মুরসির ভাষণঃ কালো টাকার বিনিময়ে সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে তৃতীয় পক্ষ
মিশরের প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মাদ মুরসি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছেন, কালো টাকার বিনিময়ে সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে এবং তৃতীয় পক্ষ এর সুযোগ নিয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও অন্তর্ঘতামূলক ততপরতা তিনি কোনোভাবেই বরদাশত করবেন না বলে সতর্ক করে দেন।
মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষে সাত জন নিহত হওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট মুরসি দুঃখ প্রকাশ করেন। চলমান এ সংঘর্ঘের জন্য তিনি রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, সংলাপই হচ্ছে এর সবচেয়ে ভালো সমাধান। এ জন্য তিনি বিরোধী নেতা ও বিশেষজ্ঞদের শনিবার সংলাপে বসার আহ্বান জানান।তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বর নতুন সংবিধান প্রশ্নে যে গণভোটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা অনুষ্ঠিত হবে; কোনো মতেই স্থগিত করা হবে না। জনগণ যদি এ সংবিধান প্রত্যাখ্যান করে তাহলে নতুন করে সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করা হবে।
প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেন, যেসব ব্যক্তি সাম্প্রতিক সংঘর্ষের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে তাদেরকে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বাক-স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাই কিন্তু কোনোভাবেই হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না।"
জারি করা সাংবিধানিক ডিক্রি সম্পর্কে তিনি বলেন, বিচারকদের তাদের কাজ করতে বাধা দেবে না এ ডিক্রি কিংবা জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। তিনি এ ডিক্রির কিছু ধারা পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেন, "শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আইন বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আমি আলোচনায় বসব যাতে একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যায় এবং জাতিকে রক্ষা করা যায়। এ জন্য ডিক্রির কিছু কিছু ধারা নিয়ে আলোচনা হবে।"
টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট মুরসি মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষে নিহতদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের চিকিতসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তবে, আন্দোলনের নামে বিভিন্ন কোম্পানি, দূতাবাস ও মন্ত্রীদের ওপর হামলার চেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট মুরসি দেশের জন্য নতুন একটি সাংবিধানিক ডিক্রি জারি করেন। বিরোধীরা একে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা বলে বিক্ষোভ শুরু করে কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তার দল ইখওয়ানুল মুসলিমিন বলছে- বিপ্লব রক্ষার জন্যই এ ডিক্রি জারি করা হয়েছে।
No comments