শতবর্ষের আলোয় আলোকিত পুলিশ by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
সকালের কুয়াশা কেটে গেছে। জ্বলজ্বল করছে রোদ। ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা ২০ মিনিট। বাদকদলের বাদ্যযন্ত্রে বেজে উঠল ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। জাতীয় সংগীত শেষ হতে না-হতেই সারদার আকাশে উড়ল শত শত রঙিন বেলুন।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্রাঙ্গণ যেন হাসল রঙিন আলোয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করলেন তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির শতবর্ষ উদ্যাপনের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল এমনই বর্ণিল।
শতবর্ষ সামনে রেখে এক বছর ধরে একাডেমি সেজেছে নতুন সাজে। তৈরি করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক নানা স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে: অধ্যক্ষের বাংলো, অফিসার মেস, প্রধান ফটক, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, ড্রিল শেড, মাস্টার ড্রেন, পদ্মা রিভার ড্রাইভ, ক্যাফেটেরিয়া অ্যান্ড ইন্টার-অ্যাকটিভ সেন্টার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট-সেবা, বনজ উদ্ভিদ-বন্য প্রাণী সংরক্ষণব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহের নামকরণ, ট্রাফিক সাইন স্থাপন, গ্রিন সারদা ও ক্লিন সারদা। এসব প্রকল্পে পুরো একাডেমি চত্বর পেয়েছে যেন নাগরিক চেহারা। সন্ধ্যা নামলেই আলোর রোশনাই একাডেমিজুড়ে।
গ্রিন সারদা প্রকল্পের আওতায় প্রায় পুরো একাডেমি চত্বর সবুজ ঘাসে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নজর কাড়ছে চারদিকের নানা ফুলও। পদ্মার সেই ভাঙা বাঁধ আর নেই। এখন মোটরসাইকেলে করে পদ্মার ধার দিয়ে পুরো একাডেমি ঘুরে আসা যায়। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই স্বাগত জানাবে নানা ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য মোগল আমলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের পুলিশের পোশাকে আবৃত।
অনুষ্ঠানমঞ্চের পাশে রয়েছে ২৩টি ছবি। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মেজর এইচ চেমনি থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে সেখানে। প্যারেড মাঠের ভেতরে রয়েছে শেখ হাসিনার ছবি। এর পূর্ব পাশেই বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি।
একাডেমির বৈশাখী প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৩টি স্টল বসেছে। মেলার পশ্চিম পাশে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল। তিন দিন ধরে প্রতিদিন বিকেলে এখানে চলবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘হেরিটেজ প্যারেড’। মোগল আমলের টুপি পরা কনটিনজেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত আধুনিক পুলিশের পোশাক পরা ১০টি দল ছিল এই প্যারেডে। সঙ্গে ছিল জাতীয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও পুলিশ একাডেমির পতাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী প্যারেড মাঠে আসেন। প্রথমেই খোলা জিপে চড়ে হেরিটেজ প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় হেরিটেজ প্যারেড। সঙ্গে বাদকদল বাজাতে থাকে, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...’।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে একাডেমির ঐতিহ্যবাহী ‘হর্স শো’ প্রদর্শন করা হয়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল আগুনের রিঙের ভেতর দিয়ে ঘোড়ার লাফ। বাদকদলের অপূর্ব পরিবেশনা ছিল সবশেষে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সেমিনার, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তৃতীয় দিনে হর্স শো, ব্যান্ড শো, স্মৃতিচারণার আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির শতবর্ষ উদ্যাপনের প্রথম দিনের শুরুটা ছিল এমনই বর্ণিল।
শতবর্ষ সামনে রেখে এক বছর ধরে একাডেমি সেজেছে নতুন সাজে। তৈরি করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক নানা স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে: অধ্যক্ষের বাংলো, অফিসার মেস, প্রধান ফটক, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, ড্রিল শেড, মাস্টার ড্রেন, পদ্মা রিভার ড্রাইভ, ক্যাফেটেরিয়া অ্যান্ড ইন্টার-অ্যাকটিভ সেন্টার, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট-সেবা, বনজ উদ্ভিদ-বন্য প্রাণী সংরক্ষণব্যবস্থা, অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহের নামকরণ, ট্রাফিক সাইন স্থাপন, গ্রিন সারদা ও ক্লিন সারদা। এসব প্রকল্পে পুরো একাডেমি চত্বর পেয়েছে যেন নাগরিক চেহারা। সন্ধ্যা নামলেই আলোর রোশনাই একাডেমিজুড়ে।
গ্রিন সারদা প্রকল্পের আওতায় প্রায় পুরো একাডেমি চত্বর সবুজ ঘাসে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নজর কাড়ছে চারদিকের নানা ফুলও। পদ্মার সেই ভাঙা বাঁধ আর নেই। এখন মোটরসাইকেলে করে পদ্মার ধার দিয়ে পুরো একাডেমি ঘুরে আসা যায়। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই স্বাগত জানাবে নানা ভাস্কর্য। এসব ভাস্কর্য মোগল আমলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের পুলিশের পোশাকে আবৃত।
অনুষ্ঠানমঞ্চের পাশে রয়েছে ২৩টি ছবি। একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মেজর এইচ চেমনি থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে সেখানে। প্যারেড মাঠের ভেতরে রয়েছে শেখ হাসিনার ছবি। এর পূর্ব পাশেই বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি।
একাডেমির বৈশাখী প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৩টি স্টল বসেছে। মেলার পশ্চিম পাশে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল। তিন দিন ধরে প্রতিদিন বিকেলে এখানে চলবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল ‘হেরিটেজ প্যারেড’। মোগল আমলের টুপি পরা কনটিনজেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত আধুনিক পুলিশের পোশাক পরা ১০টি দল ছিল এই প্যারেডে। সঙ্গে ছিল জাতীয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও পুলিশ একাডেমির পতাকা। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী প্যারেড মাঠে আসেন। প্রথমেই খোলা জিপে চড়ে হেরিটেজ প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় হেরিটেজ প্যারেড। সঙ্গে বাদকদল বাজাতে থাকে, ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...’।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শেষে একাডেমির ঐতিহ্যবাহী ‘হর্স শো’ প্রদর্শন করা হয়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল আগুনের রিঙের ভেতর দিয়ে ঘোড়ার লাফ। বাদকদলের অপূর্ব পরিবেশনা ছিল সবশেষে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে সেমিনার, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তৃতীয় দিনে হর্স শো, ব্যান্ড শো, স্মৃতিচারণার আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।
No comments