মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-সাঈদীর বিচারের রায় শিগগিরই
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে স্বাধীনতা-যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ের করা মামলায় যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। রায় ঘোষণার দু-তিন দিন আগে রায়ের তারিখ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন কোনো মামলা এই প্রথম রায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাল।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার বিষয়ে আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ। এখন রায় বাকি। তিনি বলেন, 'আল্লাহ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি। উভয় পক্ষ যেসব রেকর্ড, ডকুমেন্ট, কাগজপত্র দাখিল করেছে, তা দেখেই আমরা রায় দেব। এটা দেখে যেকোনো এক পক্ষ অখুশি হতে পারে। তবে তারা আপিল করার সুযোগ পাবে।'
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের একই সুরে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলো। রায় অপেক্ষমান। যেকোনো দিন রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। তবে রায় ঘোষণার দুই-তিন দিন আগে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে সৈয়দ হায়দার ট্রাইব্যুনালে বলেন, 'আসামিপক্ষ যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা আসামির বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর সে শাস্তি দাবি করছি।'
সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কুট্টি নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম বা পরিবারের কাউকে সাক্ষী করেনি। সত্য ঘটনা হচ্ছে, ইব্রাহিম কুট্টি ও তাঁর শ্যালক সাহেব আলী হত্যার অভিযোগে স্বাধীনতার পর মামলা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের কাছে এ মামলার তথ্য গোপন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই মামলায় সাঈদী আসামি নন। এ কারণে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে ৬৫ ব্যক্তিকে হত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত বছর ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী ৩২টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর দায়ের করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ নভেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কাদের মোল্লার মামলার যুক্তিতর্ক ১০ ডিসেম্বর
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলায় ১০ ডিসেম্বর থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরুর আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। অন্যদিকে একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল বৃহস্পতিবার আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ফরিদপুরের গোয়ালচামটের প্রবোধ কুমার সরকার সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য প্রদানকালে তাঁকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর মো. শাহিদুর রহমান। এ ছাড়া একই ট্রাইব্যুনালে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষী মীর লুৎফর রহমানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার বিষয়ে আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ। এখন রায় বাকি। তিনি বলেন, 'আল্লাহ আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন যথাযথভাবে পালন করতে পারি। উভয় পক্ষ যেসব রেকর্ড, ডকুমেন্ট, কাগজপত্র দাখিল করেছে, তা দেখেই আমরা রায় দেব। এটা দেখে যেকোনো এক পক্ষ অখুশি হতে পারে। তবে তারা আপিল করার সুযোগ পাবে।'
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের একই সুরে বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলো। রায় অপেক্ষমান। যেকোনো দিন রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। তবে রায় ঘোষণার দুই-তিন দিন আগে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
গতকাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে সৈয়দ হায়দার ট্রাইব্যুনালে বলেন, 'আসামিপক্ষ যে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা আসামির বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর সে শাস্তি দাবি করছি।'
সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে ইব্রাহিম কুট্টি নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম বা পরিবারের কাউকে সাক্ষী করেনি। সত্য ঘটনা হচ্ছে, ইব্রাহিম কুট্টি ও তাঁর শ্যালক সাহেব আলী হত্যার অভিযোগে স্বাধীনতার পর মামলা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের কাছে এ মামলার তথ্য গোপন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই মামলায় সাঈদী আসামি নন। এ কারণে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে ৬৫ ব্যক্তিকে হত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত বছর ১১ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে ধর্মান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী ৩২টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করে।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর দায়ের করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ নভেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কাদের মোল্লার মামলার যুক্তিতর্ক ১০ ডিসেম্বর
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলায় ১০ ডিসেম্বর থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরুর আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। অন্যদিকে একই ট্রাইব্যুনালে গতকাল বৃহস্পতিবার আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ফরিদপুরের গোয়ালচামটের প্রবোধ কুমার সরকার সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য প্রদানকালে তাঁকে সহযোগিতা করেন প্রসিকিউটর মো. শাহিদুর রহমান। এ ছাড়া একই ট্রাইব্যুনালে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষী মীর লুৎফর রহমানকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান।
No comments