সাম্রাজ্যবাদের দু'মুখো নীতি by এম আবদুল হাফিজ
২০০৩ সালের মার্চে ইরাক অভিযানের আট বছর পর ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসি শক্তিত্রয় আরেকটি অভিযান শুরু করেছে লিবিয়ায়। নিয়মমাফিক যে কোনো জ্বালানি সমৃদ্ধ মুসলিম দেশে কোনো 'মহৎ' উদ্দেশ্যই হতে হবে।
লিবিয়ায় এই সামরিক হস্তক্ষেপ মানবাধিকার সংরক্ষণে, ইরাকে তা ছিল ইরাকিদের সাদ্দাম হোসেনের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনমুক্ত করে স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করাতে এবং আফগানিস্তানেও তারা নাকি চেয়েছিল তালেবান নির্যাতন থেকে আফগান মহিলাদের মুক্ত করতে।
লিবিয়া আক্রমণের আগে নাকি পাঁচটি আরব দেশ_ ইরাক, জর্ডান, মরক্কো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই যুদ্ধকে অনুমোদন দিতে প্যারিসে মিলিত হয়েছিল। কাতার এই দৌত্যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল আক্রমণে তার বিমান বাহিনীর কিছু জেট বিমান পাঠিয়ে। অবশ্য জোর প্রয়োগ করে সরকার উৎখাত (জবমরসব পযধহমব) আজকাল কোনো অভিনব কিছু নয়। এখানে যেটা অভিনব তা হলো, একজন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি আফ্রিকান দেশ আক্রমণে সম্মতি। আফ্রিকা এমন একটি মহাদেশ, যেখানে প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় তার শিকড়ের সন্ধান পান।
সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠিয়ে ইরাকে একজন মালিকিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল। তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর একজন কারজাই মার্কিন আনুকূল্যে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেন। এখন মুয়াম্মার গাদ্দাফি কারণে বা অকারণে উৎখাতের তালিকায় এবং একজন মাহমুদ জেবরিলকে তার স্থান দখলে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। জেবরিল দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং সহজেই বোধগম্য যে, তাকে মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণে লিবিয়ায় কী করতে হবে, তা তার (জেবরিল) অজানা নয়। এখন তার জন্য শুধু কারজাইসদৃশ একটি ট্রেডমার্ক পরিধানের প্রয়োজন। লিবিয়ায় অনেকেই এখন উপলব্ধি করছে, ফরাসি গোয়েন্দারাই প্রথমে দেশটিতে বিদ্রোহ উস্কে দেয়। পরে ব্রিটেন গোয়েন্দা সংস্থা এম-১৬ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ঞযব ফধরষু সধরষ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গোয়েন্দারা প্রথমে গাদ্দাফির জেনারেলদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের পক্ষত্যাগের উস্কানি দেয়। অন্যথায় তাদের লক্ষ্যভেদী হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। যে তৎপরতার সঙ্গে ৫৪৪ জন ব্রিটিশ এমপির ৯০ ভাগ লিবিয়া আক্রমণের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তা-ও এক গভীর সংশয়ে উদ্রেককারী পদক্ষেপ। অথচ এক জরিপ অনুযায়ী ৫৩ ভাগ লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিপক্ষে ছিল। এতে বোঝা যায়, পাশ্চাত্যের জনগণ যা চায় এর সঙ্গে সরকারি অভিমতের কত পার্থক্য। এও এক প্রকার গণতন্ত্র!
যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ এখন ন্যাটোর হাতে। ২৮টি দেশের এই জোট ১৯৪৯ সালে অস্তিত্বে এসেছিল, যখন জোটের প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল লউইসমে জোটের লক্ষ্য সম্বন্ধে তাৎপর্যপূর্ণ উক্তি করেছিলেন। তার সেই বিখ্যাত উক্তি অনুযায়ী জোটের উদ্দেশ্য : ঃড় শববঢ় ঃযব ৎঁংংরধহং ড়ঁঃ, ঃযব ধসবৎরপধহ রহ ধহফ ঃযব মবৎসধহং ফড়হি. জোটকে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ভিত্তিতে বাইরের হুমকিকে মোকাবেলা করার কথা। পরে সংগঠনের প্রতিরক্ষার ভূমিকা শুধু আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেই পরিবর্তিত হয়নি, এই জোট এখন পাশ্চাত্যের বৃহৎ শক্তিবর্গের উদ্দেশ্যসাধনে ড়হ পধষষ-এ রাখা হয়েছে। লক্ষণীয়, এর কমান্ডও এখন মার্কিন অ্যাডমিরাল জেমস স্টারস্রিডের হাতে।
এবং জাতিসংঘ? পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের জন্য তাদের বৈশ্বিক স্বার্থের অনুকূলে প্রস্তাব পাস করার জন্য এই বিশ্ব সংস্থাটি প্রয়োজন মেটানোর একটি সহজ হাতিয়ার। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে কোনো সার্বভৌম দেশকে মানবাধিকারের নামে দখল করা এবং যুক্তরাষ্ট্র সে জন্য অবরোধ ইত্যাদি আরোপ করে বা নিরাপত্তা পরিষদকে আয়ত্তে এনে আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সদাপ্রস্তুত। জাতিসংঘের লিবিয়ার জন্য 'নো ফ্লাই জোন' অনুমোদন প্রকারান্তরে তার এক সদস্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণারই শামিল।
যা হোক, সংশ্লিষ্ট মুসলিম নেতারা এ কথা ঠিকই জানেন যে, পশ্চিমাদের পরার্থবাদের অন্তরালে রয়েছে তাদের দেশগুলোয় সঞ্চিত জ্বালানি সম্পদের জন্য পরার্থবাদীদের এক প্রকার কাড়াকাড়ি। পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর এই নেপথ্য খেলার ধারণাও করতে পারে না মুসলিম দেশগুলোর নেতৃত্ব। একটি পরোক্ষ উক্তিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি সতর্ক করে দিয়েছেন_ আরব শাসকগোষ্ঠীর বোঝা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া লিবিয়া আক্রমণের মুহূর্ত থেকে আগের মতো একই হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর ভণ্ডামি নগ্নভাবে প্রতীয়মান হয় লিবিয়া ও বাহরাইনে তাদের গৃহীত অবস্থানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা যদিও লিবিয়ার বিদ্রোহ সমর্থন করে, তারাই আবার উপসাগরীয় আমিরাত-বাহরাইনে তার বিরোধিতায় লিপ্ত। গাদ্দাফির চলি্লশ বছরের শাসনের বিপরীতে সুনি্ন আমিররা বাহরাইনে দু'শতাব্দী ধরে তাদের শাসন বহাল রেখেছেন। বাহরাইনের ৭০ ভাগ শিয়া অধিবাসী বিদ্রোহ করলেও তা যতখানি না আমিরের বিরুদ্ধে, তার অনেক বেশি আমিরের পিতৃব্য সালমান আল খলিফার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে এই নগর রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সালমান আল খলিফা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাহরাইন শাসন করে আসছেন।
সৌদি সৈন্যরা ইতিমধ্যেই বাহরাইনে মোতায়েন আছে। সৌদি আরবের ভয় যে, ইরান বাহরাইনের বিদ্রোহকে উস্কে দিচ্ছে। বিক্ষুব্ধ আরব ভূখণ্ডে যদিও ইরানই একমাত্র মুসলিম দেশ, যেখানে জনগণ সসম্মানে তাদের নিঃস্বার্থ নেতৃত্বের অধীনে বসবাস করছে। যদিও বাহরাইনে দু'শতাব্দীর ওপর একটি পারিবারিক শাসন জনগণের মৌলিক অধিকার রহিত করে রেখেছে। এখানে সরকার উৎখাতের কোনো প্রয়োজন সাম্রাজ্যবাদীরা দেখেও না, যদিও লিবিয়ায় এই একই পশ্চিমা গোষ্ঠী যুদ্ধংদেহী অবস্থানে। আসলেই মুসলিম রক্ত এত সস্তা যে, তাদের রক্তপাত অব্যাহতই থাকবে_ তা শিয়া মুসলমানই হোক বা সুনি্ন।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও
কলাম লেখক
লিবিয়া আক্রমণের আগে নাকি পাঁচটি আরব দেশ_ ইরাক, জর্ডান, মরক্কো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই যুদ্ধকে অনুমোদন দিতে প্যারিসে মিলিত হয়েছিল। কাতার এই দৌত্যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল আক্রমণে তার বিমান বাহিনীর কিছু জেট বিমান পাঠিয়ে। অবশ্য জোর প্রয়োগ করে সরকার উৎখাত (জবমরসব পযধহমব) আজকাল কোনো অভিনব কিছু নয়। এখানে যেটা অভিনব তা হলো, একজন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি আফ্রিকান দেশ আক্রমণে সম্মতি। আফ্রিকা এমন একটি মহাদেশ, যেখানে প্রেসিডেন্ট ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় তার শিকড়ের সন্ধান পান।
সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠিয়ে ইরাকে একজন মালিকিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল। তালেবান সরকার উৎখাত হওয়ার পর একজন কারজাই মার্কিন আনুকূল্যে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেন। এখন মুয়াম্মার গাদ্দাফি কারণে বা অকারণে উৎখাতের তালিকায় এবং একজন মাহমুদ জেবরিলকে তার স্থান দখলে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। জেবরিল দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন এবং সহজেই বোধগম্য যে, তাকে মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণে লিবিয়ায় কী করতে হবে, তা তার (জেবরিল) অজানা নয়। এখন তার জন্য শুধু কারজাইসদৃশ একটি ট্রেডমার্ক পরিধানের প্রয়োজন। লিবিয়ায় অনেকেই এখন উপলব্ধি করছে, ফরাসি গোয়েন্দারাই প্রথমে দেশটিতে বিদ্রোহ উস্কে দেয়। পরে ব্রিটেন গোয়েন্দা সংস্থা এম-১৬ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। লন্ডন থেকে প্রকাশিত ঞযব ফধরষু সধরষ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গোয়েন্দারা প্রথমে গাদ্দাফির জেনারেলদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদের পক্ষত্যাগের উস্কানি দেয়। অন্যথায় তাদের লক্ষ্যভেদী হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। যে তৎপরতার সঙ্গে ৫৪৪ জন ব্রিটিশ এমপির ৯০ ভাগ লিবিয়া আক্রমণের পক্ষে ভোট দিয়েছে, তা-ও এক গভীর সংশয়ে উদ্রেককারী পদক্ষেপ। অথচ এক জরিপ অনুযায়ী ৫৩ ভাগ লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিপক্ষে ছিল। এতে বোঝা যায়, পাশ্চাত্যের জনগণ যা চায় এর সঙ্গে সরকারি অভিমতের কত পার্থক্য। এও এক প্রকার গণতন্ত্র!
যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ এখন ন্যাটোর হাতে। ২৮টি দেশের এই জোট ১৯৪৯ সালে অস্তিত্বে এসেছিল, যখন জোটের প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল লউইসমে জোটের লক্ষ্য সম্বন্ধে তাৎপর্যপূর্ণ উক্তি করেছিলেন। তার সেই বিখ্যাত উক্তি অনুযায়ী জোটের উদ্দেশ্য : ঃড় শববঢ় ঃযব ৎঁংংরধহং ড়ঁঃ, ঃযব ধসবৎরপধহ রহ ধহফ ঃযব মবৎসধহং ফড়হি. জোটকে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ভিত্তিতে বাইরের হুমকিকে মোকাবেলা করার কথা। পরে সংগঠনের প্রতিরক্ষার ভূমিকা শুধু আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেই পরিবর্তিত হয়নি, এই জোট এখন পাশ্চাত্যের বৃহৎ শক্তিবর্গের উদ্দেশ্যসাধনে ড়হ পধষষ-এ রাখা হয়েছে। লক্ষণীয়, এর কমান্ডও এখন মার্কিন অ্যাডমিরাল জেমস স্টারস্রিডের হাতে।
এবং জাতিসংঘ? পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের জন্য তাদের বৈশ্বিক স্বার্থের অনুকূলে প্রস্তাব পাস করার জন্য এই বিশ্ব সংস্থাটি প্রয়োজন মেটানোর একটি সহজ হাতিয়ার। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে যে কোনো সার্বভৌম দেশকে মানবাধিকারের নামে দখল করা এবং যুক্তরাষ্ট্র সে জন্য অবরোধ ইত্যাদি আরোপ করে বা নিরাপত্তা পরিষদকে আয়ত্তে এনে আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সদাপ্রস্তুত। জাতিসংঘের লিবিয়ার জন্য 'নো ফ্লাই জোন' অনুমোদন প্রকারান্তরে তার এক সদস্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণারই শামিল।
যা হোক, সংশ্লিষ্ট মুসলিম নেতারা এ কথা ঠিকই জানেন যে, পশ্চিমাদের পরার্থবাদের অন্তরালে রয়েছে তাদের দেশগুলোয় সঞ্চিত জ্বালানি সম্পদের জন্য পরার্থবাদীদের এক প্রকার কাড়াকাড়ি। পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর এই নেপথ্য খেলার ধারণাও করতে পারে না মুসলিম দেশগুলোর নেতৃত্ব। একটি পরোক্ষ উক্তিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি সতর্ক করে দিয়েছেন_ আরব শাসকগোষ্ঠীর বোঝা উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইউরোপের প্রতিক্রিয়া লিবিয়া আক্রমণের মুহূর্ত থেকে আগের মতো একই হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর ভণ্ডামি নগ্নভাবে প্রতীয়মান হয় লিবিয়া ও বাহরাইনে তাদের গৃহীত অবস্থানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা যদিও লিবিয়ার বিদ্রোহ সমর্থন করে, তারাই আবার উপসাগরীয় আমিরাত-বাহরাইনে তার বিরোধিতায় লিপ্ত। গাদ্দাফির চলি্লশ বছরের শাসনের বিপরীতে সুনি্ন আমিররা বাহরাইনে দু'শতাব্দী ধরে তাদের শাসন বহাল রেখেছেন। বাহরাইনের ৭০ ভাগ শিয়া অধিবাসী বিদ্রোহ করলেও তা যতখানি না আমিরের বিরুদ্ধে, তার অনেক বেশি আমিরের পিতৃব্য সালমান আল খলিফার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে এই নগর রাষ্ট্র স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সালমান আল খলিফা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাহরাইন শাসন করে আসছেন।
সৌদি সৈন্যরা ইতিমধ্যেই বাহরাইনে মোতায়েন আছে। সৌদি আরবের ভয় যে, ইরান বাহরাইনের বিদ্রোহকে উস্কে দিচ্ছে। বিক্ষুব্ধ আরব ভূখণ্ডে যদিও ইরানই একমাত্র মুসলিম দেশ, যেখানে জনগণ সসম্মানে তাদের নিঃস্বার্থ নেতৃত্বের অধীনে বসবাস করছে। যদিও বাহরাইনে দু'শতাব্দীর ওপর একটি পারিবারিক শাসন জনগণের মৌলিক অধিকার রহিত করে রেখেছে। এখানে সরকার উৎখাতের কোনো প্রয়োজন সাম্রাজ্যবাদীরা দেখেও না, যদিও লিবিয়ায় এই একই পশ্চিমা গোষ্ঠী যুদ্ধংদেহী অবস্থানে। আসলেই মুসলিম রক্ত এত সস্তা যে, তাদের রক্তপাত অব্যাহতই থাকবে_ তা শিয়া মুসলমানই হোক বা সুনি্ন।
ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম আবদুল হাফিজ : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও
কলাম লেখক
No comments