‘অদক্ষ’ ঠিকাদার পছন্দ প্রকল্প পরিচালকদের! by একরামুল হক
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজের মান ও গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ঠিকাদারদের যোগ্যতা এবং তাঁদের কাজ পাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রকল্পগুলো দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় বেশির ভাগ প্রকল্প এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চউক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। স্বাধীনতার পর একসঙ্গে এতগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আর হয়নি। আগামী ছয় মাস থেকে দেড় বছরের মধ্যে নগরবাসী এসব কাজের সুফল পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তবে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলো পেয়েছে তাদের জবাবদিহিতা ও যোগ্যতা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। গত ২৪ নভেম্বর বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়কের গার্ডার ধসে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নটি জোরাল হয়েছে।
চউকের প্রথম শ্রেণীর একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে জানান, অদক্ষ ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাতে পছন্দ করেন প্রকল্প পরিচালকেরা। এতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা হয় না। তবে যে ঠিকাদার কাজের মান নিয়ে আপস করেন না তাঁদের কাজ দেওয়া হয় কম। কারণ, কাজের মান ঠিক রাখা হলে প্রকল্প পরিচালক বা প্রকৌশলীদের ভাগের অংশ কমে যায়।
সূত্র জানায়, নগরের একাধিক সড়ক চওড়া করার কাজ চলছে। মাসের পর মাস এসব সড়কে কাজ চলার কারণে সাধারণ নাগরিকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে সড়কগুলো খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় এবং বাতাসের সঙ্গে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। যেকোনো নির্মাণ বা সম্প্রসারণকাজ করার সময় নাগরিকদের চলাচলের সুযোগ না রেখে ইচ্ছেমতো কাজ করছেন ঠিকাদারেরা। অন্যদিকে এসব কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার পাঁচ আসামিসহ আরও অনেক ঠিকাদার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব ঠিকাদারদের কাজের মান ও তাঁদের কাজের মন্থর গতির কারণে নগরবাসীর কষ্ট বেড়েছে। যেমন, রাস্তার মাঝখানে সড়ক বিভাজকের (ডিভাইডার) কাজে ইট-বালু ও সিমেন্টের ব্যবহার হচ্ছে। সিমেন্ট-বালু ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা পরই পানি ব্যবহার (কিউরিং) বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো পানির ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সড়ক বিভাজকগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মুরাদপুরের বাসিন্দা ও চাকরিজীবী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোটা নগরটা যেন দোজখখানায় পরিণত হয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তা আর ধুলাবালুর কারণে নগরে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা আল্লাহ জানেন।’
কদমতলী জংশনে উড়ালসড়কের কাজ চলছে। ফলে স্টেশন সড়কে মাটির স্তূপ জমে আছে রাস্তার পাশে। গাড়ির চাকার সঙ্গে ঘর্ষণে এসব মাটি বাতাসের সঙ্গে মিশে চারদিকে উড়ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথে যাতায়াতকারী নাগরিকদের। চউকের একজন প্রকৌশলী এ প্রসঙ্গে বলেন, এ জন্য ঠিকাদার দায়ী। মাটি স্তূপ করে না রেখে তা দ্রুত সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চউকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নাসিরউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।’
সূত্র জানায়, বর্তমানে পাঠানটুলি সড়কের সম্প্রসারণকাজ ৬৫ শতাংশ, মুরাদপুর থেকে অলি খাঁ মসজিদ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ, দেওয়ানহাট থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ, আরাকান সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এই চারটি সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে মাসের পর মাস ধরে।
চউক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। স্বাধীনতার পর একসঙ্গে এতগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আর হয়নি। আগামী ছয় মাস থেকে দেড় বছরের মধ্যে নগরবাসী এসব কাজের সুফল পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তবে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলো পেয়েছে তাদের জবাবদিহিতা ও যোগ্যতা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। গত ২৪ নভেম্বর বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়কের গার্ডার ধসে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নটি জোরাল হয়েছে।
চউকের প্রথম শ্রেণীর একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে জানান, অদক্ষ ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাতে পছন্দ করেন প্রকল্প পরিচালকেরা। এতে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা হয় না। তবে যে ঠিকাদার কাজের মান নিয়ে আপস করেন না তাঁদের কাজ দেওয়া হয় কম। কারণ, কাজের মান ঠিক রাখা হলে প্রকল্প পরিচালক বা প্রকৌশলীদের ভাগের অংশ কমে যায়।
সূত্র জানায়, নগরের একাধিক সড়ক চওড়া করার কাজ চলছে। মাসের পর মাস এসব সড়কে কাজ চলার কারণে সাধারণ নাগরিকেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে সড়কগুলো খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় এবং বাতাসের সঙ্গে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে। যেকোনো নির্মাণ বা সম্প্রসারণকাজ করার সময় নাগরিকদের চলাচলের সুযোগ না রেখে ইচ্ছেমতো কাজ করছেন ঠিকাদারেরা। অন্যদিকে এসব কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার পাঁচ আসামিসহ আরও অনেক ঠিকাদার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব ঠিকাদারদের কাজের মান ও তাঁদের কাজের মন্থর গতির কারণে নগরবাসীর কষ্ট বেড়েছে। যেমন, রাস্তার মাঝখানে সড়ক বিভাজকের (ডিভাইডার) কাজে ইট-বালু ও সিমেন্টের ব্যবহার হচ্ছে। সিমেন্ট-বালু ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা পরই পানি ব্যবহার (কিউরিং) বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো পানির ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সড়ক বিভাজকগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মুরাদপুরের বাসিন্দা ও চাকরিজীবী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোটা নগরটা যেন দোজখখানায় পরিণত হয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তা আর ধুলাবালুর কারণে নগরে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা আল্লাহ জানেন।’
কদমতলী জংশনে উড়ালসড়কের কাজ চলছে। ফলে স্টেশন সড়কে মাটির স্তূপ জমে আছে রাস্তার পাশে। গাড়ির চাকার সঙ্গে ঘর্ষণে এসব মাটি বাতাসের সঙ্গে মিশে চারদিকে উড়ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথে যাতায়াতকারী নাগরিকদের। চউকের একজন প্রকৌশলী এ প্রসঙ্গে বলেন, এ জন্য ঠিকাদার দায়ী। মাটি স্তূপ করে না রেখে তা দ্রুত সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে চউকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নাসিরউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠিকাদার ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়। প্রতিমাসে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।’
সূত্র জানায়, বর্তমানে পাঠানটুলি সড়কের সম্প্রসারণকাজ ৬৫ শতাংশ, মুরাদপুর থেকে অলি খাঁ মসজিদ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ, দেওয়ানহাট থেকে অলংকার মোড় পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ, আরাকান সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এই চারটি সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে মাসের পর মাস ধরে।
No comments