাল: রংপুর শহরের মুন্সিপাড়া থেকে খামারে যেতেন মুন্নাফ আলীর রিকশায়। অন্যদিনের মতোই শনিবার সকালে মুন্নাফের রিকশায় তিনি খামারের দিকে রওনা দেন। রিকশাটি পাকা সড়ক ফেলে মাটির রাস্তায় ঢুকে ১০০ গজ এগোতেই সামনের দিক থেকে দুই ব্যক্তি এসে কুনিওকে ধাক্কা মেরে রিকশা থেকে ফেলে দিয়ে গুলি করে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে শুনেছেন, কুনিওর রিকশাটি ওই এলাকায় আসার আগে লাল রঙের একটি ডিসকভার মোটরসাইকেলে তিনজন এসে কাঁচা রাস্তার মাথায় পাকা সড়কে থামে। এর নম্বরপ্লেটে শুধু ‘প্রেস’ লেখা ছিল। দুজন সেই মোটরসাইকেল থেকে নেমে হেঁটে মেঠোপথ ধরে কিছুটা এগিয়ে যায়। তারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। কুনিওর রিকশাটি ওপাশ থেকে খোকা মিয়ার বাড়ির সামনে আসার পর ওই দুজন অস্ত্র বের করে এগিয়ে যায়। একজন কুনিওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, আরেকজন তাঁকে গুলি করে।
আলুটারি মোড়ের দোকানদার মো. মোস্তফা বলেন, তিনিসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা গুলির শব্দ শুনেছেন। যেহেতু তাঁদের বেশির ভাগই এর আগে কখনো গুলির শব্দই শোনেননি, তাই তাঁরা বিষয়টি বুঝতেই পারেননি। সে সময় সেখান দিয়ে ঢাকা থেকে হারাগাছগামী একটি বাস যাচ্ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, বাসের চাকা ফেটে গেছে।
সারাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাসটি যাওয়ার কারণে গুলির শব্দে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। পরে চিৎকার শুনে আলুটারি মোড়ের দোকানগুলোতে থাকা লোকজন ভেবেছিলেন, হয়তো খোকার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। স্থানীয় তিন যুবক আমিনুর, মোস্তফা ও শহীদার দৌড়ে এসে দেখেন কুনিও পড়ে রয়েছেন। তাঁরা কুনিওকে ধরে পাকা রাস্তায় নিয়ে যান। সেদিক দিয়ে যাওয়ার সময় স্বাধীন নামে এক অটোচালকের গাড়িতে কুনিওকে নিয়ে উঠে বসেন তিনজন। রংপুর শহরের সাতমাথায় গিয়ে কুনিওকে নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে ওঠেন।
চেয়ারম্যান বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন তাঁকে বলেছেন যে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে কিছুক্ষণ কথা বলতে পেরেছিলেন কুনিও। তবে তাঁর কথা তাঁরা বুঝতে পারেননি। শুধু এটুকু বোঝা গেছে, তিনি সাতমাথায় যেতে বলছেন। সাতমাথায় যাওয়ার আগেই কুনিও নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
আশরাফুল বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি প্রথমে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর তিনি জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তাদের ফোন করেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে বিষয়টি জানানো হয়। দ্রুতগতিতে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা পুলিশকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু দুর্বৃত্তদের ধরা যায়নি। ওসি বলেন, রংপুর থেকে হারাগাছগামী ওই রাস্তাটিতে অনেকগুলো শাখা রাস্তা এসে সংযুক্ত হয়েছে। এ কারণে অনেকগুলো পথে পুলিশ অবস্থান নিয়েও তাদের ধরতে পারেনি।
No comments