বেনগাজিতে বিদ্রোহ করেছিল পুলিশ!
লিবিয়ার বেনগাজি শহরে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার পর সেখানে কর্মরত পুলিশ বিদ্রোহ শুরু করেছিল। ওই ঘটনার পর ত্রিপোলির কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ দেওয়া নতুন প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার অধীনে দায়িত্ব পালনেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনা পাঠানোর কথা বলা হচ্ছিল।
বেনগাজিতে ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন কনস্যুলেটে হামলার পর থেকেই শহরটির নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর বিশ্ববাসীর নজর রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইনোসেন্স অব মুসলিমস নামের ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মিত হওয়ার ঘটনায় ওই হামলা চালানো হয়। চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে। বেনগাজিতে ওই হামলার ঘটনায় লিবিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ চার মার্কিন নিহত হন।
পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে পরিচালিত এক বিদ্রোহে লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের মাত্র এক বছরের মাথায় বেনগাজির ওই ঘটনা দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ক্ষমতার দুর্বলতা এবং বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতারই ইঙ্গিত দেয়।
লিবিয়ার সরকারি সূত্রমতে, বেনগাজিতে ওই হামলা ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ানিস আল-শরীফ এবং বেনগাজির পুলিশপ্রধান হুসেইন বু আহমাদিয়াকে বরখাস্ত করে। এই দুই পদেই সালাহ দোহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে শরিফ বা আহমাদিয়া কেউই তাঁদের পদ ছাড়তে রাজি হননি। তাই দোহমান দায়িত্ব নিতে পারছিলেন না।
দোহমান এক সাক্ষৎকারে বলেন, জোরপূর্বক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলে বেনগাজির পুলিশ গণহারে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিল। এ ছাড়া তারা অভিযোগ তুলেছিল, ত্রিপোলিতে কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় সরকারগুলোকে নিজের ব্যর্থতার বলির পাঠা বানাচ্ছে।
দোহমান বলেন, সেখানে পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়ানক। তিনি যখন বেনগাজিতে পুলিশ সদর দপ্তরে যাচ্ছিলেন, তখন কাউকে পাচ্ছিলেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও তাঁদের বিভাগে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি অবলেন, ‘আমার কাগজপত্র আছে। মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি রয়েছে আমার সঙ্গে। তাতে আমাকে এই দুটি পদ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। যদি আমি এই দুই দায়িত্ব না নিই, তবে লোকজন সরকারকে সম্মান করবে না।’
দোহমান জানান, পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও ব্যবহার করতে হবে। তাঁকে যেন দায়িত্ব নিতে দেওয়া হয়, সে জন্য এর মাধ্যমে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রয়টার্স।
পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনে পরিচালিত এক বিদ্রোহে লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের মাত্র এক বছরের মাথায় বেনগাজির ওই ঘটনা দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ক্ষমতার দুর্বলতা এবং বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতারই ইঙ্গিত দেয়।
লিবিয়ার সরকারি সূত্রমতে, বেনগাজিতে ওই হামলা ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ানিস আল-শরীফ এবং বেনগাজির পুলিশপ্রধান হুসেইন বু আহমাদিয়াকে বরখাস্ত করে। এই দুই পদেই সালাহ দোহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। তবে শরিফ বা আহমাদিয়া কেউই তাঁদের পদ ছাড়তে রাজি হননি। তাই দোহমান দায়িত্ব নিতে পারছিলেন না।
দোহমান এক সাক্ষৎকারে বলেন, জোরপূর্বক নেতৃত্বে পরিবর্তন এলে বেনগাজির পুলিশ গণহারে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিল। এ ছাড়া তারা অভিযোগ তুলেছিল, ত্রিপোলিতে কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় সরকারগুলোকে নিজের ব্যর্থতার বলির পাঠা বানাচ্ছে।
দোহমান বলেন, সেখানে পরিস্থিতি ছিল খুবই ভয়ানক। তিনি যখন বেনগাজিতে পুলিশ সদর দপ্তরে যাচ্ছিলেন, তখন কাউকে পাচ্ছিলেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও তাঁদের বিভাগে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি অবলেন, ‘আমার কাগজপত্র আছে। মন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি রয়েছে আমার সঙ্গে। তাতে আমাকে এই দুটি পদ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। যদি আমি এই দুই দায়িত্ব না নিই, তবে লোকজন সরকারকে সম্মান করবে না।’
দোহমান জানান, পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও ব্যবহার করতে হবে। তাঁকে যেন দায়িত্ব নিতে দেওয়া হয়, সে জন্য এর মাধ্যমে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রয়টার্স।
No comments