বুক অব ফ্যাক্টস- সাহিত্য by আইজ্যাক আজিমভ
আসল নাম ছিল উইলিয়াম সিডনি পোর্টার (১৮৬২-১৯১০), লেখালেখি করতেন ও হেনরি নামে। অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত হলে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পোর্টার তখন শাস্তি এড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে হুন্ডুরাসে পালিয়ে যান।
পরে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে (ফেব্রুয়ারি ১৮৯৭) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পোর্টার ছিলেন সরকারি সনদপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট। জেলের হাসপাতালে তিনি ওষুধ বিতরণের কাজ পান। এবং তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করা হয় প্রিজন হাসপাতালসংলগ্ন এলাকাতেই। জেলে থাকার সময় বিভিন্ন নামে মোট ১৪টি গল্প লিখেন পোর্টার। তবে এর মধ্যে ও হেনরি নামটিই পাঠকপ্রিয় হয়। ও হেনরি নামে লেখা তাঁর প্রথম গল্প হুইসিলিং ডিকস ক্রিসমাস স্টকিং। ১৮৯৯ সালে ম্যাকলিওর ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায় গল্পটি প্রকাশিত হয়। নিউ অরলিনসে থাকা এক বন্ধু মারফত প্রকাশকের কাছে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন ও হেনরি। জেল থেকে ভালো আচরণের পুরস্কারস্বরূপ দুই বছর আগেই হেনরিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের কালজয়ী উপন্যাস মাদাম বোভারি। এটি অনেকের মতে, একটি নৃশংস ও বাস্তবধর্মী প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাসে খোলামেলা বর্ণনার কারণে অশ্লীলতার দায়ে এবং ফ্লবেয়ারকে নৈতিকতা ও ধর্মবিরোধী কাজের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত উপন্যাসটিকে আদালত নিন্দা করলেও লেখককে বেকসুর খালাস দেন। এ সময় হাজার হাজার কপি বিক্রি হওয়া বইটি সম্বন্ধে ফ্লবেয়ারের বক্তব্য ছিল, তাঁর যথেষ্ট অর্থ থাকলে বইটির সব কপি তিনি কিনে নিতেন এবং সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলতেন।
সাইরানো ডি বার্জারাক (১৬২০-১৬৫৫) ছিলেন কবি, নাট্যকার এবং একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক। তিনি চাঁদ এবং সূর্যে ভ্রমণের কথা লেখেন এবং তিনিই ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি যিনি (১৬৫০ সালে) মহাকাশ অভিযাত্রার একটি যানের বর্ণনা করেন, তাঁর প্রস্তাবিত যানই এ সময়ের রকেট।
যখন ডব্লিউ বি গ্রিফিথ তাঁর কালজয়ী সিনেমা বার্থ অব আ নেশন বানান, ছবির কাহিনি হিসেবে বেছে নেন টমাস ডিক্সনের দ্য ক্ল্যান্সম্যান। এই বই অবলম্বনেই চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য তৈরি করেন গ্রিফিথ। ১০ হাজার ডলারে কাহিনির স্বত্ব বিক্রির রফা হয় ডিক্সনের সঙ্গে। কিন্তু পুরো অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন গ্রিফিথ। তিনি মাত্র ২ হাজার ৫০০ ডলার দিতে সমর্থ হন। বাকি অর্থের পরিবর্তে তিনি ডিক্সনকে চলচ্চিত্রের ২৫ ভাগ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ডিক্সন নিতান্ত অনিচ্ছায় রাজি হন। কিন্তু পরে ডিক্সন ছবির কাহিনিকার হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ পান (কয়েক মিলিয়ন ডলার) তা ওই সময়ে চলচ্চিত্রের জন্য কোনো লেখকের পাওয়া সর্বোচ্চ আয়কেও ছাড়িয়ে যায়।
ডি এইচ লরেন্স, বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত মৌলিক ও বিতর্কিত লেখকদের একজন। লরেন্সের প্রায়ই কাপড় খুলে তুঁতগাছে ওঠার পাগলামি ছিল।
এমিলি ডিকিনসন, যাঁর কবিতা আজও হাজার হাজার কবিতাপ্রেমীকে রোমাঞ্চিত করে, তিনি একবার মাত্র নিজ শহর ম্যাসাচুসেটস ছেড়ে বাবার সঙ্গে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু ছিল পৃথিবী, আকাশ এবং মহাকাশ সম্পর্কে উদ্ভট সব কল্পনা। তিনি একসময় এতটাই নিভৃতচারীতে পরিণত হন যে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাঁদের সামনে না এসে আড়াল থেকে, পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে কথা বলতেন।
মার্ক টোয়েন নামটি যে স্যামুয়েল লংহর্ন ক্লিমেন্সই প্রথম ব্যবহার করেছেন তা নয়, নামটি ছিল একটি বাষ্পচালিত নৌকার পাইলটের। কিন্তু এরও আগে মিসিসিপি নদীর আরেকজন পাইলট, যাঁর নাম ইসাইয়া সেলারস, যিনি পত্রিকায়ও প্রবন্ধ লিখতেন তিনিও মার্ক টোয়েন নামটি ব্যবহার করেছেন। তবে এঁদের মধ্যে স্যামুয়েল লংহর্ন ক্লিমেন্সই মার্ক টোয়েন নামে লেখালেখি করে খ্যাতি অর্জন করেন।
ভাষান্তর: হাসান খুরশিদ
গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের কালজয়ী উপন্যাস মাদাম বোভারি। এটি অনেকের মতে, একটি নৃশংস ও বাস্তবধর্মী প্রেমের উপন্যাস। এই উপন্যাসে খোলামেলা বর্ণনার কারণে অশ্লীলতার দায়ে এবং ফ্লবেয়ারকে নৈতিকতা ও ধর্মবিরোধী কাজের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। ১৮৫৬ সালে প্রকাশিত উপন্যাসটিকে আদালত নিন্দা করলেও লেখককে বেকসুর খালাস দেন। এ সময় হাজার হাজার কপি বিক্রি হওয়া বইটি সম্বন্ধে ফ্লবেয়ারের বক্তব্য ছিল, তাঁর যথেষ্ট অর্থ থাকলে বইটির সব কপি তিনি কিনে নিতেন এবং সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলতেন।
সাইরানো ডি বার্জারাক (১৬২০-১৬৫৫) ছিলেন কবি, নাট্যকার এবং একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক। তিনি চাঁদ এবং সূর্যে ভ্রমণের কথা লেখেন এবং তিনিই ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি যিনি (১৬৫০ সালে) মহাকাশ অভিযাত্রার একটি যানের বর্ণনা করেন, তাঁর প্রস্তাবিত যানই এ সময়ের রকেট।
যখন ডব্লিউ বি গ্রিফিথ তাঁর কালজয়ী সিনেমা বার্থ অব আ নেশন বানান, ছবির কাহিনি হিসেবে বেছে নেন টমাস ডিক্সনের দ্য ক্ল্যান্সম্যান। এই বই অবলম্বনেই চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য তৈরি করেন গ্রিফিথ। ১০ হাজার ডলারে কাহিনির স্বত্ব বিক্রির রফা হয় ডিক্সনের সঙ্গে। কিন্তু পুরো অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন গ্রিফিথ। তিনি মাত্র ২ হাজার ৫০০ ডলার দিতে সমর্থ হন। বাকি অর্থের পরিবর্তে তিনি ডিক্সনকে চলচ্চিত্রের ২৫ ভাগ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ডিক্সন নিতান্ত অনিচ্ছায় রাজি হন। কিন্তু পরে ডিক্সন ছবির কাহিনিকার হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ পান (কয়েক মিলিয়ন ডলার) তা ওই সময়ে চলচ্চিত্রের জন্য কোনো লেখকের পাওয়া সর্বোচ্চ আয়কেও ছাড়িয়ে যায়।
ডি এইচ লরেন্স, বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত মৌলিক ও বিতর্কিত লেখকদের একজন। লরেন্সের প্রায়ই কাপড় খুলে তুঁতগাছে ওঠার পাগলামি ছিল।
এমিলি ডিকিনসন, যাঁর কবিতা আজও হাজার হাজার কবিতাপ্রেমীকে রোমাঞ্চিত করে, তিনি একবার মাত্র নিজ শহর ম্যাসাচুসেটস ছেড়ে বাবার সঙ্গে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু ছিল পৃথিবী, আকাশ এবং মহাকাশ সম্পর্কে উদ্ভট সব কল্পনা। তিনি একসময় এতটাই নিভৃতচারীতে পরিণত হন যে বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাঁদের সামনে না এসে আড়াল থেকে, পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে কথা বলতেন।
মার্ক টোয়েন নামটি যে স্যামুয়েল লংহর্ন ক্লিমেন্সই প্রথম ব্যবহার করেছেন তা নয়, নামটি ছিল একটি বাষ্পচালিত নৌকার পাইলটের। কিন্তু এরও আগে মিসিসিপি নদীর আরেকজন পাইলট, যাঁর নাম ইসাইয়া সেলারস, যিনি পত্রিকায়ও প্রবন্ধ লিখতেন তিনিও মার্ক টোয়েন নামটি ব্যবহার করেছেন। তবে এঁদের মধ্যে স্যামুয়েল লংহর্ন ক্লিমেন্সই মার্ক টোয়েন নামে লেখালেখি করে খ্যাতি অর্জন করেন।
ভাষান্তর: হাসান খুরশিদ
No comments