জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি নিষিদ্ধ
মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই দুই ফিলিস্তিনি ও দুই ইসরাইলি নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনি প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইল। রোববার সকালেই এক ইসরাইলি কিশোরকে ছুরিকাঘাত করার পর পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এক ফিলিস্তিনি। এর আগে শনিবার রাতেও চারজন ইসরাইলিকে ছুরিকাঘাত করে আরেক ফিলিস্তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল। হামলাকারী মুহাম্মাদ হালাবি (১৯) একজন ফিলিস্তিনি। তিনি পশ্চিম তীরের নিকটবর্তী বিরেহ শহরে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। তারা জানায়, জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এখন শুধু এলাকার বাসিন্দা, স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্কুল-শিক্ষার্থী ও ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি থাকছে। আগামী দু’দিন এ বিধি-নিষেধ চলবে বলে জানা যায়।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করে মসজিদ প্রাঙ্গণ খালি করে ফেলে ইসরাইলি সেনারা। দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী রোববার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকলেও সেটি এখন সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বলে তার অফিস থেকে জানানো হয়। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চীম তীরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার এক ইসরাইলি দম্পতিকে তাদের গাড়িতেই গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরাইলি পুলিশ ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আল-আকসায় ইহুদিদের মন্দিরে বেশিসংখ্যক ইহুদি প্রবেশে সেখানে মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ খর্ব হতে পারে। অন্যদিকে ইসরাইল আল-আকসায় মুসলিমদের নামাজের সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিলেও এখন নিরাপত্তার অজুহাতে সেখানে মুসলিমদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চীম তীর ও গাজা পুনরায় ফেরত চায় ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু জাতিসংঘের নিয়ম না মেনেই তাদের ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করে যাচ্ছে ইসরাইল। সবশেষ ২০১৪ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মাঝে শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। আল-জাজিরা।
No comments