ওয়াশিংটন পোস্টের বিশ্লেষণ- সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক
মিসরে প্রেসিডেন্ট মুরসির নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান অস্থিরতার মধ্যে এ ঘোষণাকে একটি সুসংবাদ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট মুরসির একজন জ্যেষ্ঠ সহযোগী এসাম এল হাদ্দাদ চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বলেন, মুরসির সরকার ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে চায়। দুই দেশের সহযোগিতা বিনিময়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল এবং তার বাইরেও নতুন আশার সূচনা হতে পারে।
মিসরের রাজনীতিতে বিপজ্জনক মেরুকরণ দেশটির জন্য উদ্বেগের বিষয়। মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুড ও উদারপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও বিতর্কিত নতুন সংবিধানের খসড়া বাতিলের দাবিতে দেশটির রাজপথে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। ওই খসড়া সংবিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সংবিধান মিসরের নাগরিকদের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন অধিকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে বলেই হাদ্দাদ দাবি করেন। দেশটির জনগণ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সামরিক শাসন চলাকালে এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
নতুন সংবিধানটি হবে একধরনের মিশ্র ব্যবস্থা। এতে শরিয়া আইন বা অন্য কোনো মৌলবাদী মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে বরং উদার বিধি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে হাদ্দাদ দাবি করেছেন। তবে খসড়া সংবিধানের বিশদ বর্ণনায় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করার কথাই বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীকে কার্যত স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। গভীরতর সমস্যাটি হলো মুরসির সরকার সহাবস্থানের পরিবর্তে উদারপন্থীদের প্রতি দমন-পীড়নমূলক মনোভাব দেখাচ্ছে। সরকার আসলে কার্যকর গণতন্ত্র নাকি নতুন স্বৈরতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে, তা অস্পষ্ট। মুরসির সহযোগী হাদ্দাস স্বীকার করেন, হোসনি মোবারকবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেকেই বর্তমান বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
মিসরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ওবামা প্রশাসনকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র মিসরের নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন নীতিতে মিসর ৪০ বছর ধরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গাজায় সাম্প্রতিক সংকট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু মিসরে উদারপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে দেশটির সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
মিসরের রাজনীতিতে বিপজ্জনক মেরুকরণ দেশটির জন্য উদ্বেগের বিষয়। মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুড ও উদারপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও বিতর্কিত নতুন সংবিধানের খসড়া বাতিলের দাবিতে দেশটির রাজপথে দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে। ওই খসড়া সংবিধান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সংবিধান মিসরের নাগরিকদের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন অধিকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে বলেই হাদ্দাদ দাবি করেন। দেশটির জনগণ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সামরিক শাসন চলাকালে এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।
নতুন সংবিধানটি হবে একধরনের মিশ্র ব্যবস্থা। এতে শরিয়া আইন বা অন্য কোনো মৌলবাদী মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে বরং উদার বিধি অন্তর্ভুক্ত হবে বলে হাদ্দাদ দাবি করেছেন। তবে খসড়া সংবিধানের বিশদ বর্ণনায় সরকারের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করার কথাই বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনীকে কার্যত স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। গভীরতর সমস্যাটি হলো মুরসির সরকার সহাবস্থানের পরিবর্তে উদারপন্থীদের প্রতি দমন-পীড়নমূলক মনোভাব দেখাচ্ছে। সরকার আসলে কার্যকর গণতন্ত্র নাকি নতুন স্বৈরতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে, তা অস্পষ্ট। মুরসির সহযোগী হাদ্দাস স্বীকার করেন, হোসনি মোবারকবিরোধী আন্দোলনকারীদের অনেকেই বর্তমান বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
মিসরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ওবামা প্রশাসনকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্র মিসরের নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন নীতিতে মিসর ৪০ বছর ধরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গাজায় সাম্প্রতিক সংকট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু মিসরে উদারপন্থীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে দেশটির সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
No comments