হাওরে অবাধে শামুক নিধন by উজ্জ্বল মেহেদী
শামুক ধরে বস্তায় ভরে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। এখান থেকে নিয়ে যাবেন কারবারিরা। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ সড়কের পাশের হাওর এলাকার ছবি -প্রথম আলো |
সিলেট
অঞ্চলের হাওরগুলোতে অবাধে শামুক ধরা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে
জীববৈচিত্র্য। এদিকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে শামুক নিধন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট
কোনো কিছু উল্লেখ না থাকায় মৎস্য অধিদপ্তরও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে
পারছে না।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দিরাই উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে শামুক নিধন ও বিক্রি চলছে। চিংড়িঘের ও মৎস্য খামারের জন্য হাওরের শামুকের কদর থাকায় সেভাবে বিক্রিও হচ্ছে।
গত প্রায় তিন সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে হাকালুকিসহ সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, ‘ভাসান পানির’ মৌসুম থাকায় হাওর এলাকা অনেকটা সুনসান। মাছ ধরার জন্য নির্ধারিত জলমহালগুলোতে মৎস্যজীবীদের একটি অংশ শামুক ধরছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার হাওরগুলো থেকে শামুক ধরে সেগুলো বস্তাবন্দী করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে নিজস্ব যানবাহন দিয়ে শামুক গন্তব্যে নেওয়া হয়। এ সময় ওই মহাসড়কে ১০-১২টি বস্তা দেখা যায়। প্রতিটি বস্তায় ২৫০ কেজির মতো শামুক রয়েছে বলে জানা যায়। যেসব হাওর এলাকার সঙ্গে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, সেখান থেকে এভাবে শামুক নেওয়া হচ্ছে।
দোয়ারাবাজারের দেখার হাওর এলাকার পান্ডারখাল এলাকা থেকে শামুক সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মনবেগ এলাকা থেকে গন্তব্যে পাঠানোর সময় শামুকের কয়েকজন কারবারির সঙ্গে দেখা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কারবারি বলেন, চিংড়িঘেরের মালিকদের কাছে তাঁরা বস্তা দরে হাওরের শামুক বিক্রি করেন।
আবদুল হাকিম নামের একজন কারবারি বলেন, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করে শামুক কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করা থাকে। এরপর নৌকা বোঝাই করে শামুক এনে সেগুলো বস্তায় ভরা হয়। প্রতি বস্তা শামুক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। শামুক ধরায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মজুরিও দেওয়া হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার একাংশজুড়ে বিস্তৃত হাকালুকি হাওর। সেখান থেকে রাতে ও ভোরে শামুক ধরা হচ্ছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক এলাকায় রাস্তার মুখে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেনৌকা দিয়ে শামুক আহরণ করে স্তূপাকারে রাখা হয়। সম্প্রতি পারাইরচকে গিয়ে শামুক বস্তাবন্দী করার কাজে নিয়োজিত কয়েকজনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নির্বিচারে শামুক ধরার বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা বলেন, শামুক হাওরাঞ্চলের জলজ প্রাণীর জীবনচক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। শামুক এভাবে আহরণ করা হলে হাওরের জীববৈচিত্র্য পুরোপুরি নষ্ট হবে। শামুকের প্রজননক্ষমতাও নষ্ট হবে। অনেক শামুক আছে, যেগুলো মাছের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খায়। আবার মাছও শামুক খায়। শামুকের সংকট দেখা দিলে মাছেরও আকাল তীব্র হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক এ এস এম রাশেদুল হক বলেন, ‘শামুক নিধন হলে সরাসরি মাছের ক্ষতি হয়—এ বিষয়টি মৎস্য সংরক্ষণ আইনে স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দিরাই উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে শামুক নিধন ও বিক্রি চলছে। চিংড়িঘের ও মৎস্য খামারের জন্য হাওরের শামুকের কদর থাকায় সেভাবে বিক্রিও হচ্ছে।
গত প্রায় তিন সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে হাকালুকিসহ সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, ‘ভাসান পানির’ মৌসুম থাকায় হাওর এলাকা অনেকটা সুনসান। মাছ ধরার জন্য নির্ধারিত জলমহালগুলোতে মৎস্যজীবীদের একটি অংশ শামুক ধরছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার হাওরগুলো থেকে শামুক ধরে সেগুলো বস্তাবন্দী করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে নিজস্ব যানবাহন দিয়ে শামুক গন্তব্যে নেওয়া হয়। এ সময় ওই মহাসড়কে ১০-১২টি বস্তা দেখা যায়। প্রতিটি বস্তায় ২৫০ কেজির মতো শামুক রয়েছে বলে জানা যায়। যেসব হাওর এলাকার সঙ্গে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে, সেখান থেকে এভাবে শামুক নেওয়া হচ্ছে।
দোয়ারাবাজারের দেখার হাওর এলাকার পান্ডারখাল এলাকা থেকে শামুক সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের মনবেগ এলাকা থেকে গন্তব্যে পাঠানোর সময় শামুকের কয়েকজন কারবারির সঙ্গে দেখা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কারবারি বলেন, চিংড়িঘেরের মালিকদের কাছে তাঁরা বস্তা দরে হাওরের শামুক বিক্রি করেন।
আবদুল হাকিম নামের একজন কারবারি বলেন, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করে শামুক কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করা থাকে। এরপর নৌকা বোঝাই করে শামুক এনে সেগুলো বস্তায় ভরা হয়। প্রতি বস্তা শামুক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। শামুক ধরায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মজুরিও দেওয়া হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার একাংশজুড়ে বিস্তৃত হাকালুকি হাওর। সেখান থেকে রাতে ও ভোরে শামুক ধরা হচ্ছে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক এলাকায় রাস্তার মুখে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরেনৌকা দিয়ে শামুক আহরণ করে স্তূপাকারে রাখা হয়। সম্প্রতি পারাইরচকে গিয়ে শামুক বস্তাবন্দী করার কাজে নিয়োজিত কয়েকজনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। তাঁরা নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নির্বিচারে শামুক ধরার বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ নূর হোসেন মিঞা বলেন, শামুক হাওরাঞ্চলের জলজ প্রাণীর জীবনচক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। শামুক এভাবে আহরণ করা হলে হাওরের জীববৈচিত্র্য পুরোপুরি নষ্ট হবে। শামুকের প্রজননক্ষমতাও নষ্ট হবে। অনেক শামুক আছে, যেগুলো মাছের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খায়। আবার মাছও শামুক খায়। শামুকের সংকট দেখা দিলে মাছেরও আকাল তীব্র হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক এ এস এম রাশেদুল হক বলেন, ‘শামুক নিধন হলে সরাসরি মাছের ক্ষতি হয়—এ বিষয়টি মৎস্য সংরক্ষণ আইনে স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
No comments