মিসরে ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ৫ মুরসির প্রাসাদের বাইরে ট্যাংক
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে গত বুধবার রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। রাজধানী কায়রোতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে এ সংঘর্ষে অন্তত সাতজন নিহত ও চার শতাধিক আহত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে গতকাল বৃহস্পতিবার ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনীর প্রেসিডেনসিয়াল গার্ড। সেনাবাহিনী কায়রোর স্থানীয় সময় বেলা তিনটার মধ্যে বিক্ষোভকারীদের স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এর পরই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে থেকে চলে যান মুরসির সমর্থকেরা। তাদের আগেই ওই স্থান ত্যাগ করেন মুরসিবিরোধীরা। তবে দাবি আদায়ে তারা আবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে মুরসিবিরোধী দস্তুর পার্টি, দ্য রেভ্যুলুশনারি মাসপেরো ইয়ুথ ইউনিয়ন ও দ্য পপুলার অ্যালায়েন্স পার্টি তিন দিক থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এদের মধ্যে একদল কায়রোর আব্বাসিয়া গির্জা, দ্বিতীয় দল আব্বাসিয়ার আল-নূর মসজিদ ও তৃতীয় দল নসর সিটি জেলার রাবা আল আদাবিয়া মসজিদ থেকে রওনা দেবে। তারা ঠিক কখন ঘেরাও করবে তা জানা যায়নি।
বিরোধীরা বুধবারের সংঘর্ষের জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করেছে। অন্যতম বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মদ এলবারাদি বলেন, ‘আমরা এখনো বলছি, সাংবিধানিক ডিক্রি বাতিল করা হলে আমরা সংলাপে বসতে প্রস্তুত। পাশাপাশি গণভোটও স্থগিত করতে হবে।’
দেশটির নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে অবস্থান নেয়। গত বুধবার সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গত জুনে মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মিসরে এটাই সবচেয়ে বড় সহিংসতা। গতকাল দিন শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
গত ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে একটি ডিক্রি জারি করেন মুরসি। গত শুক্রবার পার্লামেন্টে পাস হয় খসড়া সংবিধান। ওই সংবিধান অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হলে ১৫ ডিসেম্বর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন মুরসি। খসড়া সংবিধান প্রণয়নকারী পরিষদে ইসলামপন্থীদের প্রাধান্য ছিল। তাই দেশটির উদারপন্থী, বামপন্থী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা এই সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিক্ষোভের মুখে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেকি জাতিকে বিভেদের মধ্যে ঠেলে দেওয়া খসড়া সংবিধানটি সংশোধনের ইংগিত দিয়েছেন। তিনি বুধবার প্রেসিডেন্ট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খসড়া সংবিধানে থাকা বিতর্কিত বিধানগুলো সংশোধন করা হবে। সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, ‘বিরোধীদের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলছি, এখানে অবশ্যই ঐকমত্য হতে হবে।’
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে যে তাঁবু গেড়েছিল, সেসব উচ্ছেদ করে দিয়েছে মুরসির সমর্থকেরা। গুলির মুখে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। সহিংসতা বন্ধে ঘটনাস্থলে দাঙ্গা পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরও প্রাসাদের কাছে রাস্তাগুলোতে সংঘর্ষ চলতে থাকে। গতকাল সকালেও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। চলেছে সংঘর্ষ।
রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বন্দরনগর ইসমালিয়া ও সুয়েজে ব্রাদারহুডের কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। খসড়া সংবিধান প্রণয়ন পরিষদের অন্যতম সদস্য ও ব্রাদারহুডের একজন কর্মকর্তা হামলারও শিকার হয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় আলেক্সান্দ্রিয়া শহরে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে পিটিয়ে আহত করেছে।
সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্রাদারহুড। প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিলও উভয় পক্ষকে নিবৃত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুই পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এএফপি, বিবিসি, আল-জাজিরা ও আহরাম অনলাইন।
এর মধ্যে মুরসিবিরোধী দস্তুর পার্টি, দ্য রেভ্যুলুশনারি মাসপেরো ইয়ুথ ইউনিয়ন ও দ্য পপুলার অ্যালায়েন্স পার্টি তিন দিক থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এদের মধ্যে একদল কায়রোর আব্বাসিয়া গির্জা, দ্বিতীয় দল আব্বাসিয়ার আল-নূর মসজিদ ও তৃতীয় দল নসর সিটি জেলার রাবা আল আদাবিয়া মসজিদ থেকে রওনা দেবে। তারা ঠিক কখন ঘেরাও করবে তা জানা যায়নি।
বিরোধীরা বুধবারের সংঘর্ষের জন্য প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থক মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করেছে। অন্যতম বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মদ এলবারাদি বলেন, ‘আমরা এখনো বলছি, সাংবিধানিক ডিক্রি বাতিল করা হলে আমরা সংলাপে বসতে প্রস্তুত। পাশাপাশি গণভোটও স্থগিত করতে হবে।’
দেশটির নতুন সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে অবস্থান নেয়। গত বুধবার সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। গত জুনে মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মিসরে এটাই সবচেয়ে বড় সহিংসতা। গতকাল দিন শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
গত ২২ নভেম্বর প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে একটি ডিক্রি জারি করেন মুরসি। গত শুক্রবার পার্লামেন্টে পাস হয় খসড়া সংবিধান। ওই সংবিধান অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হলে ১৫ ডিসেম্বর গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন মুরসি। খসড়া সংবিধান প্রণয়নকারী পরিষদে ইসলামপন্থীদের প্রাধান্য ছিল। তাই দেশটির উদারপন্থী, বামপন্থী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা এই সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিক্ষোভের মুখে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ মেকি জাতিকে বিভেদের মধ্যে ঠেলে দেওয়া খসড়া সংবিধানটি সংশোধনের ইংগিত দিয়েছেন। তিনি বুধবার প্রেসিডেন্ট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খসড়া সংবিধানে থাকা বিতর্কিত বিধানগুলো সংশোধন করা হবে। সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, ‘বিরোধীদের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলছি, এখানে অবশ্যই ঐকমত্য হতে হবে।’
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে যে তাঁবু গেড়েছিল, সেসব উচ্ছেদ করে দিয়েছে মুরসির সমর্থকেরা। গুলির মুখে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে সটকে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। সহিংসতা বন্ধে ঘটনাস্থলে দাঙ্গা পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরও প্রাসাদের কাছে রাস্তাগুলোতে সংঘর্ষ চলতে থাকে। গতকাল সকালেও থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। চলেছে সংঘর্ষ।
রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বন্দরনগর ইসমালিয়া ও সুয়েজে ব্রাদারহুডের কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। খসড়া সংবিধান প্রণয়ন পরিষদের অন্যতম সদস্য ও ব্রাদারহুডের একজন কর্মকর্তা হামলারও শিকার হয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় আলেক্সান্দ্রিয়া শহরে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে পিটিয়ে আহত করেছে।
সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্রাদারহুড। প্রধানমন্ত্রী হিশাম কান্দিলও উভয় পক্ষকে নিবৃত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুই পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। এএফপি, বিবিসি, আল-জাজিরা ও আহরাম অনলাইন।
No comments