জামায়াত নিয়ে অস্বস্তি- অবরোধে দেশ অচল করে ‘চরম বার্তা’ দিতে চায় বিএনপি by সেলিম জাহিদ
আগামী রোববার রাজপথ অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশ অচল করে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে একটি ‘চরম বার্তা’ দিতে চায় বিএনপি। এর পরও সরকার নমনীয় না হলে জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, আট ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। রোববার সকাল থেকে ঢাকার সব কটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে অবস্থান নেবেন বিএনপিসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপির পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলকে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার আদলে দেশের সব মহানগর এবং জেলা শহরের প্রবেশপথও অবরোধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে ওই দিন সারা দেশ অচল ও স্থবির হয়ে পড়ে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা ১৬টি দলে ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। ১৮ দলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জামায়াতের আঞ্চলিক নেতারাও এই তৎপরতায় যুক্ত রয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, তাঁরা দলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি, সরকার কর্মসূচিতে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করবে না।’ একই সঙ্গে তিনি ৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির দিনে রাস্তায় গাড়ি বের না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান।
সরকারের ‘দুঃশাসন ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি’, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আগামী রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রাজপথ অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গত ২৮ নভেম্বর জোটের সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্র জানায়, অবরোধ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে খালেদা জিয়া দলের সাংগঠনিক তৎপরতা তদারক করছেন। এতে কোনো ধরনের বাধা দিলে বা নির্যাতন-নিপীড়ন চালালে হরতাল-অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ২৮ নভেম্বরের সমাবেশে হুঁশিয়ারি জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। আর তাতে বাধা বা নিপীড়ন মাত্রা ছাড়ালে এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিশ্চয়ই নতুন কর্মসূচি আসবে।’
জামায়াতের সহিংসতায় অস্বস্তি: এদিকে জামায়াতের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিটি আড়াল হয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের একাংশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। এই নেতারা মনে করছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তিসহ কয়েকটি দাবিতে দলটির ডাকা গত মঙ্গলবারের হরতালে বিএনপির নৈতিক সমর্থন দেওয়াটা রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করেনি। এতে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার—দুটি বিষয়কে এক করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে সরকার। সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি হরতালে সমর্থন দিয়েছে।
অবশ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ ধরনের সংশয়ের কথা অস্বীকার করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, তাঁরা দলের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি, সরকার কর্মসূচিতে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করবে না।’ একই সঙ্গে তিনি ৯ ডিসেম্বর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচির দিনে রাস্তায় গাড়ি বের না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান।
সরকারের ‘দুঃশাসন ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি’, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আগামী রোববার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত রাজপথ অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গত ২৮ নভেম্বর জোটের সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া।
দলীয় সূত্র জানায়, অবরোধ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে খালেদা জিয়া দলের সাংগঠনিক তৎপরতা তদারক করছেন। এতে কোনো ধরনের বাধা দিলে বা নির্যাতন-নিপীড়ন চালালে হরতাল-অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও ২৮ নভেম্বরের সমাবেশে হুঁশিয়ারি জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে কি না, জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। আর তাতে বাধা বা নিপীড়ন মাত্রা ছাড়ালে এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিশ্চয়ই নতুন কর্মসূচি আসবে।’
জামায়াতের সহিংসতায় অস্বস্তি: এদিকে জামায়াতের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিটি আড়াল হয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের একাংশ অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। এই নেতারা মনে করছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তিসহ কয়েকটি দাবিতে দলটির ডাকা গত মঙ্গলবারের হরতালে বিএনপির নৈতিক সমর্থন দেওয়াটা রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করেনি। এতে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার—দুটি বিষয়কে এক করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে সরকার। সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি হরতালে সমর্থন দিয়েছে।
অবশ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ ধরনের সংশয়ের কথা অস্বীকার করেন।
No comments